আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর,

১. হুজুর রাস্তা তে বন্ধুদের সাতে কথা বলছি , দিয়ে কথা হচ্ছে, হতে হতে মনে হচ্ছে এরপর যদি আমার বন্ধু এই কথা বলে তাহলে তালাক এই টা সম্পূর্ণ মনে মনে হচ্ছে। মুখে উচ্চরণ করিনি।

হুজুর দিয়ে বন্ধু সেই কথা বলবে ভেবে আমিই নিজে ওই কথা বলে ফেলছি। এর জন্য কি তালাক হবে?
২. তার পর মনে হচ্ছে রাস্তা তে অমুক লোকটা এই করলে বা বললে তালাক মনে মনে হচ্ছে। মুখে উচ্চরণ করিনি। দিয়ে লোকটা তাই করলো বা বললো তাহলে কি তালাক হবে?

৩. হুজুর একটা প্রশ্ন দেখলাম দাড়ি কে নিয়ে কুটুক্তি করলে ঈমান চলে যাবে।
এই টা দেখার পর আমার মনে নানা রকমের কুটুক্তি গালি ইত্যাদি চলে আসছে মনে মনে হচ্ছে, আমি মুখে উচ্চরণ করছিনা। শয়তানের ওয়াসওয়াসা তে এমন মনে হচ্ছে । মনে মনে । মুখে উচ্চরণ করিনি, আমি  আস্তাগিরুল্লাহ পড়ছি  । হুজুর আমার ঈমান চলে যাবে না তো মনে মনে এই রকম হওয়ার জন্য।
৪. মনে মনে যখন এই সব খারাপ চিন্তা ভাবনা আসছে তখন আমার হেছকি উটচে দিয়ে মনে হয়ে গেলো উচ্চরণ হয়ে গেল নাকি। কিন্তু সত্যি বলতে আমি মনে মনে হয়েছে উচ্চরণ করিনি। হুজুর আমার ঈমান ঠিক আছে তো?

৫. অনিচ্ছা কৃত মনে মনে ভাবনা চলে আসছে , আবার মাজে মাজে ভুল করেও ইচ্ছাকৃত খারাপ ভাবনা চলে আসছে। কিন্তু মুখে উচ্চরণ করছিনা । কোনো ভাবেই মুখে উচ্চরণ করিনি। মনে মনে হয়েছে। হুজুর ঈমান চলে যাবে না তো?

৬.https://ifatwa.info/74952/ এই  লিঙ্কের প্রশ্ন দেখতে পায়নি। কিন্তু উত্তরে বলা হয়েছে ঈমান চলে যাবে। বিষয় হলো হুজুর এই প্রশ্ন টা তে আমার কখন টাচ হয়ে vote দেওয়া হয়ে জাই একবার   মাইনাস হয়ে জাই। একবার প্লাস হয়ে জাই। দিয়ে আবার দেখি মাইনাস ছিল আমি vote টা তুলে নিয়েছি। দিয়ে নরম্যাল করে দিয়েছি। এই রকম vote হওয়ার জন্য বা মাইনাস তুলে নিয়েছি তার জন্য কি ঈমান চলে যাবে?  দাড়ি কে কুটুক্তি করা ও অবশ্যই খারাপ কাজ। কিন্তু হুজুর আমি দাঁড়ি কে কুটুক্তি করা নিয়ে vote দেইনি। এমনি টাচ লেগে হয়ে জাই। এর জন্য আমার ঈমান চলে যাবে না তো?

৭. হুজুর খারাপ জায়গাতে ইসলামের কোনো জিনিস কে মনে করলে ঈমান চলে যায়।
আমি ওয়াসওয়াসা রুগী। হুজুর বাথরুম এ গিয়ে না না কথা মনে হয়। সঙ্গে সঙ্গে আমি অন্য মনস্ক হয়ে জাই। আজকে বাথরুম এ গিয়েছি সঙ্গে সঙ্গে কাবা শরীফের এর কথা মনে পড়েছে সঙ্গে সঙ্গে মন কে অন্য মনষ্ক করে ফেলেছি।
হুজুর যখনই মনে পড়েছে , আমি অন্য মনষ্ক হয়ে গিয়েছি আর আমার গলাতে একটু হালকা শব্দ হতে গিয়েছে ,কোনো উচ্চরণ করিনি , এমনি গলা পরিষ্কার করলে জে শব্দ হয় এমন হয়েছে । এর জন্য কি আমার ঈমান চলে যাবে?

৮. যখন বাথরুম এ আমার ওই রকম মনে হচ্ছিল, তখন আমি প্রস্রাব করছিলাম, আর প্রস্রাব করতে করতে আমি মনে মনে আউজবিল্লা হিমিনার শয়তানির রাজিউন পড়ছিলাম মনে মনে পড়ছিলাম। যেনো আমার আর কোনো কিছু না মনে পড়ে সেই ভেবে। হুজুর মুখে উচ্চরণ করিনি মনে মনে পড়েছি।  এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?

হুজুর ওই অবস্থায় পড়লে কি ঈমানের কোনো ক্ষতি হবে? আল্লাহ কসম আমি জানতাম না । নাজেনে বুঝে মনে মনে পড়ে ফেলেছি , এইরকম অবস্থায় পড়লে ঈমানের জন্য ক্ষতিকর হলে আমি কখনই পড়তাম না। আল্লাহ কসম । না জেনে বুঝে মনে মনে আউজবিল্লা পড়েছি। এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো, মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে বা মনে মনে শর্ত যুক্ত তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এর জন্য তালাক হবেনা।

(০২)
লোকটা তাই করলো বা বললো, তাহলে তালাক হবেনা।

(০৩)
না,মনে মনে এরকম হওয়ার জন্য এতে ঈমান চলে যাবেনা। 

(০৪)
আপনার ঈমান ঠিক আছে।

(০৫)
ঈমান চলে যাবেনা। 

(০৬)
এর জন্য আপনার ঈমান চলে যাবে না।

(০৭)
এর জন্য আপনার ঈমান চলে যাবে না।

(০৮)
এর জন্য আপনার ঈমান চলে যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...