আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
233 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (76 points)
edited by

তবে বিনা প্রয়োজনে সেখানে চাকরী এবং বসবাসের কোনো অনুমিত শরীয়তে নেই।

যেমন,আবু দাঊদ শরীফে হযরত সামুরা ইব্ন জুনদুব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন :

ﻣﻦ ﺟﺎﻣﻊ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ ﻭﺳﻜﻦ ﻣﻌﻪ، ﻓﺎﻧﻪ ﻣﺜﻠﻪ –

“যে ব্যক্তি অমুলিমদের সাথে চলাফেরা করবে এবং তাদের সাথে বসবাস করবে, সেও তাদের অনুরূপ হবে”। (আবু দাঊদ, কিতাবুদ্দাহায়া)

 

হযরত জারীর ইব্ন আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন :

ﺍﻧﺎ ﺑﺮﻳﺊ ﻣﻦ ﻛﻞ ﻣﺴﻠﻢ ﻳﻘﻴﻢ ﺑﻴﻦ ﺍﻇﻬﺮ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ، ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ! ﻟﻢ؟ ﻗﺎﻝ ﻻ ﺗﺮﺉ ﺍﻱ ﻧﺎﺭﻫﻤﺎ -

“সেসব মুসলমানদের ব্যাপারে আমার কোন দায়-দায়িত্ব নেই, যারা অমুসলিমদের সাথে বসবাস করে। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! এর কারণ কি? তিনি উত্তরে বললেন, ইসলামের অগ্নি এবং কুফরীর অগ্নি উভয়টি এক সাথে থাকতে পারেনা। কোনটি মুসলমানের আগুন, কোনটি অমুসলিমের আগুন তোমরা তা পার্থক্য করতে পারবেনা”।

বিস্তারিত জানতে মুফতী তাকী উসমানী রাহ কর্তৃক লিখিত-ফেকহী মাক্বালাত (১/২৪৩) দেখা যেতে পারে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 3447

১।যদি অমুসলিমদের পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকে আগুন দেখা না যায় তাহলে কি সমস্যা হবে 

 

২।অমুসলিমের সাথে কাজ করে বা তার অধিনে কাজ করে তাহলে কি সমস্যা 

 

৩/উপরের হাদিসগুলির হুকুম ও  ব্যাখা জানতে চাই 

৪/মুসলিম দেশে পরিশ্রম বেশি বেতন কম বেশি টাকা ইনকামের আশায়  অমুসলিম দেশে গেলে ইমান ও আমল ঠিক থাকলে অশ্লিলতা বেহায়াপনা না করলে তারপরও কি গুনাহ  এবং  ইমানের ক্ষতি হবে কি 

৫।এখন সাধারণত ইউরোপ আমেরিকাতে মুসলিম কমিউনিটি থাকে সেখানে গিয়ে তাদের সাথে থাকতে পারি তাহলে কি সমস্যা হবে? 

৬/আর যদি থাকতে না পারি তাদের সাথে সুসম্পর্ক রাখলে হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


★প্রশ্নে উল্লেখিত ১ম হাদীসঃ-

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ بْنِ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، حَدَّثَنِي خُبَيْبُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ سُلَيْمَانَ بْنِ سَمُرَةَ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، أَمَّا بَعْدُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ جَامَعَ الْمُشْرِكَ وَسَكَنَ مَعَهُ فَإِنَّهُ مِثْلُهُ صحيح

সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কেউ কোনো মুশরিকের সাহচর্যে থাকলে এবং তাদের সাথে বসবাস করলে সে তাদেরই মতো।
(আবু দাউদ ২৭৭৮ ইফাঃ)

★হাদীসের হুকুমঃ সহীহ। 

উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যাঃ আওনুল মা'বুদ শরহে সুনানে আবি দাউদ এ আছেঃ-

(من جامع) بصيغة الماضي على وزن قاتل، هكذا في جميع النسخ وهو المحفوظ. 
قال أصحاب اللغة: جامعه على كذا اجتمع معه ووافقه. انتهى. 
(المشرك) بالله والمراد الكفار، ونص على المشرك؛ لأنه الأغلب حينئذ والمعنى من اجتمع مع المشرك ووافقه ورافقه ومشى معه. 
قال المناوي في فتح القدير شرح الجامع الصغير: وقيل: معناه نكح الشخص المشرك يعني: إذا أسلم فتأخرت عنه زوجته المشركة حتى بانت منه، فحذر من وطئه إياها. ويؤيده ما روي عن سمرة بن جندب مرفوعا: {لا تساكنوا المشركين ولا تجامعوهم فمن ساكنهم أو جامعهم فهو منهم}. انتهى. 
وقد ضبط بعضهم هذه الجملة بلفظ: {من جاء مع المشرك} أي: أتى معه مناصرا وظهيرا له، فجاء فعل ماض، ومع المشرك جار ومجرور. قاله أيضا المناوي. 
قال الشارح في غاية المقصود: والصحيح المعتمد لفظ: "من جامع المشرك" فالمشرك هو مفعول جامع، وأيضا معناه الأول هو القوي. 
(وسكن معه) أي: في ديار الكفر. 
(فإنه مثله) أي: من بعض الوجوه؛ لأن الإقبال على عدو الله وموالاته توجب إعراضه عن الله، ومن أعرض عنه تولاه الشيطان ونقله إلى الكفر. 

