ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
স্বামীর সামনে ছেলেদের পোশাক পরিধান করার রুখসত থাকলেও পরিধান না করাই উত্তম।
(২)
এক মহিলার সামনে আরেক মহিলার সতর কতটুকু এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে,
এক মহিলার সামনে অন্য মহিলার সতরঃ
نظر المرأة إلى المرأة كنظر الرجل إلى الرجل، كذا في الذخيرة. وهو الأصح، هكذا في الكافي. ولا يجوز للمرأة أن تنظر إلى بطن امرأة عن شهوة، كذا في السراجية. ولا ينبغي للمرأة الصالحة أن تنظر إليها المرأة الفاجرة؛ لأنها تصفها عند الرجال فلا تضع جلبابها، ولا خمارها عندها، ولا يحل أيضا لامرأة مؤمنة أن تكشف عورتها عند أمة مشركة أو كتابية إلا أن تكون أمة لها، كذا في السراج الوهاج
এক মহিলা অন্য মহিলার ঐ সমস্ত অঙ্গের দিকে দৃষ্টিপাত করতে পারবে,যা এক পুরুষ অন্য পুরুষের দিকে পারে।যখিরা নামক কিতাবে বর্ণিত আছে।এবং এটাই বিশুদ্ধ মত।(পুরুষের সামনে পুরুষের সতর কতটুকু সেটা পরে আসছে)কোনো মহিলার জন্য জায়েয নয় যে,সে আরেক মহিলার পেঠের দিকে কামভাব নিয়ে তাকাবে।নেককার মহিলার জন্য উচিৎ নয় যে,তার দিকে কোনো বদকার মহিলা দৃষ্টি দিবে।কেননা ঐ বদকার মহিলা তার স্বামীর কাছে গিয়ে ঐ নেককার মহিলার শরীরের বর্ণনা দিবে।সুতরাং নেককার মহিলা, বদকার মহিলার সামনে নেকাব এবং উড়না খুলবে না। ঠিকতেমনি কোনো কিতাবি বা মুশরিক মহিলার সামনে নেককার মহিলার জন্য সতর খুলা জায়েয হবে না।তবে নিজের বাদীর সামনে জায়েয রয়েছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩২৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাচ্চাকে স্তন্যদান করানোর সময় মা,বোন,শ্বাশুড়ি সামনে সতর উন্মুক্ত রাখা যাবে না।
(৩)
নাক ফোড়ানোর পর কিছুদিন অনেক বেশি ব্যাথা থাকে,এক্ষেত্রে ওজু/ফরজ গোসল করার সময় যদি ফোড়ানো ছিদ্রতে ব্যাথার কারনে পানি প্রবেশ না করানো সম্ভব না হয়, তাহলে মাসেহ করতে হবে। যতটুকু সম্ভবত হাতে পানি নিয়ে ছিদ্রর আশপাশকে মাসেহ করতে হবে।
এজন্য নাবালক বয়সে নাক ফোড়ানো উত্তম ও উচিৎ।