জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، قَالَ حَدَّثَتْنِي فَاطِمَةُ، عَنْ أَسْمَاءَ، قَالَتْ جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِحْدَانَا يُصِيبُ ثَوْبَهَا مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ كَيْفَ تَصْنَعُ بِهِ قَالَ " تَحُتُّهُ ثُمَّ تَقْرُصُهُ بِالْمَاءِ ثُمَّ تَنْضَحُهُ ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ " .
আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ ও মুহাম্মদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ..... আসমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, একদিন একটি মহিলা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কারো যদি কাপড়ে হারিযের রক্ত লেগে যায় তখন সে কী করবে? তিনি বললেনঃ রক্তের জায়গাটি খুব ভালভাবে রগড়াবে, তারপর ঘষে পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে ফেলবে, তারপর ঐ কাপড় পরে সালাত আদায় করতে পারবে। (মুসলিম ৫৫২.ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৫৬৬, ইসলামিক সেন্টারঃ ৫৮২)
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-
أَمَّا لَوْ غُسِلَ فِي غَدِيرٍ أَوْ صُبَّ عَلَيْهِ مَاءٌ كَثِيرٌ، أَوْ جَرَى عَلَيْهِ الْمَاءُ طَهُرَ مُطْلَقًا بِلَا شَرْطِ عَصْرٍ وَتَجْفِيفٍ وَتَكْرَارِ غَمْسٍ هُوَ الْمُخْتَارُ (الدر المختار مع رد المحتار-1/541-543، زكرريا، 1/332-333، سعيد)
সারমর্মঃ-
যদি পুকুরে ধোয়া হয়,অথবা তার উপর অনেক বেশি পানি ঢেলে দেয়া হয়,অথবা তার উপর পানি প্রবাহিত করে দেয়া হয়,সেক্ষেত্রে নিংড়ানো,শুকানো,একাধিকবার ডুবানোর শর্ত ছাড়াই মুতলাকান সেটি পাক হয়ে যাবে।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৫৪১-৫৪৩)
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত মাসয়ালার ক্ষেত্রে নিংড়ানো আবশ্যক কিনা,এই ব্যপারে আমাদের ইমামমের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত উভয় ফতোয়াই সহীহ।
তাই এক্ষেত্রে যেকোনো মতের উপর আমল করা যাবে।
তবে এক্ষেত্রে একবার নিংড়ানের পরামর্শ থাকবে।
(০২)
ঝর্নার পানি বা প্রবাহিত পানিতে ভালো মত নাপাক কাপড় ধোয়ার পর কাপড় না চিপলে যে পানি কাপড় থেকে টপকিয়ে পরে, তা নাপাক হিসেবে গণ্য হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، قَالَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَيْمُونٍ الْجَزَرِيُّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَغْسِلُ الْجَنَابَةَ مِنْ ثَوْبِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَيَخْرُجُ إِلَى الصَّلاَةِ، وَإِنَّ بُقَعَ الْمَاءِ فِي ثَوْبِهِ.
‘আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাপড় হতে অপবিত্রতার চিহ্ন ধুয়ে দিতাম এবং কাপড়ে ভিজা চিহ্ন নিয়ে তিনি সালাতে বের হতেন।
(বুখারী ২২৯.২৩০, ২৩১, ২৩২; মুসলিম ২/৩২, হাঃ ২৮৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৯)
(০৩)
এটি মতবিরোধ পূর্ণ মাসয়ালা।
তাই এক্ষেত্রে যথাসম্ভব ভালোভাবে চিপার উপরে আমল করার পরামর্শ থাকবে।
(০৪)
এক্ষেত্রে ১ম বার ভালোভাবে চিপে নেয়াই যথেষ্ট।
বারবার চিপতে হবেনা।