قال الزمخشري: وهذا أمر معقول، فإن موالاة الولي وموالاة العدو متنافيان، وفيه إبرام وإلزام بالقلب في مجانبة أعداء الله ومباعدتهم والتحرز عن مخالطتهم ومعاشرتهم {لا يتخذ المؤمنون الكافرين أولياء من دون المؤمنين} والمؤمن أولى بموالاة المؤمن وإذا والى الكافر جره ذلك إلى تداعي ضعف إيمانه، فزجر الشارع عن مخالطته بهذا التغليظ العظيم حسما لمادة الفساد {يا أيها الذين آمنوا إن تطيعوا الذين كفروا يردوكم على أعقابكم فتنقلبوا خاسرين} ولم يمنع من صلة أرحام من لهم من الكافرين ولا من مخالطتهم في أمر الدنيا بغير سكنى فيما يجري مجرى المعاملة من نحو بيع وشراء وأخذ وعطاء ليوالوا في الدين أهل الدين ولا يضرهم أن يبارزوا من يحاربهم من الكافرين. 
وفي الزهد لأحمد عن ابن دينار: {أوحى الله إلى نبي من الأنبياء: قل لقومك: لا تدخلوا مداخل أعدائي ولا تلبسوا ملابس أعدائي ولا تركبوا مراكب أعدائي فتكونوا أعدائي كما هم أعدائي} كذا في فتح القدير للمناوي. 
وقال العلقمي في الكوكب المنير شرح الجامع الصغير: حديث سمرة إسناده حسن وفيه وجوب الهجرة على من قدر عليها ولم يقدر على إظهار الدين أسيرا كان أو حربيا، فإن المسلم مقهور مهان بينهم، وإن انكفوا عنه فإنه لا يأمن بعد ذلك أن يؤذونه أو يفتنونه عن دينه، وحق على المسلم أن يكون مستظهرا بأهل دينه، وفي حديث عند الطبراني {أنا بريء من كل مسلم مع مشرك} وفي معناه أحاديث. انتهى. 
قال الإمام ابن تيمية : المشابهة والمشاكلة في الأمور الظاهرة توجب مشابهة ومشاكلة في الأمور الباطنة، والمشابهة في الهدى الظاهر توجب مناسبة وائتلافا وإن بعد الزمان والمكان، وهذا أمر محسوس، فمرافقتهم ومساكنتهم ولو قليلا سبب لنوع ما من انتساب أخلاقهم التي هي ملعونة، وما كان مظنة لفساد خفي غير منضبط علق الحكم به وأدير التحريم عليه، فمساكنتهم في الظاهر سبب ومظنة لمشابهتهم في الأخلاق والأفعال المذمومة بل في نفس الاعتقادات، فيصير مساكن الكافر مثله وأيضا في المشاركة في الظاهر تورث نوع مودة ومحبة وموالاة في الباطن، كما أن المحبة في الباطن تورث المشابهة في الظاهر، وهذا مما يشهد به الحسن، فإن الرجلين إذا كانا من بلد واجتمعا في دار غربة كان بينهما من المودة والائتلاف أمر عظيم بموجب الطبع، وإذا كانت المشابهة في أمور دنيوية تورث المحبة والموالاة فكيف بالمشابهة في الأمور الدينية، فالموالاة للمشركين تنافي الإيمان {ومن يتولهم منكم فإنه منهم} انتهى كلامه. 

