আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
93 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,

একজন মুসলমান ব্যক্তি সে পাচ ওয়াক্ত নামায পড়ে, সে ভুলবশত অজান্তে  কুফরের কিছু বলে তার ইমান চলে গেলো।কিন্তু সে জানতে পারলো না যে তার ইমান নষ্ট হয়ে গেলো.।সে কয়েক মাস পর জানতে পারলো।
কিন্তু সে পাচ ওয়াক্ত নামায পড়ে দোয়ায় আল্লাহর কাছে রোজ তওবা করে।
কারন পাচ ওয়াক্ত নামাযে আত্তাহিয়াতু তে শাহাদার বাক্য তো থাকে।

প্রশ্ন ১: নিজের অজান্তে এতগুলা মাস পর তার কি আবার শাহাদা পাঠ বা কলেমা করতে হবে মুসলমান হওযার জন্য??? এতগুলা মাস যে নামায,,,রোজা,, কুরআন পড়ে গেলো তা কি যথেষ্ট নয় শাহাদা পাঠ করার থেকে?? কারন নামাযে তাশাহুদে আত্তাহিয়াতু তে শাহাদার বাক্য আছে?

প্রশ্ন ২: একজন ব্যক্তি অতিতে নিজের অজান্তে আল্লাহকে ভুলবশত গালমন্দ দিয়ে নিজের অজান্তে মুরতাদ হয়ে গেলো কিন্তু সে জানতো না।অন্যদিকে  সে পাচ ওয়াক্ত নামাযি ব্যক্তি।নামাযের পড় তওবা করে। সে কয়েক মাস পর জানতে পারলো তার অতিতের কথা তাকে মুরতাদ বানিয়ে দিলো। কিন্তু সে তো নামাযি ব্যক্তি।।

এতদিন যে পাচ ওয়াক্ত নামায,,রোজা আর কুরআন পড়েছে আর তওবা করে গেছে....এর জন্য কি আবার তার শাহাদা পাঠ বা কলেমা করতে হবে??? হুজুর নামাযে যে তাশাহুদে যে শাহাদাতের বাক্য ছিলো তা কি যথেষ্ট না?

1 Answer

0 votes
by (683,320 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: كُنَّا إِذَا صَلَّيْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُلْنَا السَّلَامُ عَلَى اللَّهِ قبل عباده السَّلَام على جِبْرِيل السَّلَام على مِيكَائِيل السَّلَام على فلَان وَفُلَان فَلَمَّا انْصَرَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ قَالَ: «لَا تَقُولُوا السَّلَامُ عَلَى اللَّهِ فَإِنَّ اللَّهَ هُوَ السَّلَامُ فَإِذَا جَلَسَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلَاةِ فَلْيَقُلِ التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ فَإِنَّهُ إِذَا قَالَ ذَلِكَ أَصَابَ كُلَّ عَبْدٍ صَالِحٍ فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ثُمَّ لْيَتَخَيَّرْ مِنَ الدُّعَاءِ أَعْجَبَهُ إِلَيْهِ فيدعوه»

’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতাম তখন এ দু’আ পাঠ করতাম, ’’আসসালা-মু ’আলাল্ল-হি ক্ববলা ’ইবা-দিহী, আসসালা-মু ’আলা- জিবরীলা, আসসালা-মু ’আলা- মীকায়ীলা, আসসালা-মু ’আলা- ফুলা-নিন’’- (অর্থাৎ- আল্লাহর ওপর সালাম তাঁর বান্দাদের ওপর পাঠাবার আগে, জিবরীলের উপর সালাম, মীকায়ীল-এর ওপর সালাম। সালাম অমুকের উপর। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষ করলেন, আমাদের দিকে ফিরে বললেন, ’’আল্লাহর ওপর সালাম’’ বলো না। কারণ আল্লাহ তো নিজেই সালাম (শান্তিদাতা)।

অতএব তোমাদের কেউ সালাতে বসে বলবে, ’’আততাহিয়্যাতু লিল্লা-হি ওয়াস্ সলাওয়া-তু ওয়াত্ব ত্বইয়্যিবা-তু আসসালা-মু ’আলায়কা আইয়্যুহান নাবিইয়্যু ওয়ারহমাতুল্ল-হি ওয়াবার-কা-তুহু আসসালা-মু ’আলায়না ওয়া’আলা- ’ইবা-দিল্লা-হিস্ স-লিহীন’’

(অর্থাৎ- সব সম্মান, ’ইবাদাত, উপাসনা ও পবিত্রতা আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার ওপর আল্লাহর সব নেক বান্দাদের ওপর সালাম)।

তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, কোন ব্যক্তি এ কথাগুলো বললে এর বারাকাত আকাশ ও মাটির প্রত্যেক নেক বান্দার কাছে পৌঁছবে। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ’’আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ’আবদুহূ ওয়া রসূলুহু’’- (অর্থাৎ- আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা’বূদ নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রসূল।)

তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এরপর আল্লাহর বান্দার কাছে যে দু’আ ভালো লাগে সে দু’আ পাঠ করে আল্লাহর মহান দরবারে আকুতি মিনতি জানাবে।

(সহীহ : বুখারী ৮৩৫, ৬২৩০, মুসলিম ৪০২, আবূ দাঊদ ৯৬৮, নাসায়ী ১২৯৮, ইবনু মাজাহ্ ৮৯৯, আহমাদ ৪১০১।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাকে শাহাদাহ পাঠ বা কালেমায়ে তাইয়্যেবাহ পাঠ করতে হবেনা।

প্রশ্নের বিবরন মতে তার ঈমান নবায়ন হয়েছে।

(০২)
নামাযে যে তাশাহুদে যে শাহাদাতের বাক্য ছিলো,তা যথেষ্ট।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাকে শাহাদাহ পাঠ বা কালেমায়ে তাইয়্যেবাহ পাঠ করতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 93 views
...