ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُشَيْرٍ ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ : أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَهْطٍ مِنْ مُزَيْنَةَ لِنُبَايِعَهُ ، " وَإِنَّ قَمِيصَهُ لَمُطْلَقٌ ، أَوْ قَالَ : زِرُّ قَمِيصِهِ مُطْلَقٌ قَالَ : فَأَدْخَلْتُ يَدِي فِي جَيْبِ قَمِيصِهِ , فَمَسَسْتُ الْخَاتَمَ " .
মু’আবিয়া ইবনে কুররা (রাঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মুযায়না গোত্রের একদল লোকের সাথে বায়’আত গ্রহণ করার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উপস্থিত হলাম। এ সময় তাঁর জামার বোতাম খোলা ছিল। আমি তখন (বরকত লাভ করার জন্য) জামার ফাঁক দিয়ে হাত ঢুকিয়ে মোহরে নবুওয়াত স্পর্শ করলাম।
(আবু দাউদ, হা/৪০৮৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫৬১৯,শামায়েলে তিরমিজি ৩৫)
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَا: حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عُرْوَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ - قَالَ ابْنُ نُفَيْلٍ: ابْنُ قُشَيْرٍ أَبُو مَهَلٍ الْجُعْفِيُّ - حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ قُرَّةَ، حَدَّثَنِي أَبِي، قَالَ: أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَهْطٍ مِنْ مُزَيْنَةَ، فَبَايَعْنَاهُ، وَإِنَّ قَمِيصَهُ لَمُطْلَقُ الْأَزْرَارِ، قَالَ: فَبَايَعْتُهُ ثُمَّ أَدْخَلْتُ يَدَيَّ فِي جَيْبِ قَمِيصِهِ، فَمَسِسْتُ الْخَاتَمَ قَالَ عُرْوَةُ: فَمَا رَأَيْتُ مُعَاوِيَةَ وَلَا ابْنَهُ قَطُّ، إِلَّا مُطْلِقَيْ أَزْرَارِهِمَا فِي شِتَاءٍ وَلَا حَرٍّ، وَلَا يُزَرِّرَانِ أَزْرَارَهُمَا أَبَدًا صحيح
মু‘আবিয়াহ ইবনু কুররাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা বলেন, আমি মুযাইনাহ গোত্রের প্রতিনিধি দলের সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে বাই‘আত করতে যাই। আমরা তাঁর নিকট বাই‘আত নিলাম। এ সময় তাঁর জামার বোতাম খোলা ছিলো। আমি আমার হাত তাঁর জামার বুকের ফাঁক দিয়ে ভিতরে ঢুকিয়ে মোহরে নাবূওয়াত স্পর্শ করলাম। উরওয়াহ (রহঃ) বলেন, এরপর থেকে মুআবিয়াহ ও তার ছেলেকে সর্বদা তাদের জামার বোতাম খুলে রাখতে দেখেছি। চাই তা শীতকাল হোক বা গরমকাল, তারা কখনো বোতাম লাগাতেন না।
(আবু দাউদ ৪০৮২)
এক বর্ণনায় এসেছে, মুযায়নাহ্ গোত্রের এক দল লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আগমন করেছিলেন, তাদের সংখ্যা ছিল চারশত। বিভিন্ন সময় আগমনের কারণে তাদের সংখ্যায় বিভিন্ন রকম ছিল। অত্র হাদীসসহ আরো বেশ কিছু হাদীসে দেখা যায় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জামার বুতাম খোলা ছিল এবং গলা ছিল খোলা, ফলে গলার মধ্য দিয়ে সহজেই হাত ঢুকানো যেত।
এমনকি কিছু হাদীসে তো দেখা যায় তার জামার বুতামই ছিল না। আসলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে অবস্থা ভেদে কখনো বুতাম খোলা রাখতেন আবার কখনো আটকিয়ে রাখতেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত হাদীসে বর্ণিত রাসুলের জামার মূলত কয়টি বোতাম ছিলো,সেটি তো জানা নেই।
তাই কয়টি বোতাম খোলা ছিলো,সেটি স্পষ্ট আকারে বলা যায়না।
আসলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে অবস্থা ভেদে কখনো বুতাম খোলা রাখতেন আবার কখনো আটকিয়ে রাখতেন।
এটি সুন্নাতে যায়েদাহ,পালন না করলে কোনো গুনাহ নেই।
ঘরের মধ্যে নামাজ ব্যাতিত অন্য অবস্থাতে এর উপর আমল করা যাবে।