وقال ابن القيم في كتاب الهدي النبوي: ومنع رسول الله صلى الله عليه وسلم من إقامة المسلم بين المشركين إذا قدر على الهجرة من بينهم وقال: {أنا بريء من كل مسلم يقيم بين أظهر المشركين قيل: يا رسول الله ولم؟ قال: لا تراءى ناراهما} وقال: {من جامع مع المشرك وسكن معه فهو مثله} وقال: {لا تنقطع الهجرة حتى تنقطع التوبة، ولا تنقطع التوبة حتى تطلع الشمس من مغربها} وقال: {ستكون هجرة بعد هجرة، فخيار أهل الأرض ألزمهم مهاجر إبراهيم، ويبقى في الأرض شرار أهلها، يلفظهم أرضوهم، تقذرهم نفس الله ويحشرهم الله مع القردة والخنازير}. انتهى. 
قال المنذري بعد إيراد حديث سمرة: قد تقدم نحوه، 
সারমর্মঃ-
উপরোক্ত হাদীসে কেউ কোনো মুশরিকের সাহচর্যে থাকলে এবং তাদের সাথে বসবাস করলে সে তাদেরই মতো বলা হয়েছে।
কেননা কাফেরের দিকে মুতাওয়াজ্জুহ হওয়া,তাদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করা,আল্লাহর দিক হতে বিমুখতাকে আবশ্যক করে,আর যে আল্লাহর হতে বিমুখ হয়,সে শয়তানের বন্ধু হয় ও কুফররের দিকে ফিরে যায়।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ২য় হাদীসঃ-

وَعَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَرِيَّةً إِلَى خَثْعَمَ فَاعْتَصَمَ نَاسٌ مِنْهُمْ بِالسُّجُودِ فَأَسْرَعَ فِيهِمُ الْقَتْلَ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَ لَهُمْ بِنِصْفِ الْعَقْلِ وَقَالَ: «أَنَا بَرِيءٌ مِنْ كُلِّ مُسْلِمٍ مُقِيمٍ بَيْنَ أَظْهُرِ الْمُشْرِكِينَ» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ لِمَ؟ قَالَ: «لَا تَتَرَاءَى نَارَاهُمَا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ

জারীর ইবনু ’আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খস্’আম সম্প্রদায়ের মুকাবিলায় একটি ক্ষুদ্র বাহিনী পাঠালেন। অতঃপর উক্ত সম্প্রদায়ের কিছু সংখ্যক লোক আত্মরক্ষার জন্য সাজদারত হলো, কিন্তু দ্রুতবেগে তাদেরকে হত্যা করা হলো। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এ সংবাদ পৌঁছল। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মৃত ব্যক্তির উত্তারাধিকারীদেরকে অর্ধেক দিয়াত (রক্তপণ) পরিশোধ করার জন্য হুকুম দিয়ে বললেন, যে সকল মুসলিমরা মুশরিকদের মাঝে বসবাস করে, আমার ওপর তাদের কোনো দায়-দায়িত্ব নেই। সাহাবীগণ জানতে চাইলেন, হে আল্লাহর রসূল, এরূপ কেন? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, কেননা তাদের উচিত ছিল অনতিদূরে অবস্থান করা, যাতে একে অপরের আগুন পর্যন্ত দৃষ্টিপাত না হয়।
(আবূ দাঊদ ২৬৪৫, তিরমিযী ১৬০৪,মিশকাত ৩৫৪৭)

★হাদীসের হুকুম সহীহ।

ব্যাখ্যা: খত্ত্বাবী বলেনঃ তাদের ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন জানতে পারলেন তখন তাদের ওপর অর্ধ দিয়াত দিতে বলেন। এর কারণ ‘‘ফাতহুল ওয়াদূদ’’-এ উল্লেখ আছে যে, এর কারণ হলো তারা নিজেদেরকে কাফিরদের মাঝে রাখার জন্য নিজেরা সহযোগিতা করেছে। এরা যেন এমন লোকের মতো যারা নিজের কর্মের কারণে অথবা অন্যের কারণে ধ্বংস হয়। তাই তাদের অপরাধের অংশ বাদ হয়ে গেছে।

নিহায়াহ্ গ্রন্থে উল্লেখ আছে- মুসলিমদেরকে মুশরিকদের বাসস্থান থেকে দূরে থাকা জরুরী ওয়াজিব।

আর এমন স্থানে অবতরণ না করে যেখানে তাদের গৃহে অগ্নি প্রজ্জ্বলন করলে মুশরিকদের চিহ্ন আরো স্পষ্ট হয়। কিন্তু সে মুসলিমের সাথে রাত্রে অবতরণ করবে। এই হাদীসটির দ্বারা হিজরতের জন্য উৎসাহ দেয়া হয়েছে।

تَرَاءَى শব্দটি বাবে تفاعل থেকে এসেছে। এর অর্থ হলো কেউ কাউকে দেখা। تَرَاءَى-কে نار-এর সাথে সম্বন্ধ করা হয়েছে। এটা ‘আরবদের রূপক কথা। এর অর্থ হচ্ছে মুখোমুখী থাকা। نَارَاهُمَا تَخْتَلِفَانِ অর্থাৎ এটা আহবান করে আল্লাহর দিকে আর এটা আহবান করে শায়ত্বনের দিকে।

