ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হারাম মূল দ্বারা যদি কেউ হালাল উপায়ে কিছু উপার্জন করে, যে উপার্জনের তার শ্রমও থাকবে, ফুকাহায়ে কেরামের মতে এখানে মূলধন হারাম থাকার কারণে ঐ ব্যক্তির উপার্জন হারাম হবে না। বরং হালালই থাকবে। কেননা এখানে তার হালাল শ্রম রয়েছে। এবং পদ্ধতিও হালাল ছিল। হ্যা, তার উপর ওয়াজিব,সে ঐ হারাম মূলধনকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিবে বা সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত সদকাহ করে দিবে। কারো সামর্থ্য থাকাবস্থায় হারাম মূলধন দ্বারা ব্যবসা করা কখনো জায়েয হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) হারাম টাকা দিয়ে হালাল ব্যবসার লভ্যাংশের টাকা হারাম হবে না।হ্যা, কেউ কেউ হারামও বলেছেন। তবে হারাম মূলধনকে সদকাহ করা,তার মালিকের নিকট পৌছিয়ে দেয়া ওয়াজিব।
হালাল প্রতিষ্ঠানের মালিক যদি সুদের টাকা থেকে হালাল কাজে নিয়োজিত কর্মীকে বেতন দেয়, সেটাও হারাম না। হ্যা, কেউ কেউ সেটাকেও হারাম বলেছেন।
(২) সুদের কাজের বেতনের টাকা পরিশ্রমের টাকা হিসেবে গণ্য হবে না।
(৩) হারাম জবের বেতনের টাকা সদকাহ করে দিবেন।যদি এই হারাম টাকা ব্যতিত আর কোনো হালাল টাকা আপনার নিকট না থাকে, তাহলে আপনি আপাতত এই হারাম মূলধন দ্বারা ব্যবসা করতে পারবেন।তবে এই হারাম মূলধনকে অবশ্যই সদকাহ করতে হবে।
(৪) যারা এক মুসলমান, আরেক মুসলমানকে হারাম পথে যেতে অনুপ্রাণিত করতেছে, উপদেশ দিতেছে, তাদের অবশ্যই গুনাহ হবে।
(৫) হারাম উপায়ে উপার্জন করলে পরিপূর্ণ মুমিন হওয়া যাবে না।