আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
reshown by
১. কারোর নামে কিছু বলতে চাইনা,  কাউকে নিয়ে কথা বলতেও চাইনা শুনতেও চাই না। কিন্তুু মাঝে মাঝে এমন পরিস্হিতি হয়, ভুল ভাঙার জন্য কিছু বলি,  তো,  বলার পরেই মনে হয় আমি তার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি, বা পিছনে বললে যদিও এর উদ্দেশ্য থাকে না,  তারপরেও মনে হয় গীবত করে ফেলেছি বা অপবাদ দিয়ে ফেলেছি। জীবনটা ষোল আনাই বৃথা লাগে। এমন মনে হয় জন্মই হয়েছি জাহান্নামের জন্য। কী করবো?  নিজেকেও হত্যা করতে মন চায়।
২.কেউ আমাকে ভুল বুঝে কিছু বললে,  না পারতে একটু গরম দেখিয়ে বলি, কিন্তুু উদ্দেশ্য শুধু তার ভুল ভাঙানো থাকে। আমি যে এমন আচরণ করি, আল্লাহর কাছে কী আমি অপরাধী?
৩. কারোর নাম না নিয়ে যদি কিছু বলি এবং ব্যক্তি যদি তাকে চিনতে না পারে তাও কী গীবত বা তোহমত হবে?

৪.আর আজকেই একটা ব্যপার নিয়ে একজন আমাদের নামে অন্যের কাছে ভুল বুঝে মিথ্যা বলেছে। আর তার কারনে আমাদের সাথে তাদের সমস্যা হয়। অনেক কিছু বলেছে তারা।
তবে আমাকে। আর অন্যদেরকে ইংগিতে।  আর সেই ভুল ভাঙানোর জন্যই উচৃচস্বরে কথা বলে ফেলি। এখন আমি কিভাবে মাফ পাবো?

৫. তাদের সাথে যদি আমি আর কোনোদিন কথা না বলি,  তাহলেও কী গুনাহ হবে?  ৬.আমি এমনিতেই একা চলি। কারোর সাথে কথা বলি না। কম। তাও মাঝে মাঝে মজা করে কিছু জোকসের মতো বলি। কিন্তুু সেখানে কোনো মানুষকে উদ্দেশ্য করে নয়। বা কারোর নামও উল্লেখ থাকে না। এটাও কী গুনাহের অন্তর্ভুক্ত?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
আপনি কাহারো পিছনে তার মন্দ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেননা,তাহলেই আর সমস্যা হবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রে নিজের থেকে যে বড়,তার সাথে এভাবে কথা বলা যাবেনা,এবং গালি দেয়া যাবেনা।

নিজের অধিনস্থ কাউকে বা নিজের থেক কেউ বেয়াদবি করলে তার ক্ষেত্রে এভাবে জোর আওয়াজে কথা বললে গুনাহ হবেনা।

(০৩)
কারো নাম,পরিচয়  উল্লেখ না করলে এতে গীবত হয় না। কিন্তু উপস্থিত লোকেরা যদি বুঝতে পারে যে অমুক ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে তবে তা গীবত বলে গণ্য এবং হারাম হবে।
হ্যাঁ বিশেষ মাছলাহাত এর স্বার্থে,যেমন তাকে বললে সে আর এমন কাজ করবেনা,তাহলে এটা বলা যেতে পারে।
তবে সীমাতিরিক্ত বলা যাবেনা,এমনি এক জনের কাছে বলা যাবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ  

عَنْ أَبِي سَعْدٍ، وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا “، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ وَكَيْفَ الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا؟ قَالَ: ” إِنَّ الرَّجُلَ لَيَزْنِي فَيَتُوبُ فَيَتُوبُ اللهُ عَلَيْهِ “وَفِي رِوَايَةِ حَمْزَةَ ” فَيَتُوبُ فَيَغْفِرُ لَهُ، وَإِنَّ صَاحِبَ الْغِيبَةِ لَا يُغْفَرُ لَهُ حَتَّى يَغْفِرَهَا لَهُ صَاحِبُهُ  

হযরত আবু সাঈস এবং জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। উভয়ে বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ গীবত করা ব্যভিচার করার চেয়েও জঘন্য। সাহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! গীবত করা ব্যভিচারের চেয়ে জঘন্য হয় কি করে? রাসূল সাঃ বললেনঃ নিশ্চয় ব্যভিচারকারী ব্যভিচার করে তওবা করে থাকে, ফলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেন।

অন্য বর্ণনায় এসেছে, কিন্তু গীবতকারীকে ক্ষমা করা হয় না, যতক্ষণ না যার গীবত করেছে সে তাকে ক্ষমা করে। {শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬৩১৫, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৫৯০}

যাদের গীবত করা জায়েজ,, 
গীবত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক্ষেত্রে যদি আপনি কোনো ভাবে তা পরিচয়ও না দেন,তাহলে এটি গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবেনা।

(০৪)
গালি না দিয়ে থাকলে মাফ পাবেন।
তবে অতিরিক্ত করে থাকলে তার থেকে ক্ষমা চেয়ে নিবেন

(০৫)
এভাবে কোনো মুসলিমের সাথে ৩ দিনের বেশি কথা বন্ধ রাখার অনুমতি ইসলাম দেয়না।
কমপক্ষে সালাম আদান প্রদান করতে হবে।

(০৬)
এটা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত নয়।
তবে এক্ষেত্রে কাউকে নিয়ে যেনো ঠাট্রা না করা হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...