খত্ত্বাবী বলেনঃ এর তিন ধরনের অর্থ আছে- ১. কেউ বলেন, এর অর্থ হলো দু’টির বিধান সমান নয়।

২. কেউ বলেন, এর অর্থ আল্লাহ দারুল ইসলাম ও দারুল কুফ্রকে আলাদা করেছেন। সুতরাং কাফিরদের এলাকায় মুসলিমদের বসবাস করা জায়িয নয়।

৩. কেউ বলেন, এর অর্থ হলো মুসলিম যেন মুশরিকের আদর্শ-বৈশিষ্ট্যে বৈশিষ্ট্যম--ত না হয়। আর তাদের চরিত্র ও আকার-আকৃতির সাথে মিলে না যায়।

হাফিয শামসুদ্দীন ইবনুল কইয়্যিম (রহ.) বলেনঃ «لَا تَتَرَاءَى نَارَاهُمَا» বাক্যটি সাবলীল যথার্থ বিশুদ্ধ যাতে সংক্ষিপ্ত বর্ণনায় অধিক গুরুত্বপূর্ণ অর্থ নিহিত থাকে। তিনি বলেন, হাদীসের অর্থ আগুন হলো কোনো গোত্রের অবতরণের চিহ্ন স্বরূপ। এটা তাদের দিকে আহবান করে। অতএব মুশরিকদের আগুন শায়ত্বনের পথে এবং জাহান্নামের আগুনের প্রতি আহবান করে। কেননা তা আল্লাহর অবাধ্যতার জন্য জ্বালানো হয়েছে। আর মু’মিনের আগুন আল্লাহর প্রতি, তার আনুগত্যের প্রতি ও দীনের সম্মানের প্রতি। এই যখন অবস্থা তখন দুই আগুন কিভাবে একই হয়।

সুনানে নাসায়ীতে রয়েছে- «لَا يَقْبَلُ اللّٰهُ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ مُشْرِكٍ بَعْدَمَا أَسْلَمَ عَمَلًا، أَوْ يُفَارِقَ الْمُشْرِكِينَ إِلَى الْمُسْلِمِينَ» অর্থাৎ ‘‘কোনো মুশরিক ইসলাম গ্রহণ করার পর মুশরিকদের পরিত্যাগ করে মুসলিমের নিকটে না আসা পর্যন্ত আল্লাহ কোন ‘আমল কবুল করেন না।’’ আবূ দাঊদে সামুরাহ্ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করে, যে ব্যক্তি মুশরিকের সাথে মিলেমিশে বসবাস করে সে তাদের মতই। আবূ দাঊদ-এর মারাসীলে উল্লেখ আছে।

মাকহূল (রহঃ) রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করে বলেন, তোমরা সন্তানদেরকে শত্রুর পাশে রেখো না। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৬৪২)

★হাশিয়াতুস সানাদি আলান নাসায়ী গ্রন্থে আছেঃ-

قوله ( فاستعصموا بالسجود )
أي طلبوا لأنفسهم العصمة بإظهار السجود
( فقتلوا )
على بناء المفعول بازدحام القتال
( بنصف العقل )
بعد علمه بإسلامهم وجعل لهم النصف لأنهم قد أعانوا على أنفسهم بمقامهم بين ظهراني الكفار فكانوا كمن هلك بجناية نفسه وجناية غيره فسقط حصة جنايته من الدية
( وإني بريء )
أي من إعانته أو من إدايته بعد هذا إن قتل
( ألا لا تراءى ناراهما )
هو من الترائي وهو تفاعل من الرؤية ومنه قوله تعالى فلما تراءى الجمعان وكان أصله تتراءى بتاءين حذفت إحداهما أي لا ينبغي للمسلم أن ينزل بقرب الكافر بحيث يقابل نار كل منهما نار صاحبه حتى كان نار كل منهما ترى نار صاحبه .

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এক্ষেত্রে জায়েজ আছে।

(০২)
অমুসলিমের সাথে কাজ করা বা তার অধিনে কাজ করা জায়েজ আছে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
বিস্তারিত উপরে উল্লেখ রয়েছে।

(০৪)
এক্ষেত্রে গুনাহ এবং ঈমানের ক্ষতি হবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৫)
তাহলে সমস্যা হবেনা। 

(০৬)
তাদের সাথে সুসম্পর্ক রাখা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...