আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
207 views
in সালাত(Prayer) by (27 points)

আসসালামু আলাইকুম।
১. নামাজের ভিতর সুরা ফাতিহা বাদে অন্য কোনো সুরা পড়তে গিয়ে যদি কোনো শব্দে মাদ্দ হবে কি না  (অথবা ছোট "হা" নাকি বড় "হা")  এইটা ভুলে যাই তবে তখন কী করণীয়? ওই আয়াত বাদ দিয়ে সুরাটা পড়া যাবে? নাকি নামাজ বাদ দিয়ে সুরা আবার কুরান থেকে ভুল শুধরে নিয়ে নামাজ আবার শুরু থেকে পড়ব?

২. একই ব্যাপার দুয়া কুনুত, তাশাহুদ, দুরুদ এর ক্ষেত্রে হলে কী করতে হবে?

৩. বেতের নামাজে দোয়া কুনুত পড়তে গিয়ে আমার খালি ভুল হয়ে যায় অনেক চেষ্টার পরও।আমি বার বার দুয়াটা প্র‍্যাক্টিস  করে নিলেও নামাজে গিয়ে প্রায়ই ভুলে যাই কোন হরফ যেন ছিল। এরকম হলে আমি নামাজ বাদ দিয়ে আবার দোয়াটা দেখে নিয়ে আবার নামাজ শুরু করি। কিন্তু আমার জন্য এটা কিছুটা কষ্টকর হয়ে যাই, আমি কী করতে পারি?

৪. আমি কয়েকদিন যাবত বেতের নামাজে দুয়া কুনুতে "কাফ" এর স্থলে "খ" পড়েছি বুঝতে পারিনি যে ভুল পড়তেছি।  এখন ওই নামাজ কি আমাকে আবার পড়তে হবে? দোয়ার (مَنْ يَّفْجُرُكَ) এই শব্দে।

৫. যবরের পর খালি আলিফ + এর পরের হরফে তাশদীদ বা সাকিন থাকে তখনও কি মাদ্দের হরফের ন্যায় এক আলিফ টানতে হবে? নাকি তাশদীদ বা সাকিন থাকার কারণে এক আলিফ মাদ্দ টানা লাগবে না? যেমন, তাশাহুদে (أَيُّهَا النَّبِيُّ)
এখানে "হা " কি এক আলিফ পরিমাণ টেনে পড়তে হবে?

(দয়া করে উত্তর গুলো জানাবেন, উত্তর গুলো জানা আমার অনেক প্রয়োজন। আল্লাহ আপনাদের উত্তম বিনিময় দান করবেন ইনশাআল্লাহ) <!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_230513_192708_610.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয়, এমন ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। অতএব কমপক্ষে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য যে সুরাগুলোর প্রয়োজন, সেগুলো (সুরা ফাতেহা ব্যাতিত কমপক্ষে চারটি সুরা) শুদ্ধ করে নেওয়া আবশ্যক, অন্যথায় সে গুনাহগার হবে। 

মহান আল্লাহ তাআলার কালাম তিলাওয়াতের বিশেষ নিয়ম ও আদব রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا
কুরআন তিলাওয়াত কর ধীরস্থির ভাবে, স্পষ্টরূপে। -সূরা মুযযাম্মিল (৭৩) : ৪

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
زينوا القرآن بأصواتكم
সুন্দর সূরের মাধ্যমে কুরআনকে  (এর তিলাওয়াতকে) সৌন্দর্যমণ্ডিত কর। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৮

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লম ইরশাদ করেছেন, (কিয়ামতের দিন) কুরআনের তিলাওয়াতকারী বা হাফেজকে বলা হবে-
اقْرَأْ، وَارْتَقِ، وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِي الدُّنْيَا، فَإِنَّ مَنْزِلَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَؤُهَا.
তিলাওয়াত করতে থাক এবং উপরে উঠতে থাক। ধীরে ধীরে তিলাওয়াত কর, যেভাবে ধীরে ধীরে দুনিয়াতে তিলাওয়াত করতে। তোমার অবস্থান হবে সর্বশেষ আয়াতের স্থলে যা তুমি তিলাওয়াত করতে। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৪; জামে তিরমিযী, হাদীস ২৯১৪

বিস্তারিত জানুনঃ  

নামাজের মধ্যে কিরা'আতে কোনো ভুল হওয়ার পর সেটি শুধরিয়ে নেওয়ার দ্বারা সেই ভুল আর কোনো ক্রিয়া করবেনা।
নামাজ হয়ে যাবে।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানীয়া ৩/১৭৮)

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ১/৭২ তে আছেঃ
لو قرأ في الصلاة بخطأ فاحش ثم رجع وقرأ صحيحا قال عندي صلاته جائزة
সারমর্মঃ 
কেহ যদি নামাজে স্পষ্ট ভুল পড়ার পর তাহা শুধরিয়ে নেয়,তাহলে নামাজ হয়ে যাবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
(০১)
কোনো শব্দে মাদ্দ হবে কিনা,ভুলে গেলে আপনি না টেনেই সেই শব্দ পড়ে যাবেন।
এতে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

আর ছোট হা নাকি বড় হা,এমন ভুলের সন্দেহ হলে প্রয়োজনে সেই সুরা বাদ দিয়ে অন্য সুরা তিলাওয়াত করবেন।
কোনোক্রমেই নামাজ ছেড়ে দিবেননা।

(০২)
এক্ষেত্রে দুয়া কুনুত, তাশাহুদ, দুরুদ ঐভাবেই চালিয়ে যাবেন।

(০৩)
নামাজের আগ দিয়ে কয়েকবার পড়ে তারপর বিতির নামাজ শুরু করবেন।
তারপরেও দোয়া কুনুতের ক্ষেত্রে সমস্যা হলে ঐভাবেই চালিয়ে যাবেন।
কোনোক্রমেই নামাজ ছেড়ে দিবেননা।

(০৪)
সেই নামাজ আবার পড়তে হবেনা।

(০৫)
না,এখানে এক আলিফ পরিমাণ টেনে পড়তে হবেনা।

এখানে কোনো টান দিয়ে পড়বেননা।
(সরাসরি তাশদিদযুক্ত হরফ ধরবেন।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (27 points)
আপনার ১ নাম্বার উত্তরে সম্ভবত টাইপিং মিস্টেক হয়েছে,  আমি বুঝতে পারছি না মাদ্দ টেনে পড়তে বলছেন নাকি না টেনে পড়তে বলছেন (মা শব্দটা দ্বারা)?
by (574,260 points)
জী,টাইপিং মিস্টেক হয়েছে।
সংশোধন করা হয়েছে।
জাযাকাল্লাহ 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...