আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
3,252 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (22 points)
edited by
আমি আগে জানতাম দুপুরের পর একটু ঘুমানু/বিশ্রাম নেয়া সুন্নাহ ।

কিন্তু সাম্প্রতিক জানতে পারলাম দুপরের খাবারের পর ডান কাধে শুয়ে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ ,বাম কাধে শুয়ে ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ ,সোজা হয়ে শুয়ে ৩৪ বার আল্লাহু আকবর পড়া সুন্নাহ , এবং বলছে এটা নাকি " হায়াতুস সাহাবা " বই থেকে পেয়েছিল ।

1 Answer

+1 vote
by (657,800 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

শুরুতে দুপুরে ঘুমানো সুন্নাত কিনা,বিষয়টি স্পষ্ট করছি।
,  
এ সংক্রান্ত হাদীসে কাইলুলা শব্দ এসেছে।
,
কাইলুলা এর অর্থ হচ্ছে,কিছুক্ষন বিশ্রাম নেওয়া,  কিছুক্ষণ ছায়া গ্রহণ করা প্রখর রোদ থেকে বাঁচার জন্য। আর এখানে ঘুমকে নির্দেশ করা হচ্ছে না। 
কারণ, আরবি ভাষায় ঘুমের নির্দেশক শব্দ ভিন্ন। ঘুমের মতো করে আপনি একটু বিশ্রাম গ্রহণ করেছেন, আরাম নিয়েছেন। এটা হলো কাইরুলা। 
এটা মুস্তাহাব আমল, না করলে কোনো গুনাহ নেই।
 তবে কেহ কেহ সুন্নাতও বলেছেন।

দুপুরে ঘুম কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আধুনিক বিজ্ঞান এই বক্তব্য দিয়েছে।

দুপুরের খাবারের পর স্বল্প সময়ের জন্য একটু বিশ্রাম নেওয়া। এটাকে কাইরুলা বলা হয়।
এটার জন্য ঘুমানো জরুরি নয়, এটা রাত্রি বেলা ইবাদত বান্দেগীতে  সহায়ক ভূমিকা পালন করে। 
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৫/২৭৪)  

তবে এটার অজুহাত দেখিয়ে লম্বা ঘুম পাড়া যাবেনা।
এটা স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর।

আরো জানুনঃ- 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عن ابن عباس رضي اللّٰہ عنہما عن النبي صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: استعینوا بطعام السحر علی صیام النہار والقیلولۃ علی قیام اللیل۔ (سنن ابن ماجۃ، کتاب الصیام / باب ما جاء في السحور ۱۲۱ رقم: ۱۶۹۳ دار الفکر بیروت)

وفي روایۃ: وبقیلولۃ النہار علی قیام اللیل۔ (صحیح ابن خزیمۃ رقم: ۱۹۳۹، فیض القدیر ۱؍۴۹۴، فتح الباري ۱۴؍۸۲ دار الکتب العلمیۃ بیروت، الترغیب والترہیب مکمل رقم: ۱۶۴۱)

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা সাহরী খাওয়ার মাধ্যমে দিনে রোযা রাখার জন্য এবং দিনে বিশ্রামের মাধ্যমে রাতে নামায পড়ার জন্য সাহায্য গ্রহণ করো।
 
أخرج الطبراني في الأوسط بسندہ عن أنس رضي اللّٰہ عنہ 
عن النبي صلی اللّٰہ علیہ وسلم: قیلوا؛ فإن الشیطان لا یقیل۔ (فتح الباري، کتاب الاستئذان / باب القائلۃ بعد الجمعۃ ۱۴؍۸۲ بیروت، مجمع الزوائد، کتاب الآداب / باب القیلولۃ ۸؍۱۰۹ رقم: ۱۳۲۵۶ دار الفکر بیروت)
সারমর্মঃ রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন তোমরা কাইলুলা করো,কেননা শয়তান কাইলুলা করেনা।    

عن مجاہد قال: بلغ عمر أن عاملاً لہ لا یقیل، فکتب إلیہ عمرُ رضي اللّٰہ عنہ: قِل! فإني حُدِّثتُ أن الشیطان لا یقیل۔ (کنز العمال، کتاب المعیشۃ والآداب
/ ذیل النوم والقیلولۃ ۱۵؍۲۱۸ رقم: ۴۱۹۹۶ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
সারমর্মঃ  শয়তান কাইলুলা করেনা।

وتستحب القائلۃ أو القیلولۃ: أي الاستراحۃ وسط النہار، وإن لم یکن مع ذٰلک نوم، شتائً أو صیفًا۔ (الفقہ الإسلامي وأدلتہ ۱؍۴۰۴)
সারমর্মঃ কাইলুলা করা (দুপুরে আরাম করা) মুস্তাহাব,,,। 

قال الأزہري: القیلولۃ والمقیلُ عند العرب الاستراحۃ نصف النہار، وإن لم یکن مع ذٰلک نوم بدلیل قولہ: {وَاَحْسَنُ مَقِیْلاً} والجنۃ لا نوم فیہا۔ (مرقاۃ المفاتیح ۳؍۲۶۲ المکتبۃ الأشرفیۃ دیوبند)
সারমর্মঃ কাইলুলা করার ক্ষেত্রে ঘুমানোর কোনো দলিল নেই। 

القیلولۃ: وہي الاستراحۃ في نصف النہار۔ (حاشیۃ ابن ماجۃ ۷۷) 
কাইলুলা করা  মুস্তাহাব,,,। 


★ আলী ইবনে আবি তালিব (রা.) থেকে বর্ণিত, ফাতেমা (রা.) যখন মহানবী (সা.)-এর কাছে একজন সেবক চেয়েছিলেন, তখন রাসুল (সা.) বলেন, “আমি কি তোমাদের এমন কিছু সম্পর্কে জানাব না, যা তোমাদের জন্য একজন সেবকের চেয়ে উত্তম হবে? তোমরা যখন বিছানায় যাও তখন ৩৪ বার ‘আল্লাহু আকবার’, ৩৩ বার ‘সুবহানাল্লাহ’, ৩৩ বার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ পাঠ করো। এটা তোমাদের জন্য একজন সেবকের চেয়ে উত্তম হবে।” (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৩১৮)
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,প্রশ্নে উল্লেখিত হাদীস রাতে ঘুমানোর আগের আমল সংক্রান্ত। 
দুপুরের নয়।
,
তবে কেহ দুপুরে বা অন্য যেকোনো সময়ে ঘুমানোর আগে উক্ত আমল করতে পারে।
কোনো সমস্যা নেই। 
তাসবিহ পাঠের ছওয়াব পাবে।      


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...