বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
"কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার কিছু বান্দাকে উদ্দেশ্য করে বলবেন, আমি ক্ষুদার্থ ছিলাম; তোমরা আমাকে খাবার দাওনি। আমি বস্ত্রহীন ছিলাম; তোমরা আমাকে বস্ত্র দাওনি। তখন বান্দারা বলবে, আপনার মতো সৃষ্টকর্তারও কি এগুলো দরকার হয়? তখন আল্লাহ জবাবে বলবেন, আমার অভাবগ্রস্ত বান্দাকে সাহায্য করা মানেই আমাকে সাহায্য করা।"
আপনার বর্ণিত হাদিসের মর্মার্থ হল,
উক্ত হাদীসে ফরয/ওয়াজিব সদকাহর কথা আলোচনা করা হচ্ছে
ফরয বা ওয়াজিব সদকাহ কয়েক প্রকারের হতে পারে।
যথাঃ-
(১)যাকাত
(২)বিত্তশালী প্রতিবেশীর নিকটাত্মীয় এমন কোনো অভাবী যে অর্থসংকটে মৃত্যুমুখে পতিত।এমন ব্যক্তিকে বিত্তশালী কিছু না দেয়া।কেননা এমতাবস্থায় বিত্তশালীর উপর কিছু দেয়া ফরয ছিলো।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/ বোন!
সদকাহ দুই প্রকার
(১)ফরয সদকাহ
(২)নফল সদকাহ।
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﻗَﺎﻝَ : « ﻓَﺮَﺽَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺯَﻛَﺎﺓَ ﺍﻟْﻔِﻄْﺮِ ﻃُﻬْﺮَﺓً ﻟِﻠﺼَّﺎﺋِﻢِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻭَﺍﻟﺮَّﻓَﺚِ ﻭَﻃُﻌْﻤَﺔً ﻟِﻠْﻤَﺴَﺎﻛِﻴﻦِ ﻣَﻦْ ﺃَﺩَّﺍﻫَﺎ ﻗَﺒْﻞَ ﺍﻟﺼَّﻼﺓِ ﻓَﻬِﻲَ ﺯَﻛَﺎﺓٌ ﻣَﻘْﺒُﻮﻟَﺔٌ ﻭَﻣَﻦْ ﺃَﺩَّﺍﻫَﺎ ﺑَﻌْﺪَ ﺍﻟﺼَّﻼﺓِ ﻓَﻬِﻲَ ﺻَﺪَﻗَﺔٌ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺼَّﺪَﻗَﺎﺕِ »
রাসূলুল্লাহ সাঃ সদকাতুল ফিতরকে ওয়াজিব করেছেন।রোযাকে বেহুদা ও অশ্লীলতা থেকে পবিত্র করতে।এবং মিসনদকিনদের জন্য খাদ্য স্বরূপ হিসেবে।সুতরাং যারা ঈদের নামাযের পূর্বে ফিতরা কে আদায় করে নিবে,তাদের সেই সদকাহ হলো মকবুল সদকাহ।আর যারা ঈদের নামাযের পর সেটাকে আদায় করবে,তাদের সেই সদকাহ অন্যন্য নফল সদকাহ এর মত। অর্থাৎ-আল্লাহ ইচ্ছা করলে কবুল করবেন,আর ইচ্ছা না করলে কবুল করবেন না।(সুনানু আবি-দাউদ-১৩৭১)
ক্ষেত্রবেদে নফল সদকাহ ও মাঝেমধ্যে ওয়াজিব হয়ে যায়।