আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
240 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম

আমি একজনকে ভালোবাসি এবং সেটা আমার পরিবারের সবাই জানে এমনকি আমার বাবা মাঝে মাঝে ওকে ফোন দিয়ে খোঁজ খবর নেয়, আমি বলেছি ওকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবো না, কিন্তু আমার ফ্যামিলির কথা এখন প্রেম করো কিন্তু বিয়ে ছেলে প্রতিষ্ঠিত হলেই দিবো কারন ছেলের পরিবারের কুফু মিলে না আমার পরিবারের সাথে কিন্তু সে যেহেতু ভার্সিটিতে পড়ে ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত হ‌ওয়ার সম্ভাবনা আছে ইনশা আল্লাহ।

আমরা এতদিন হারামে থাকতে চাইনি নিজেরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই কিন্তু আমি যেহেতু হেদায়েত পাওয়ার পর ফেসবুক থেকেই দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করেছি তাই আমি মনে মনে এটাই দৃঢ় বিশ্বাস করতাম যে অভিভাবক ছাড়া বিয়ে হয় না, কিন্তু হানাফী মাযহাব অনুযায়ী যথাযথ শর্ত পূরণ হলে অভিভাবক ছাড়া ও বিয়ে হবে এবং যেহেতু আমার পরিবার কোন অবস্থাতেই এই মুহূর্তে বিয়ে দিতে রাজি না তাই মনে করেছি যে নিরুপায় হয়ে অভিভাবক ছাড়া বিয়ে করলে ও কবুল হবে তাছাড়া হানাফী মাজহাবে তো অনুমোদিত আছেই।
আমরা গত ১৮ তারিখ রাতে কাজী অফিসে বিয়ে করেছি কিন্তু আমি যেহেতু আগে থেকেই বিশ্বাস করতাম যে অভিভাবক ছাড়া বিয়ে হয় না তাই আমি বিয়ে টাকে সিরিয়াসলি নিতে পারিনি বারবার মনের মধ্যে আসছিলো যে এই বিয়ে না গ্রহনযোগ্য না হলে সমস্যা নাই তো পরে তো ফ্যামিলি থেকে বিয়ে করবোই‌।

আমার দ্বীনের জ্ঞান তেমন নাই হেদায়েত পাওয়ার পর প্রথমে এটাই জানছিলাম তাই ঐ বিশ্বাস থেকে বের হতে পারিনি তবে ওর বিশ্বাসে সমস্যা নাই।

আমাদের বিয়ের সময় কাজী এবং আরো দুইজন ছিলো তবে তাদের দু জনের বয়স ১৬-১৭ মতো হবে।

আমি বিয়ের আগে একবার চিন্তা করেছি পাপ থেকে বাঁচতে বিয়ে করতেছি আবার মনে হয়েছে এইভাবে বিয়ে হয় না ঠিক কবুল বলার মুহূর্তে আমি কোনটা মাথায় নিয়ে কবুল বলেছি মনে করতে পারছি না।

আমি জানি মানুষের সব কাজ নিয়তের সাথে সম্পর্কিত যেহেতু আমার অভিভাবক ছাড়া বিয়েতে একটু সন্দেহ ছিলো আর বিয়ের সময় ঠিক কোন ধারণা (এইভাবে বিয়ে গ্রহনযোগ্য হচ্ছে কি না) বলে কবুল বলেছি খেয়াল নাই।

 এই জন্য আমি কনফিউজড আসলে আমার মনের এমন চিন্তার জন্য কি তাহলে আমাদের বিয়ে টা হয়নি? মনের মধ্যে এমন দ্বিধা থাকায় আমি আমার স্বামীকে ও পরিপূর্ণ ভাবে মর্যাদা দিতে পারতেছি না বা তার হক আদায় করতে পারছি না মন থেকে, বারবার মনে হচ্ছে আমার ওমন চিন্তার জন্য আমাদের বিয়ে টা অগ্রহনযোগ্য হয়নি‌ তো?
দুশ্চিন্তায় পাগল প্রায় অবস্থা।

একটু সবকিছু বিবেচনা করে আমাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবেন প্লিজ, আসলে আমরা স্বামী-স্ত্রী এর সম্পর্ক কন্টিনিউ করতে পারবো নাকি মনের ঐ দ্বিধা বাদ দিয়ে আবার বিয়ে করতে হবে কি না?

