আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
168 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।

১।এক প্রশ্নের উত্তর এ বলা হইসে।বউ যদি বলে যাব গা থাকব না হাসবেন্ড যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া  বলে যাও গা,না থাকলা।ইচ্ছা হইলে যাও গা।এতে কি বউ কে অধিকার দেওয়া বুজাবে।(যাও গা ত অধিকার দেওয়ার নিয়তে বলা হই না)আর বউ যদি তখন বলে গেলাম গা এই বলে ঘর থেকে বাহির হই তাইলে অধিকার কে গ্রহণ করা বুজাবে।কিন্তু বউ ত নিজের উপর তালাক পতিত করে নাই।তাইলে কি তালাক হবে।হইলেও কয়টা হবে?

ক।উক্ত অবস্থায় যদি  বউ ঘর থেকে বাহির না হই।ঘরেই বসে কাপর গুসাই আর বলে যাব গা, গেলাম গা।দেখে হাসবেন্ড কি বলে।এতে করে কি অধিকার গ্রহন করা বুজাবে।তাইলে কি তালাক হবে?

খ।বউ যদি রাগ কইরা বলে থাক আমিই গেলাম গা।হাসবেন্ড যদি বলে যাও গা।বউ যদি ঘর থেকে বাহির হই তাইলে কি তালাক হবে।

গ।উক্ত অবস্থায় বউ যদি রাগ কইরা বলে গেলাম গা।হাসবেন্ড তখন শুধু যাও গা বলছিল নাকি ইচ্ছে হইলে যাও গা বা থাইক না বলছিল তা যদি মনে না আসে তাইলে কোন  টা ধরে নিব।তখন বউ যদি ঘর থেকে বার হই তাইলে কি তালাক হবে।

২।বউ জদি বলে যাব গা,থাকব না সংসার করব না।একেক দিন একেক টা বলছে।হাসবেন্ড যদি বলে যাও গা।এতে কি অধিকার দেওয়া বুজাবে?তখন বউ যদি বলে আচ্ছা যাব নি।এতে কি অধিকার  কে গ্রহণ করা বুজাবে?এতে কি তালাক হবে?

৩।বউ যদি বলে বলে ছাইড়া দেও হাসবেন্ড যদি বলে যাও গা এতে কি  বউ কে অধিকার দেওয়া বুজাবে।

৪।আমার পোলাপান দিয়া যেখাবে খুসি যাও।আরেকটা বিয়ে কর গা।এগুলা তালাকের নিয়ত ছাড়া বললে তালাক হই না।কিন্তু এ গুলাতে কি বউ কে অধিকার দেওয়া বুজাবে।
৫।হাসবেন্ড যদি বউ কে বুজানোর জন্য তালাক, ছাড়া শব্দ বেবহার করে বুজাই তাইলে কি কোন সমস্যা হবে???

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আপনার প্রশ্নের জবাব প্রস্তুত হচ্ছে।ইনশাআল্লাহ অচিরেই জবাব পেয়ে যাবেন। ধর্য সহকারে অপেক্ষার জন্য আন্তরিক অভিবাদন। জাযাকুমুল্লাহ।

প্রথমে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে একটু মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন-
ফতোয়া আরবী শব্দ এবং কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামী শরীয়তের একটি মর্যাদাপূর্ণ পরিভাষা। বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে ‘ফতোয়া’ সংক্রান্ত আরো কিছু শব্দের অর্থ জেনে নেওয়া আবশ্যক। যথা : ইস্তিফতা, মুসতাফতী, মুফতী, ইফতা ও দারুল ইফতা। কুরআন-সুন্নাহ ও দ্বীনী ইলমের মাহির আলিমের নিকট কোনো দ্বীনী বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের বিধান জিজ্ঞাসা করাকে ‘ইস্তিফতা’ বলে। প্রশ্নকারীকে ‘মুস্তাফতী’ বা ‘সাইল’ বলে। বিশেষজ্ঞ আলিম শরীয়তের দলীলের আলোকে যে বিধান বর্ণনা করেন তাকে ‘ফতোয়া’ বলে। বিধান বর্ণনাকারী আলিমকে মুফতী এবং তার এই কাজ অর্থাৎ প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে শরীয়তের বিধান বর্ণনা করাকে ‘ইফতা’ বলে। যে প্রতিষ্ঠান এই দায়িত্ব পালন করে তাকে ‘দারুল ইফতা’ বলে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...