আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
172 views
in পবিত্রতা (Purity) by (4 points)
আমার মেসে বাথরুম এ এটাচড টয়লেট, পাকা তবে টাইলস করা নয়। সবাই নিজের জুতো পরেই বাথরুমে যায়। আমি গোসল শেষে টিউবওয়েলে পা ধুয়ে থাকি। গোসলের সময় হঠাৎ মনে হলো যে, একটু পানি মেঝে থেকে ছিটকে বালতির পানিতে পড়েছে।
(আমার প্রায়ই পবিত্রতা নিয়ে সন্দেহ হয়, অজু নিয়ে, আরও অন্যান্য ক্ষেত্রে)
তাই গোসলের সময় ভাবলাম যে হয়তো শয়তানের ওয়াসওয়াসাতে সন্দেহের জন্য মনে হচ্ছিল যে পানি ছিটকেছে। তাই ওই পানি দিয়ে গোসল শেষ করি।
তারপর থেকে বারবার শুধু ওটাই মনে হচ্ছে যে, হয়তো পানি ছিটকেছিল, ওটার জন্য সব নাপাক হয়ে গেল। আবার মনে করতে চাচ্ছি যে, আল্লাহ মাফ করে দিবেন। তবুও বারবার ওটাই মনে হচ্ছে। এখন বেশির ভাগ মনে হচ্ছে যে, পানি ছিটকেছিল।
এমন অবস্থায় আমি কি করব, বুঝতে পারছি না। কারন আমার পর অনেকেই গোসল করেছে, ট্যাপ ব্যবহার করেছে, গোসলের পর ভেজা অবস্থায় আমি টিউবওয়েলে পা ধুয়েছি, অযু করেছি, সেই টিউবওয়েলেও পানি লেগেছিল, বাকিরা ব্যবহার করেছে।
আমি আসলে বুঝতেছি না, এমন সন্দিহান অবস্থার সমাধান কি? আমি যদি এখন ধরে নিই যে, পানি নাপাক হয়ে গেছিল, তাহলে গোসলের পর থেকে ভেজা অবস্থায় যা যা ব্যবহার করেছি সব ধুতে হবে, আবার মেসের বাকিদের কিভাবে বুঝাব। আমার জন্য বিষয়টা অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে। যদি সত্যিই নাপাক হয়ে থাকে, এই অবস্থায় কি আল্লাহ মাফ করেন? মূলনীতি কি? আমি কি করব এখন?
(বি: দ্র: সন্দেহ, ওয়াওয়াসার জন্য আমি iom এর রুকইয়াহ কোর্সে যুক্ত হয়েছি। আজ থেকে ক্লাস শুরু হবে ইনশাআল্লাহ)

1 Answer

0 votes
by (589,380 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এটা আপনার মনের ওয়াসওয়াসা। সুতরাং এটাকে ওয়াসওয়াসা ভেবে সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,380 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...