আসসালামু আলাইকুম।
আমার শ্বাশুড়ি ও আমার বাবা মিলে আমার ছেলেকে ১ লক্ষ টাকা দিয়েছিলো। বলেছে সে যখন হিফজে ভর্তি হবে তখন এই টাকা থেকে ওর মাদ্রাসায় বেতন দিতে। তো টাকা টা আমার কাছে প্রায় ২ বছর এভাবেই ছিলো।
একটা বড় ব্যক্তিগত সমস্যায় পড়ে টাকা টা আমি খরচ করেছি। আমি জানি এটা ওর আমানত। তবুও আমার আর কোন উপায় ছিল না। আবার এরপর থেকে ওর জন্য প্রতি মাসে টাকা টা জমাচ্ছি কিছু কিছু করে। আমার স্বামী আমাকে মাসিক একটা হাতখরচ দেন। সেটাই আমি আমার ছেলের জন্য জমাচ্ছি। এ পর্যন্ত ৩৫,০০০ টাকা জমিয়ে ফেলেছি। ইতোমধ্যে ওর হিফজ শুরু হয়েছে আর এই জমানো টাকা থেকে আমি ওর মাদ্রাসায় বেতন দিয়ে যাচ্ছি। ইন শা আল্লাহ আমি আগামী ৯-১০ মাসের মধ্যে ওর পুরা টাকা টা জমিয়ে ফেলতে পারব।
এখন বিষয় হলো এবছর আমি হজ্বে যাচ্ছি ইন শা আল্লাহ। হজ্বের টাকা টা আমার বাবার বাড়ি থেকে পেয়েছি।এরপর আমার হজ্ব ফরজ হয়। তো ঐ টাকা থেকে আমার ছেলের টাকা শোধ করলে আমার হজ্বের টাকায় টান পড়বে। উপরন্তু এ টাকায় ও হবে না। আমার স্বামী আমাকে আরো কিছু টাকা হজের জন্য দিচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়ে এভাবে ছেলের টাকা টা জমাচ্ছি।
আমার প্রশ্ন হলো ঋণ রেখে হজ্ব না কি হয়না শুনেছি। আমার ছেলের টাকা টা তো আমার উপর একধরণের ঋণ। আমার এখনো প্রায় ৬৫০০০ টাকা জমানো বাকি ওর জন্য অর্থাৎ আমার ঋণ ৬৫০০০ টাকা। এই ঋণ রেখে হজ্বে গেলে কি আমার হজ্ব কবুল হবে? আর আমি যদি মারা যাই তবে ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা ইন শা আল্লাহ হবে। আমার স্বামী জানলে তিনি অবশ্যই এখনই পরিশোধ করবেন তবে আমি উনাকে জানাতে চাচ্ছি না। বিশ্বস্ত একজন কে শুধু জানিয়ে যাচ্ছি যে আমার কিছু হয়ে গেলে তিনি যেন আমার স্বামীকে ঐটা অবগত করেন।
আমি খুব পেরেশানি তে আছি। দয়া করে জানাবেন।