আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
161 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
১) আমি একজন ওয়াসওয়াসা রোগী। নিয়মিত মেডিসিন খেতে হয় আমার। আমি অতিত নিয়ে এত সন্দিহান আমার মনে হয়না আমার মত এমন ওয়াসওয়াসা রোগী আর কেউ আছে। আমি প্রায় ৮ টার মত ফেক আইডি থেকে প্রশ্ন করি। কারন একটা আইডি থেকে মাত্র ৪ টা প্রশ্ম করা যায় আমার প্রশ্ন রেগুলার ৪/৫ টা থাকে যার জন্য এতগুলো আইডি। তারপর ফোন তো আছেই । ফোনের মধ্যে সারাদিন প্রশ্ন করতে করতে অন্যান্য হুজুরদের বিরক্ত করে ফেলছি। যতসন্দেহ ছিলো সব প্রশ্ন করে উত্তর গ্রহন করেছি। একটা কথাই ঘুরে ফিরে অন্যভাবে সন্দেহ তৈরী করে। একটা প্রশ্নের জন্য কতবার উত্তর গ্রহন করবো । যাদের প্রশ্ন করি তারাও বিরক্ত আমার উপর। আমাকে একটু পরামর্শ দিন আমি এখন কি করবো ।

২) স্ত্রীকে নিয়ে একদিন রাস্তা দিয়ে হেটে বাসায় আসছিলাম। রাস্তায় কিছু ছেলে আমার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে ছিলো । আমি বাসায় এসে স্ত্রীকে বলি ছেলেগুলো যে তাকিয়ে ছিলো তুমি দেখোনি? স্ত্রী উত্তর দেয় ,দেখেনি। আমি তখন স্ত্রীকে দুষ্টুমি করে বলি অই রাস্তার ছেলেগুলোকে উদ্দেশ্য করে

"তুমি এমন কপি মাল ডিজার্ব কর"।

 মানে আমাকে অরিজিনাল আর সেই ছেলেগুলোকে কপি মাল হিসেবে বলি। এটা কি কেনায়া বাক্য কিনা জানিনা এবং আমার মনে তালাকের কোন নিয়ত ছিলো না এটা ১০০% সিউর। অই ছেলেগুলোর তুলনায় আমি অনেক বেটার এবং আমার স্ত্রী আমাকে স্বামী হিসেবে পেয়েছে মানে অরিজিনাল পেয়েছে এরকম বুঝাতে দুষ্টুমি করে এমন মন্তব্য করেছিলাম।

"তুমি এমন কপি মাল ডিজার্ব কর"।

এতদিন নিশ্চিত ছিলাম যে এটা কেনায়া বাক্য কিনা জানিনা ।আর যদি কেনায়া বাক্য হয়েও থাকে আমার তো নিয়ত ছিলো না। এর জন্য কোন সমস্যা হবে কিনা ?

৩) সংসারে ঝগড়াঝাটি অশান্তির কারনে কেউ যদি বলে,

"এত মেন্টালি টর্চার প্রত্যেকদিন ভালো লাগেনা, একদম অসহ্য লাগে। প্রত্যেকটা দিন এমন ঝগড়াঝাটি কার ভালো লাগে "

এগুলো বলার কারনে কোন সমস্যা হবে কিনা। এগুলো বলার সময় অন্তরে কোন বাজে নিয়ত ছিলোনা।
এগুলো কি সাধারণ কথা হিসেবেই ধরা হবে ?
একজন আমাকে জানিয়েছেন যে এগুলো সাধারন কথা এগুলো তালাকের কোন কথা না।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


(০১)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এখান থেকে নিজেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আপনার জন্য কিছু পরামর্শঃ-

অহেতুক পেরেশানী করে নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না। আপনি কিছুদিন বাহিরে থাকুন।
তাবলিগে গিয়ে ৪০ দিন সময় লাগান,চিল্লায় চলে যান, মনের তীব্র কনফিউশন থেকে নিজেকে মুক্ত করে নিন। 
,
★আপনি তালাক সংক্রান্ত কোন মাসআলা পড়বেন না। কাউকে জিজ্ঞাসা করতেও যাবেন না। কারো সাথে এ সংক্রান্ত আলাপ ও আলোচনাও করবেন না।
তালাক সংক্রান্ত প্রশ্ন করবেননা। 

মনের মাঝে এ বিষয়ক কোন কিছু আসতে দিবেন না। আসলেই অন্য বিষয় নিয়ে মগ্ন হয়ে যাবেন, প্রসঙ্গ পাল্টে ফেলবেন। ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ. বলেন,
له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان
‘ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)

★সকাল ও সন্ধ্যায় পড়ুন-

أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ

 (আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমার আশ্রয় প্রার্থনা করি তার অসম্ভষ্টি ও শাস্তি থেকে এবং তার বান্দার অনিষ্ট থেকে এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে ও শয়তানের সংস্পর্শ থেকে।)

★ফজর ও মাগরিবের পর এবং ঘুমানোর আগে সূরা ফালাক ও নাস পড়ুন। 

(উল্লেখ্য, নিজ আইডি দিয়ে ৪ টি প্রশ্ন হয়ে যাওয়ার পর এভাবে ফেইক আইডি খুলে আরো প্রশ্ন করা ifatwa এর নিয়ম পরিপন্থী কাজ। তাই এমনটি না করা পরামর্শ থাকবে,প্রয়োজনে IOM কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টির সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। জাযাকাল্লাহ। )

আরো করনীয় জানুনঃ- 

(০২)
এর জন্য কোনো সমস্যা হবেনা। 

(০৩)
এগুলো বলার কারনে কোন সমস্যা হবেনা।
এগুলো সাধারণ কথা হিসেবেই ধরা হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...