জবাব
ফিকহে দু'টি পরিভাষা রয়েছে,
(১)ইবাহত,অর্থ কেউ কাউকে কোনো জিনিষ যদি ইবাহতের নিয়তে দেয়,তাহলে ঐ জিনিষ সে নিজে ঐ কাজের জন্য ব্যবহার করতে পারবে,যে কাজের জন্য ইবাহত করে দেয়া হয়েছে।
(২)তামলিক,মালিক বানিয়ে দেয়া।যদি কেউ কাউকে কোনো জিনিষের মালিক বানিয়ে দেয়,তাহলে সে শুধুমাত্র ঐ জিনিষের মালিক হয়ে যাবে।সে যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবে।অন্য কাউকে হাদিয়াও দিতে পারবে।
আপনাকে যে শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হয়েছে,সেটা কোন প্রকৃতির সেটা প্রথমে দেখতে হবে।
যদি ইবাহত প্রকৃতির হয়ে থাকে,তাহলে আপাকে ঐ বৃত্তির টাকা শুধুমাত্র পড়াশোনার কাজেই ব্যয় করতে হবে।অন্যত্র ব্যয় করলে,সেটা জায়েয হবে না।
কিন্তু যদি দ্বিতীয় প্রকৃতির হয়,তথা আপনাকে মালিক বানিয়ে দিয়ে দেয়া হয়,তাহলে আপনি ঐ টাকা পড়াশোনা ছাড়াও যে কোনো কাজে ব্যয় করতে পারবেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রথমে আপনি খোজ নিয়ে দেখবেন,আপনার বৃত্তির টাকা কোন পর্যায়ের।
যদি জানা না যায়,তাহলে করণীয় হল,উক্ত টাকাকে পড়াশোনা ব্যতীত অন্য কোনো কাজে ব্যয় না করা।
যেহেতু আমাদের সমাজে অবশিষ্ট বৃত্তির টাকার কোনো সিষ্টেম নাই,ফিরিয়ে নেয়া হয় না,তাই বুঝা যাচ্ছে,এগুলো দ্বিতীয় পর্যায়েরই হবে।সে হিসেবে ঐ টাকাকে পড়াশোনা ছাড়াও ভিন্ন কাজে ব্যয় করা যাবে।তবে পড়াশোনাতে ব্যয় করাই উত্তম।
আপনাকে ঐ জিনিষের ব্যপারে কিছুই করতে হবে না।তবে ভবিষ্যতে আর এমনটা করবেন না।