আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
190 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)

Daniel বা ড্যানিয়েল নামে যেই নবী আছে সেটা কি কুরআন সুন্নাহ দ্বারা কি প্রমানিত নাকি আর তিনি কি শুধু নবী ছিলেন নাকি রাসুল ও ছিলেন?  

 

.........................................................................................................................................................................

 

.........................................................................................................................................................................

.........................................................................................................................................................................

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


ইবনে কাসীর রহঃ আবু বকর ইবনে আবিদ দুনিয়া রহঃ এর কিতাব ‘কিতাবু আহকামিল কুবূর’ গ্রন্থের বরাতে এনেছেন যে,

وَقَدْ قَالَ أَبُو بَكْرٍ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا فِي كِتَابِ ” أَحْكَامِ الْقُبُورِ “: حَدَّثَنَا أَبُو بِلَالٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ حَدَّثَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ الْقَاسِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي الْأَشْعَثِ الْأَحْمَرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ دَانْيَالَ دَعَا رَبَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ تَدْفِنَهُ أُمَّةُ مُحَمَّدٍ فَلَمَّا افْتَتَحَ أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ تُسْتَرَ، وَجَدَهُ فِي تَابُوتٍ، تَضْرِبُ عُرُوقُهُ وَوَرِيدَهُ، وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ دَلَّ عَلَى دَانْيَالَ فَبَشِّرُوهُ بِالْجَنَّةِ. فَكَانَ الَّذِي دَلَّ عَلَيْهِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: حُرْقُوصٌ فَكَتَبَ أَبُو مُوسَى إِلَى عُمَرَ بِخَبَرِهِ فَكَتَبَ إِلَيْهِ عُمَرُ أَنِ ادْفِنْهُ، وَابْعَثْ إِلَى حُرْقُوصٍ ; فَإِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَشَّرَهُ بِالْجَنَّةِ» . وَهَذَا مُرْسَلٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَفِي كَوْنِهِ مَحْفُوظًا نَظَرٌ

আবুল আশআস আলআহমারী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নবী দানিয়াল আল্লাহর নিকট দুআ করেছিলেন যে, তার দাফনকার্য যেন উম্মতে মুহাম্মদীর হাতে সুসম্পন্ন হয়। পরবর্তীকালে আবূ মূসা আশআরী রাঃ এর হাতে তুস্তর নগরী বিজিত হলে তাঁর লাশ একটি সিন্দুকের মধ্যে দেখতে পান। এ সময় তাঁর দেহের শিরা ও কাধেঁর মোটা রগ দু’টি নড়াচড়া করছিল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন ‘যে ব্যক্তি দানিয়ালের লাশ সনাক্ত করিয়ে দিবে, তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দিবে’।

হারকূস নামক এক ব্যক্তি দানিয়াল আঃ এর লাশ সনাক্ত করেছিলেন। আবূ মূসা রাঃ হযরত উমর রাঃ কে এ বিষয়ে অবহিত করেন। তখন উমর রাঃ পত্র মারফত তাকে জানান যে, দানিয়ালকে ওখানে দাফন কর এবং হারকূসকে আমার নিকট পাঠিয়ে দাও। কেননা, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জান্নাতে সুসংবাদ দান করেছেন।

বর্ণিত সূত্রে হাদীসটি মুরসাল এবং এর বিশুদ্ধতার ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ আছে। [আল বিদায়া ওয়াননিহায়া, আরবী-২/২৭৭-২৭৮, বাংলা-৮৬-৮৭]

আবুল ‘আলিয়ার বর্ণনা অনুযায়ী, ওমর (রাঃ)-এর খেলাফতকালে (১৩-২৩ হিঃ) আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ) কর্তৃক ইরাকের তুসতার নগরী বিজিত হ’লে সেখানকার শাসক হুরমুযানের বায়তুল মালে চৌকির উপরে একজন ব্যক্তির অক্ষত লাশ পাওয়া যায়। যার মাথার কাছে একটি মুছহাফ ছিল। মুছহাফটি ওমর (রাঃ)-এর নিকটে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি নওমুসলিম ইহূদী পন্ডিত কা‘ব আল-আহবারকে ডেকে আরবীতে তার মর্ম উদ্ধার করেন। যার মধ্যে মানুষের আচরণবিধি, আদেশ-নিষেধ ও ভবিষ্যদ্বাণীসমূহ লিপিবদ্ধ ছিল। অতঃপর খলীফার নির্দেশক্রমে সেখানে দিনের বেলা ১৩টি কবর খনন করা হয় এবং রাতের বেলায় এগুলির কোন একটিতে দাফন করে মাটি সমান করে দেওয়া হয়। যাতে লোকেরা তা খুঁজে না পায় এবং ফিৎনায় পতিত না হয়। কেননা ইতিপূর্বে খরার সময় লোকেরা চৌকিসহ লাশটি বের করত এবং তার অসীলায় বৃষ্টি প্রার্থনা করত। বর্ণনাকারীর ধারণা মতে এটি ৩০০ বছর পূর্বেকার লাশ। লাশটির মাথার পিছনের কয়েকটি চুল পাকা ব্যতীত দেহের কোন অংশে পরিবর্তন ঘটেনি। কারণ নবীদের লাশ মাটি ও পশুতে খায় না’। ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, আবুল ‘আলিয়া পর্যন্ত বর্ণনাটির সূত্র ছহীহ। তবে ৩০০ বছরের পূর্বেকার ধারণামূলক বক্তব্যটি যদি সঠিক হয়, তাহ’লে তিনি নবী ছিলেন না বরং একজন সৎ ব্যক্তি ছিলেন।  কেননা ঈসা ও মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর মধ্যে কোন নবী ছিলেন না, যা ছহীহ বুখারীর হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত’ (আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ২/৪০; আলবানী, তাখরীজ ফাযায়েলুশ শাম ১/৫১, আছার ছহীহ)।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
দানিয়াল সম্পর্কে কুরআন ও হাদীছে কিছু পাওয়া যায় না। অতএব তিনি যে নবী ছিলেন, এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে বলার কোন উপায় নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...