বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)
অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা।আরো জানুন-
https://www.ifatwa.info/1982
যে সব অনুষ্টানে শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ড হবে বা হচ্ছে,সে সকল অনুষ্টান বা মজলিস থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে।এটাই মূলত হুকুম।বিস্তারিত জানুন-২৮৬৭
অন্যদিকে আত্মীয়তার সম্পর্ককে অটুট রাখা ওয়াজিব পর্যায়ের বিধান।বিস্তারিত জানুন-১৫৭৭
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত লিংকে বর্ণিত মূলনীতির আলোকে আমরা এ সিদ্ধান্তে পৌছতে সক্ষম হবো যে,নিজ নিকটাত্মীয়কে শরীয়তের বিধান সম্পর্কে অবগত করানো আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।তাদেরকে গায়রে শরয়ী কাজ থেকে বিরত থাকার যাবতীয় চেষ্টা-প্রচেষ্টা চালাতে হবে।তারপরও যদি তারা সামাজিকতার অজুহাত দেখিয়ে শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িয়ে যায়,তাহলে তাদের অনুষ্টান পরাত্যাগ করাই শ্রেয়।এবং এক্ষেত্রে সম্পর্ক নষ্টর দায়ভাড় আপনার উপর বর্তাবে না।
হ্যা তাদেরকে ভবিষ্যতে হেদায়তের দিকে দাওয়াত এবং নিয়ে আসার স্বার্থে তাদের বিয়ের ঐ সমস্ত অনুষ্টানে শরীক হওয়া যাবে,যেখানে আপনাকে শরীয়ত বিরোধী কোনো কাজে লিপ্ত হতে না হয়।তথা শরীয়ত বিরোধী অনুষ্টান সমূহ পরিত্যাগ পূর্বক তাদের বিয়েতে উপস্থিত হওয়া যাবে।বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/2895
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অনুষ্ঠান শুরুর এক-দেড় ঘণ্টা আগে গিয়ে হাদিয়া দিয়ে দ্রুত চলে আসাই যুক্তিসংগত হবে।