আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
190 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
১.শায়েখ আমি কিছু দিন আগে বিয়ে করেছি। আমার বিয়ে কাজি অফিসে হয়েছে। তখন আমার বন্ধু আমার বড়ো ভাই আরআমার বড়ো ভাই এর বন্ধু ছিলো। আর আমার স্ত্রীর বোন ছিলো। একজন আলেম ভাই ছিলো। তো আলেম ভাই আমার পক্ষথেকে আমার স্ত্রী কে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে আর আমার স্ত্রী তিন জন সাক্ষীর সামনে কবুল বলেছে।তিনজন সাক্ষী হলো (স্ত্রীরবোন ,আমার বন্ধু ,আমার ভাই এর বন্ধু )।এরপর  খুদবা হয়েছে    দোয়া হয়েছে। কিন্তু আমার স্ত্রীর পক্ষ থেকে আমাকে বিয়েরপ্রস্তাব দেওয়া হইনি। আমার পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে আর স্ত্রী কবুল বলেছে শুধু। আর কাবিন হয়েছে ৫ লাখটাকা। তখন সাক্ষী হিশেবে সাইন করার সময় ,আমার বন্ধু ,আমার স্ত্রী বোন আর আলেম ভাই সাইন করেছে। কিন্তু আমার  স্ত্রীকবুল বলার সময় আলেম ভাই সাক্ষী ছিলো না ওনি আমাদের বিয়ে পরিয়েছে। সাক্ষী ছিলো ওরা তিনজন (স্ত্রীর বোন ,আমারবন্ধু ,আমার ভাই এর বন্ধু )।এখানে আমার ভাই এর বন্ধু যে সাক্ষী ছিলো ওনার বদলে যে আমাদের বিয়ে পরিয়েছে ওনিকাবিননামায় সাইন করেছে। আমার ভাই এর বন্ধু যে সাক্ষী ছিলো ওনি সাইন করে নাই তাতে কি আমাদের বিয়ে সহিহ হবে?
২. কিন্তু আমার স্ত্রীর পক্ষ থেকে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হইনি। আমার পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে আর স্ত্রীকবুল বলেছে শুধু। তাতে কি বিয়ে সহিহ হবে?
৩.আমার যে বিয়ে সহিহ হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ হইতেছে তাতে কি বিয়েতে কোনো সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (572,970 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, 

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(১-২)
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য 
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত আলেম যেহেতু আপনার অনুমতিতে/সম্মতিতে আপনার পক্ষ থেকে আপনার স্ত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে, সুতরাং এক্ষেত্রে উক্ত আলেম আপনার উকিল হয়ে আপনার পক্ষ থেকে প্রস্তাব দিয়েছে বলে ধরা হবে।
এক্ষেত্রে তার (উকিলের) প্রস্তাবই আপনার প্রস্তাব বলে বিবেচিত হবে।

তাই এক্ষেত্রে আপনাদের বিবাহ সহীহ।

(০৩)
এই সন্দেহের দরুন আপনাদের বিয়েতে কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...