আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
212 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (-1 points)
edited by
আমরা সকলেই একটি হাদিস জানি সেটা হলো:

"কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার কিছু বান্দাকে উদ্দেশ্য করে বলবেন, আমি ক্ষুদার্থ ছিলাম; তোমরা আমাকে খাবার দাওনি। আমি বস্ত্রহীন ছিলাম; তোমরা আমাকে বস্ত্র দাওনি। তখন বান্দারা বলবে, আপনার মতো সৃষ্টকর্তারও কি এগুলো দরকার হয়? তখন আল্লাহ জবাবে বলবেন, আমার অভাবগ্রস্ত বান্দাকে সাহায্য করা মানেই আমাকে সাহায্য করা।"

আমার প্রশ্ন হলো, কিয়ামতের দিন তো আল্লাহ তার বান্দাদের ফরয-ওয়াজিব ঠিকমতো পালন করেছে কীনা এ সম্পর্কে প্রশ্ন করবেন।
দান-সদকা তো নফল। তাহলে কেনো এর জন্যও বান্দাদের জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে?

তাহলে কি উপরের হাদিস দ্বারা এ কথা প্রমাণ হয় যে, গরীবদেরকে দান করা ওয়াজিব?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

"কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার কিছু বান্দাকে উদ্দেশ্য করে বলবেন, আমি ক্ষুদার্থ ছিলাম; তোমরা আমাকে খাবার দাওনি। আমি বস্ত্রহীন ছিলাম; তোমরা আমাকে বস্ত্র দাওনি। তখন বান্দারা বলবে, আপনার মতো সৃষ্টকর্তারও কি এগুলো দরকার হয়? তখন আল্লাহ জবাবে বলবেন, আমার অভাবগ্রস্ত বান্দাকে সাহায্য করা মানেই আমাকে সাহায্য করা।"

আপনার বর্ণিত হাদিসের মর্মার্থ হল,
উক্ত হাদীসে ফরয/ওয়াজিব সদকাহর কথা আলোচনা করা হচ্ছে
ফরয বা ওয়াজিব সদকাহ কয়েক প্রকারের হতে পারে।
যথাঃ-
(১)যাকাত
(২)বিত্তশালী প্রতিবেশীর নিকটাত্মীয় এমন কোনো অভাবী যে অর্থসংকটে মৃত্যুমুখে পতিত।এমন ব্যক্তিকে বিত্তশালী কিছু না দেয়া।কেননা এমতাবস্থায় বিত্তশালীর উপর কিছু দেয়া ফরয ছিলো।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/ বোন!
সদকাহ দুই প্রকার
(১)ফরয সদকাহ
(২)নফল সদকাহ।
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﻗَﺎﻝَ : « ﻓَﺮَﺽَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺯَﻛَﺎﺓَ ﺍﻟْﻔِﻄْﺮِ ﻃُﻬْﺮَﺓً ﻟِﻠﺼَّﺎﺋِﻢِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻭَﺍﻟﺮَّﻓَﺚِ ﻭَﻃُﻌْﻤَﺔً ﻟِﻠْﻤَﺴَﺎﻛِﻴﻦِ ﻣَﻦْ ﺃَﺩَّﺍﻫَﺎ ﻗَﺒْﻞَ ﺍﻟﺼَّﻼﺓِ ﻓَﻬِﻲَ ﺯَﻛَﺎﺓٌ ﻣَﻘْﺒُﻮﻟَﺔٌ ﻭَﻣَﻦْ ﺃَﺩَّﺍﻫَﺎ ﺑَﻌْﺪَ ﺍﻟﺼَّﻼﺓِ ﻓَﻬِﻲَ ﺻَﺪَﻗَﺔٌ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺼَّﺪَﻗَﺎﺕِ » 
রাসূলুল্লাহ সাঃ সদকাতুল ফিতরকে ওয়াজিব করেছেন।রোযাকে বেহুদা ও অশ্লীলতা থেকে পবিত্র করতে।এবং মিসনদকিনদের জন্য খাদ্য স্বরূপ হিসেবে।সুতরাং যারা ঈদের নামাযের পূর্বে ফিতরা কে আদায় করে নিবে,তাদের সেই সদকাহ হলো মকবুল সদকাহ।আর যারা ঈদের নামাযের পর সেটাকে আদায় করবে,তাদের সেই সদকাহ অন্যন্য নফল সদকাহ এর মত। অর্থাৎ-আল্লাহ ইচ্ছা করলে কবুল করবেন,আর ইচ্ছা না করলে কবুল করবেন না।(সুনানু আবি-দাউদ-১৩৭১)

ক্ষেত্রবেদে নফল সদকাহ ও মাঝেমধ্যে ওয়াজিব হয়ে যায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...