জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
রাসূল সা. বলেন:
«إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: (يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ) [المؤمنون: 51] وَقَالَ: (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ) [البقرة: 172] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟»
‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআল পবিত্র। তিনি শুধু পবিত্র বস্ত্তই গ্রহণ করেন। তিনি মুমিনদের সেই আদেশই দিয়েছেন, যে আদেশ তিনি দিয়েছিলেন রাসূলগণের।’’ আল্লাহ তা’আলা বলেন : ‘‘হে ইমানদারগণ! তোমরা পবিত্র বস্ত্ত-সামগ্রী আহার কর, যেগুলো আমি তোমাদেরকে রুযী হিসেবে দান করেছি।’’ অতঃপর রাসূল সা. এমন এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দীর্ঘ সফরে থাকা অবস্থায় এলোমেলো চুল ও ধূলি-ধুসরিত ক্লান্ত-শ্রান্ত বদনে আকাশের দিকে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে প্রার্থনা করে ডাকছেঃ হে আমার প্রভূ! হে আমার প্রভূ! অথচ সে যা খায় তা হারাম, যা পান করে তা হারাম, যা পরিধান করে তা হারাম এবং হারামের দ্বারা সে পুষ্টি অর্জন করে। তার প্রার্থনা কিভাবে কবুল হবে?’
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ১০১৫)
ইবন আব্বাস রা.বর্ণিত হাদীসে রাসূল সা. বলেছেনঃ
«كل جسد نبت من سحت فالنار أولى به »
‘‘আর যে দেহ হারাম খাদ্য দ্বারা গড়ে উঠে তার জন্য দোযখের আগুনই উত্তম।’’
(তাবারানী)
কাব ইবন উজরাহ রা. রাসূলে কারীম সা. থেকে বর্ণনা করেন:
«لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ جَسَدٌ غُذِّيَ بِحَرَامٍ»
‘‘যে শরীর হারাম পেয়ে হরষ্ট পুষ্ট হয়েছে, তা জান্নাতে যাবে না।’’
(মুসনাদ আবী ইয়া‘লা, খ.১ পৃ. ৮৪।)
হারাম মাল থেকে হাদীয়া গ্রহন বিষয়ের ক্ষেত্রে শরয়ী মূলনীতি হল-যদি তার ইনকাম হালাল ও হারাম মালের সাথে মিশ্রিত হয়, আর হারাম মাল বেশি হয়, তাহলে তা থেকে হাদীয়া গ্রহন জায়েজ নয়। তবে যদি হারাম মাল কম হয় তাহলে হাদীয়া গ্রহন জায়েজ হবে।
ولا يجوز قبول هدية أمراء الجور لأن الغالب في مالهم الحرمة إلا إذا علم أن أكثر ماله حلال بأن كان صاحب تجارة أو زرع فلا بأس به لأن أموال الناس لا تخلو عن قليل حرام فالمعتبر الغالب (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية، الثاني عشر في الهدايا والضيافات-5/342)
অনুবাদ-জালেম বাদশাহর হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ নয়। কেননা তার অধিকাংশ মাল হয় হারাম। তবে যদি জানা যায় যে, তার অধিকাংশ মাল হালাল, এ হিসেবে যে সে ব্যাবসায়ী বা জমিদার, তাহলে তার থেকে হাদিয়া গ্রহণ করাতে সমস্যা নেই। কেননা সাধারণত মানুষের মাল অল্প হারাম থেকে মুক্ত নয়। তাই এতে আধিক্যের বিষয়টি বিবেচিত হবে। { ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২}
★ যদি ইনকামের টাকার সবটাকাই হারাম হয়,অর্থাৎ অন্য কোনো হালাল উপার্জন যদি সেখানে না থাকে,তাহলে তা মালিকের কাছেই ফেরত দিতে হয়।
কেননা হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।
নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
আরো জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত টাকা যেহেতু আপনার বাবার সূদি টাকা।
এখন দেখতে হবে যে এর মধ্যে কি পরিমান টাকা হারাম ছিলো,অর্থাৎ আপনার বাবার ইনকামে কত পার্সেন্ট হারাম টাকা থাকে?
যদি পুরাটাই হারাম হয়,তাহলে আপনার পুরা টাকাই আপনার বাবার কাছে ফিরয়ে দিতে হবে।
যদি তা সম্ভব না হয়,তাহলে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া ফকির মিসকিন দের মাঝে ছদকাহ করে দিতে হবে।
তবে কোনো মসজিদ বা মাদ্রাসায় দান করা যাবেনা।
হ্যাঁ মাদ্রাসার লিল্লাহ ফান্ড থাকলে সেখানে দেওয়া যাবে।
,
আর যদি কিছু টাকা হারাম হয়,তাহলে সেই পরিমান পার্সেন্ট আকারে হিসাব করে আপনার বাবার কাছে ফিরয়ে দিতে হবে।
যদি তা সম্ভব না হয়,তাহলে ছদকাহ করে দিতে হবে।