বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আয়েশা রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
أَنَّ امْرَأَةً مَدَّتْ يَدَهَا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكِتَابٍ فَقَبَضَ يَدَهُ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَدَدْتُ يَدِي إِلَيْكَ بِكِتَابٍ فَلَمْ تَأْخُذْهُ فَقَالَ إِنِّي لَمْ أَدْرِ أَيَدُ امْرَأَةٍ هِيَ أَوْ رَجُلٍ قَالَتْ بَلْ يَدُ امْرَأَةٍ قَالَ لَوْ كُنْتِ امْرَأَةً لَغَيَّرْتِ أَظْفَارَكِ بِالْحِنَّاءِ
“একদিন জনৈকা মহিলা হাতে চিঠি নিয়ে পর্দার আড়াল হতে হাত বের করে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দিকে ইশারা করল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের হাতটি গুটিয়ে ফেলে বললেন, “আমি বুঝতে পারলাম না, এটা কি কোন পুরুষের হাত না কোন নারীর হাত!”
তখন মহিলাটি বলল: এটা মহিলার হাত।
তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, “যদি তুমি নারী হতে তাহলে অবশ্যই মেহেদি দ্বারা তোমার হাতের নখগুলো পরিবর্তন করে নিতে।”
[আবু দাউদ ৪১৬৬, নাসায়ী ৫০৮৯]।
মুল্লা আলী কারী রাহ বলেন,
وظاهره أنه كان مبايعته للنساء باليد أيضا، والمشهور خلافه، فيحمل على أنه - صلى الله عليه وسلم - كان يمد يده في الجملة إيماء إلى المبايعة الفعلية، ويكتفي بالمبايعة اللسانية في النساء من غير أن تصل يده إلى يد المرأة، ويمكن أن تكون يده ملفوفة، فكن يتبركن بأخذ كمه القائم مقام يده، كما ورد في حق الحجر الأسود الأسعد أنه يمين الله في الأرض، يصافح به عباده على ما ذكره الخطيب وابن عساكر عن جابر،
সারমর্মঃ-
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' এর হাতের আস্তিনে ধরে নারীরা বায়আত গ্রহণ করতেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
এটা পর্দার বিধান নাযিল হওয়ার পরের ঘটনা।তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' এর কাছে নারীরা তাদের হাত প্রসারিত করে বায়আত গ্রহণ করতেন।যেহেতু তখন ফিতনার কোনো সম্ভাবনা ছিলনা, তাই তারা পর্দার আড়াল থেকে নিজের হাত প্রসারিত করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' এর কাপড়ের আস্তিনকে ধরে বায়আত গ্রহণ করতেন।
(২)
তবে এখনকার সময়ে এভাবে খোলা হাত প্রসারিত করার কোনো সুযোগ নাই। বর্তমানে ফিতনার দরুণ হাতের নখও সতরের অন্তর্ভুক্ত।