বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
আপনি কাহারো পিছনে তার মন্দ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেননা,তাহলেই আর সমস্যা হবেনা।
(০২)
এক্ষেত্রে নিজের থেকে যে বড়,তার সাথে এভাবে কথা বলা যাবেনা,এবং গালি দেয়া যাবেনা।
নিজের অধিনস্থ কাউকে বা নিজের থেক কেউ বেয়াদবি করলে তার ক্ষেত্রে এভাবে জোর আওয়াজে কথা বললে গুনাহ হবেনা।
(০৩)
কারো নাম,পরিচয় উল্লেখ না করলে এতে গীবত হয় না। কিন্তু উপস্থিত লোকেরা যদি বুঝতে পারে যে অমুক ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে তবে তা গীবত বলে গণ্য এবং হারাম হবে।
হ্যাঁ বিশেষ মাছলাহাত এর স্বার্থে,যেমন তাকে বললে সে আর এমন কাজ করবেনা,তাহলে এটা বলা যেতে পারে।
তবে সীমাতিরিক্ত বলা যাবেনা,এমনি এক জনের কাছে বলা যাবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ
عَنْ أَبِي سَعْدٍ، وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا “، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ وَكَيْفَ الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا؟ قَالَ: ” إِنَّ الرَّجُلَ لَيَزْنِي فَيَتُوبُ فَيَتُوبُ اللهُ عَلَيْهِ “وَفِي رِوَايَةِ حَمْزَةَ ” فَيَتُوبُ فَيَغْفِرُ لَهُ، وَإِنَّ صَاحِبَ الْغِيبَةِ لَا يُغْفَرُ لَهُ حَتَّى يَغْفِرَهَا لَهُ صَاحِبُهُ
হযরত আবু সাঈস এবং জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। উভয়ে বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ গীবত করা ব্যভিচার করার চেয়েও জঘন্য। সাহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! গীবত করা ব্যভিচারের চেয়ে জঘন্য হয় কি করে? রাসূল সাঃ বললেনঃ নিশ্চয় ব্যভিচারকারী ব্যভিচার করে তওবা করে থাকে, ফলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেন।
অন্য বর্ণনায় এসেছে, কিন্তু গীবতকারীকে ক্ষমা করা হয় না, যতক্ষণ না যার গীবত করেছে সে তাকে ক্ষমা করে। {শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬৩১৫, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৫৯০}
যাদের গীবত করা জায়েজ,,
গীবত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক্ষেত্রে যদি আপনি কোনো ভাবে তা পরিচয়ও না দেন,তাহলে এটি গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবেনা।
(০৪)
গালি না দিয়ে থাকলে মাফ পাবেন।
তবে অতিরিক্ত করে থাকলে তার থেকে ক্ষমা চেয়ে নিবেন
(০৫)
এভাবে কোনো মুসলিমের সাথে ৩ দিনের বেশি কথা বন্ধ রাখার অনুমতি ইসলাম দেয়না।
কমপক্ষে সালাম আদান প্রদান করতে হবে।
(০৬)
এটা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত নয়।
তবে এক্ষেত্রে কাউকে নিয়ে যেনো ঠাট্রা না করা হয়।