ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
তাবিজ ব্যবহার সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে। আকিদা বিশুদ্ধ রেখে কুরআন সুন্নাহ দ্বারা তাবিজ ব্যবহার করলে,এবং আল্লাহকে শে'ফা দানকনকারী মনে করলে, সেটা রুখসতযোগ্য।
(২)
বর্তমান সমাজে জমি বন্ধকের প্রচলন রয়েছে।অহরহ জমি বন্ধক দেওয়া হচ্ছে বা নেওয়া হচ্ছে।কিন্তু জমি বন্ধকের ইসলামী নিয়মনীতি কি এ সম্পর্কে অনেকেরই কোনো ধারণা নেই।
ইসলাম এ প্রচলিত পদ্ধতি সম্পর্কে কি বলে?
আসুন কিছুটা সময় ব্যয় করে এ সম্পর্কে কিছু শরয়ী বিধি-বিধান জেনে নেই।যাতে ইহকাল ও পরকালের সঠিক রাস্তা অর্জন করতে সহায়ক হয়।
বন্ধকের সংজ্ঞা বর্ণনা করতে যেয়ে আল্লামা হাসক্বফী রাহ বলেনঃ
(هُوَ) لُغَةً: حَبْسُ الشَّيْءِ.
وَشَرْعًا (حَبْسُ شَيْءٍ مَالِيٍّ) أَيْ جَعْلُهُ مَحْبُوسًا لِأَنَّ الْحَابِسَ هُوَ الْمُرْتَهِن(ُبِحَقٍّ يُمْكِنُ اسْتِيفَاؤُهُ)
তরজমাঃরেহেন(বন্ধক)এর শাব্দিক অর্থ কোনো কিছুকে বন্ধী করে রাখা।পারিভাষায় রেহেন বলা হয়,কোনো জিনিষকে হক্ব বা কোনো প্রাপ্তধনের মুকাবেলায় বন্ধী করে রাখা।যাতে পরিবর্তীতে তা দিয়ে নিজ প্রাপ্যকে উসূল করা যায়। (আদ-দুর্রুল মুখতার-৬/৪৭৭) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
(৩)
এই মাস'আলাকে কুরআন ও হাদীসের অসংখ্য নস থেকে ইজতেহাদের মাধ্যমে নির্গত করা হয়েছে।
(৪)
এগুলো মনের ওয়াসওয়াসা। এই ওয়াসওয়াসাকে কোনো স্থান দিবেন না। যখন নিশ্চিত হবেন যে, প্রস্রাব বের হয়েছে বা কাপড়ে লেগেছে, তখনই কেবল আপনি অযু ভঙ্গ হয়েছে বলে ধরে নিবেন।
(৫)
(ক) মসজিদ ওয়াকফ সম্পত্তি।আর ওয়াকফ সম্পত্তির মালিক আল্লাহ। ওয়াকফ করার পর সেই জমিকে আর ফিরিয়ে নেয়া যায়।সুতরাং পুরাতন মসজিদে দানকৃত জমিকে জোরপূর্বক কেউ নিতে পারবে না।নতুন মসজিদের জন্য নেওয়াও জায়েয হবে না।
(খ) নতুন পুরাতন যেকোনো মসজিদের ইমাম বা মুয়াজ্জিন এর পিছনে সালাত আদায় করা যাবে।
(গ) মসজিদে হিন্দুদের দান গ্রহণ করা যাবে যদি সেটা বৈধভাবে তাদের উপার্জিত সম্পদ হয়।
(ঘ) আপনি যেকোনো মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারবেন।