আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
303 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
recategorized by
আসসালামু আলাইকুম
১. স্বামীর সামনে ছেলেদের পোশাক পড়া যাবে কিনা???

২.বাচ্চাকে স্তন্যদান করানোর সময় মহিলাদের (মা,বোন,শ্বাশুড়ি) সামনে সতর উন্মুক্ত রাখা যাবে কিনা?

৩. নাক ফোড়ানোর পর কিছুদিন অনেক বেশি ব্যাথা থাকে,এক্ষেত্রে ওজু/ফরজ গোসল করার সময় যদি ফোড়ানো ছিদ্রতে ব্যাথার কারনে পানি প্রবেশ না করাতে পারি তাহলে কি ওজু/গোসল হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
স্বামীর সামনে ছেলেদের পোশাক পরিধান করার রুখসত থাকলেও পরিধান না করাই উত্তম।

(২)
এক মহিলার সামনে আরেক মহিলার সতর কতটুকু এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে,
এক মহিলার সামনে অন্য মহিলার সতরঃ
نظر المرأة إلى المرأة كنظر الرجل إلى الرجل، كذا في الذخيرة. وهو الأصح، هكذا في الكافي. ولا يجوز للمرأة أن تنظر إلى بطن امرأة عن شهوة، كذا في السراجية. ولا ينبغي للمرأة الصالحة أن تنظر إليها المرأة الفاجرة؛ لأنها تصفها عند الرجال فلا تضع جلبابها، ولا خمارها عندها، ولا يحل أيضا لامرأة مؤمنة أن تكشف عورتها عند أمة مشركة أو كتابية إلا أن تكون أمة لها، كذا في السراج الوهاج
এক মহিলা অন্য মহিলার ঐ সমস্ত অঙ্গের দিকে দৃষ্টিপাত করতে পারবে,যা এক পুরুষ অন্য পুরুষের দিকে পারে।যখিরা নামক কিতাবে বর্ণিত আছে।এবং এটাই বিশুদ্ধ মত।(পুরুষের সামনে পুরুষের সতর কতটুকু সেটা পরে আসছে)কোনো মহিলার জন্য জায়েয নয় যে,সে আরেক মহিলার পেঠের  দিকে কামভাব নিয়ে তাকাবে।নেককার মহিলার জন্য উচিৎ নয় যে,তার দিকে কোনো বদকার মহিলা দৃষ্টি দিবে।কেননা ঐ বদকার মহিলা তার স্বামীর কাছে গিয়ে ঐ নেককার মহিলার শরীরের বর্ণনা দিবে।সুতরাং নেককার মহিলা, বদকার মহিলার সামনে নেকাব এবং উড়না খুলবে না। ঠিকতেমনি কোনো কিতাবি বা মুশরিক মহিলার সামনে নেককার মহিলার জন্য সতর খুলা জায়েয হবে না।তবে নিজের বাদীর সামনে জায়েয রয়েছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩২৭)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাচ্চাকে স্তন্যদান করানোর সময় মা,বোন,শ্বাশুড়ি সামনে সতর উন্মুক্ত রাখা যাবে না।

(৩)
নাক ফোড়ানোর পর কিছুদিন অনেক বেশি ব্যাথা থাকে,এক্ষেত্রে ওজু/ফরজ গোসল করার সময় যদি ফোড়ানো ছিদ্রতে ব্যাথার কারনে পানি প্রবেশ না করানো সম্ভব না হয়, তাহলে মাসেহ করতে হবে। যতটুকু সম্ভবত হাতে পানি নিয়ে ছিদ্রর আশপাশকে মাসেহ করতে হবে।
এজন্য নাবালক বয়সে নাক ফোড়ানো উত্তম ও উচিৎ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...