আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
246 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম শায়েখ,

১. একটা বোতলে পানি আছে, খাবো ভাবছি দিয়ে মনে মনে হতে লাগলো ওই বোতলে পানি খেলে তালাক। এই রকম মনে মনে হচ্ছিল আর সেই সময় আমি গলা ঝেড়েছি। দিয়ে ভয় হয়ে জাই উচ্চরণ হলো নাকি। আসলে কথাটা  মনে মনে হয়েছে আর সেই সময়  গলা ঝেড়েছি। হুজুর এক্ষেত্রে কি সর্ত তালাক হবে? সেই বোতলে পানি খেলে তালাক হবে না তো?

১.১ তার পর থেকে যেই বোতলে পানি খেতে যাচ্ছি তখনি তালাক কথা মনে হচ্ছে। হুজুর আমি যদি পানি খাই তাহলে কি তালাক হবে?
২. মনে মনে এমন হচ্ছে, কারো কাছে বসে আছি সে কথা বলছে দিয়ে মনে মনে এমন হচ্ছে, যদি সে এর পর এই কথা বলে তাহলে তালাক, মনে মনে হচ্ছে, দিয়ে সেই ব্যাক্তি সেই কথা বললো তাহলে কি তালাক হবে? মুখে উচ্চরণ করিনি
৩. মনে মনে এমন হচ্ছে যদি ifatwa। তে প্রশ্ন করি তাহলে তালাক , হুজুর প্রয়োজন এ প্রশ্ন করছি , তাহলে কি তালাক হবে। যা হয়েছে সব মনে মনে।
৪. হুজুর মনে মনে যতই শর্ত তালাক এর কথা মনে হোক না কেন। মুখে উচ্চরণ না করলে তো শর্ত তালাক হবে না তাই না হুজুর। মনে মনে যা ভাবা হচ্ছে দিয়ে সে সেই কাজ করলো তাহলে তালাক হবেনা । যতক্ষণ না সে মুখে উচ্চরণ করছে। তাই তো? আমি ঠিক বুঝেছি?
৫. হুজুর এমন আমার বাজে মন , মনে মনে এমন হচ্ছে অমুক ব্যাক্তি না মারা গেলে তালাক এই রকম মনে মনে, হচ্ছে আস্তাগিরুল্লাহ তৌবা। হুজুর না মারা গেলে কি তালাক হবে?
৫.১ হুজুর আমার এই রকম মনে হওয়ার জন্য অমুক ব্যাক্তির কোনো ক্ষতি হবে না তো?
৬. মনে মনে এমন হচ্ছে নামাজ না পড়তে গেলে তালাক, এই রকম মনে মনে হচ্ছে। হুজুর যদি নামাজ পড়তে যা জাই তাহলে কি তালাক হবে? (বলবেন)  হুজুর আমি নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম কোনো তালাক হবে না তো?   ( বলবেন)
৬.১ হুজুর নামাজ পড়তে গিয়ে সেজদায় সুবহানা রাবিয়াল আলা। বলছি দিয়ে মনে মনে এমন হচ্ছে আর একবার বলেল তালাক, মনে মনে হচ্ছে দিয়ে হুজুর আমি অন্য মনস্ক হয়ে নামাজ পরলাম আমি তিন বার বলেছি, তাহলে কি তালাক হবে? যা হয়েছে মনে মনে।
৬.২ হুজুর কালেমা সাহাদাত পড়ছি, মনে মনে এমন হচ্ছে আর একবার পড়লে তালাক, যদি আমি আর একবার পড়ি তাহলে কি তালাক হবে?
৭. আমি একটা বাচ্চা ছেলে কোলে নিয়েছি দিয়ে মুখে টিক টিক করে আওয়াজ করছি,  আর সেই  সময় মনে মনে এমন  হলো যদি বাচ্চা ছেলে টা হাসে তাহলে তালাক। ,  দিয়ে আমার ভয় হতে লাগলো উচ্চরণ হয়ে গেলো নাকি , যেহেতু টিক টিক করে তাকে হাসানোর চেষ্টা করছিলাম ।মনে মনে এমন হলো। দিয়ে বাচ্চা টা হাসলো তাহলে কি তালাক হবে? আর এটা কে কি উচ্চরণ ধরা হবে? আমি মুখ দিয়ে স্পষ্ট বাক্যে কিছুই বলিনি।
৮.  রাস্তা তে সজিনা র ডাটা পড়ে আছে, একটা বাচ্চা ছেলে কুড়াচ্ছে , দিয়ে আমি বলছি ওই দেক একটা ডাটা বলে দেখিয়ে দিচ্ছি। বাচ্চা ছেলে টা কুড়াতে যাচ্ছে, দিয়ে সেই সময় সঙ্গে সঙ্গে মনে হচ্ছে যদি ডাটা টা কুড়াই তাহলে তালাক। মনে মনে এমন হলো। হুজুর দিয়ে বাচ্চা ছেলে টা ডাটা কুড়ালো তাহলে কি তালাক হবে?
৯. হুজুর কোনো কথা বলছি বা ফাতেহা সূরা পড়ছি তখন তালাক কথা টা মনে মনে হয়ে হচ্ছে, দিয়ে মনে হচ্ছে উচ্চরণ হয়ে গেলো নাকি বলে ভয় হচ্ছে। এক্ষেত্রে কি তালাক হবে?

১০. মনে মনে এমন হচ্ছে যদি অমুক কথা বলি তাহলে তালাক, বা অমুক কাজ করি তাহলে তালাক। এই রকম মনে মনে হচ্ছে, দিয়ে যদি সেই কথা বলি বা সেই কাজ করি তাহলে কি তালাক হবে? যা হয়েছে সব মনে মনে

1 Answer

0 votes
by (564,870 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান হলো, মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে বা মনে মনে শর্ত যুক্ত তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এক্ষেত্রে শর্তযুক্ত তালাক হবেনা।
সেই বোতলে পানি খেলে তালাক হবে না। 

১.১
আপনি যদি পানি পান করেন, তাহলে  
তালাক হবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রে সেই ব্যাক্তি যদি সেই কথা বলে, তাহলে তালাক হবেনা।

(০৩)
তাহলে তালাক হবেনা।

(০৪)
হ্যাঁ, আপনি ঠিক বুঝেছেন।

(০৫)
না মারা গেলে তালাক হবেনা।

৫.১
আপনার এই রকম মনে হওয়ার জন্য অমুক ব্যাক্তির কোনো ক্ষতি হবে না।

(০৬)
উভয় ছুরতে তালাক হবেনা।

৬.১
তাহলে তালাক হবেনা। 

৬.২
আপনি যদি আর একবার পড়েন, তাহলে তালাক হবেনা।

(০৭)
বাচ্চা টা হাসলো তাহলে তালাক হবেনা।
আর এটা কে উচ্চরণ ধরা হবেনা।

(০৮)
বাচ্চা ছেলে টা ডাটা কুড়ালো তাহলে তালাক হবেনা।

(০৯)
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...