1 Answer

0 votes
by (566,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


পাত্র পাত্রী উভয়েই যদি বালেগ বালেগাহ হয়,
তাহলে সেক্ষেত্রে তারা উভয়ে দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সাক্ষ্যির উপস্থিতিতে বিয়ের প্রস্তাব ও প্রস্তাব গ্রহণ সম্পন্ন করে, তাহলে তাদের বিয়ে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক শুদ্ধ হয়ে যাবে।

যদিও তাদের অভিভাবক  কিছুই না জানে বা রাজি না থাকে। কিংবা তিনি অনুমতি নাও দিয়ে থাকে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ؛ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মেয়ে তার ব্যক্তিগত বিষয়ে অভিভাবকের চেয়ে অধিক হকদার। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৮৮৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৪২১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৮৮৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২০৯৮, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৩৪, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১০৮, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৩২৬০, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪০৮৪, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৩৫৭৬}

আরো জানুনঃ-

উল্লেখ্য যে  মাতাপিতা সন্তুষ্টি ও অনুমতি নিয়ে সবাইকে অগ্রসর হতে হবে।এবং মাতাপিতার সন্তুষ্টিই দুনিয়া ও অাখেরাতের কল্যাণের উত্তম মাধ্যম।মাতাপিতাকে কষ্ট দিয়ে জীবনে সূখী হওয়া যাবে না।

তাছাড়া বৈধ ও ভালো কাজে মাতাপিতার নির্দেশ মান্য করাও ওয়াজিব।

সুতরাং আমরা পরামর্শ স্বরুপ বলবো যদিও উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে বাবার মতামতকে উপেক্ষা করে বিবাহ হয়ে যাবে,তারপরেও এভাবে অভিভাবককে না  জানিয়ে চুরি করে,অথবা তাদের মতামতকে উপেক্ষা করে  বিয়ে করা কখনো উচিৎ হবে না।কেননা মাতাপিতা সব সময় সন্তানের কল্যাণ চায়।তাই মাতাপিতার পরামর্শ ও আদেশ মান্য করাই সবার জন্য কল্যাণকর।

এই বিষয়ে চার মাযহাবের অবস্থান জানুনঃ-

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি আর আপনার স্বামী কোন মাযহাব অনুসারী? 
যদি হানাফি মাযহাবের অনুসারী হোন,সেক্ষেত্রে বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে।

ভিন্ন মাযহাব বা আহলে হাদীস অনুসারী হলে এই বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।

আপনারা হানাফি মাযহাবের অনুসারী হলে যদিও বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে,তবে প্রশ্নের বিবরন মতে উভয়ের মাঝে কুফুর মিল না থাকায় এক্ষেত্রে আপমার বাবা চাইলে আদালতের মাধ্যমে এই বিবাহ সম্পর্ক ভেঙ্গে দিতে পারবে।
এই অধিকার তার আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (20 points)
উনি হানাফী মাযহাবের অনুসারী কিন্তু আমি কোন স্পেসিফিক মাজহাব ফলো করি না, মাজহাবের ব্যাপারে আমার কোন আইডিয়া ও নাই, দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পর ফেসবুক থেকে ই সবকিছু জেনেছি। এর মধ্যে যেটা উত্তম মনে হয়েছে সেটা সেইভাবে ই অনুসরণ করেছি। আমাকে দয়া করে পরামর্শ দিবেন আমরা এখন কি করতে পারি? ফ্যামিলি থেকে এ মুহূর্তে বিয়ে দিবে না 
by (566,400 points)
আপনি যেহেতু হানাফি মাযহাব অনুসারী নন,তাই উপরোক্ত বিবাহ শুদ্ধ হয়নি।

অভিভাবকদের অনুমতি স্বাপেক্ষে পুনরায় বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...