ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) কোনো সামর্থ্যবান ব্যক্তির বিয়ের চাহিদা না থাকলে,এবং গোনাহে জড়িত না হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত থাকলে, তিনি বিয়ে না করেও থাকতে পারবেন। এক্ষেত্রে উনি গোনাহগার হবেন না। যদি বিয়ে না করা সুন্নতের খেলাফ।
(২) কারো বিয়ের কথা মাথায় আসলে মাথায় আজেবাজে চিন্তা আসে যেমন কোনো মেয়েকে নিয়ে জেনার চিন্তা আসে এক্ষেত্রে কেউ যদি নিয়ত করে যে বিয়ে করবে না, তাহলে গুনাহ হবে না,যদি গোনাহে জড়িত না হওয়া নিয়ে তিনি নিশ্চিত থাকেন। তবে বিয়ে করা সুন্নত।
(৩) ফরজ নামাজে তাসবিহাতের জায়গা সমূহে আপনার বর্ণিত কুরআন হাদীসে উল্লেখিত আরবী দু'আ পড়া যেতে পারে।তবে কিরাতের মূহুর্তে কিংবা তাশাহুদ পড়ার সময়ে উক্ত দু'আ পড়া যাবে না।পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/185
(৪) বিদায়ের সময় সালাম দেওয়া ও মুসাফাহ করা যাবে। বিদআত হবে না। উত্তম হল, এই দু'আ পড়া,যা নিম্নোক্ত হাদীসে এসেছে,
সালেম ইবন আব্দুল্লাহ ইবনে উমার হতে বর্ণিত, সফরকারীকে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলতেন,
وَعَن سَالِمِ بنِ عَبدِ اللهِ بنِ عُمَرَ: أنَّ عَبدَ اللهِ بنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، كَانَ يَقُولُ للرَّجُلِ إِذَا أرَادَ سَفَراً: اُدْنُ مِنِّي حَتَّى أُوَدِّعَكَ كَمَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يُوَدِّعُنَا، فَيَقُولُ: أَسْتَوْدِعُ اللهَ دِينَكَ، وَأمَانَتَكَ، وَخَواتِيمَ عَمَلِكَ . رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح
আমার নিকটবর্তী হও, তোমাকে ঠিক সেইভাবে বিদায় দেব, যেভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বিদায় দিতেন। সুতরাং তিনি বলতেন, ’আস্তাউদি’উল্লা-হা দ্বীনাকা অআমা-নাতাকা অখাওয়াতীমা ’আমলিক।’ অর্থাৎ তোমার দ্বীন, তোমার সততা এবং তোমার কাজের পরিণাম আল্লাহকে সঁপে দিলাম। (সুনানে তিরমিযী -৩৪৪৩)
মুসাফাহ দুনু হাত দ্বারা করা উত্তম।তবে একহাতেও জায়েয।এবং কুলাকুলি একবার করা সুন্নত। একের অধিক করা বিদ'আত।
(৫) ফরজ নামাজে ইকামাত শুরু হওয়ার পূর্বে সবাইকে দাড়াতে হবে। দাড়ানো মুস্তাহাব।
হাইয়্যা আলাস সালাহ বলার সময় ইমাম সাহেবের জন্য তাকবীরে তাহরিমা বলার কথা কিছু কিছু কিতাবে বর্ণিত থাকলে সর্বোত্তম মতামত হল, ইকামত শেষ হওয়ার পরই ইমাম সাহেবে রাকাত শুরু করবেন।
:وشروع الإمام في الصلاة مذ قیل قد قامت الصلاة (تنویر الأبصار: ۲/۱۷۷، شامي) ..... ولو أخر حتی أتمھا لا بأس بہ إجماعًا.....لأن فیہ محافظة علی فضیلة الموٴذن وإعانة لہ علی الشروع مع الإمام (۲/۱۷۸، شامي زکریا)
(৬)রাতে চোখে সুরমা লাগানো সুন্নত। প্রত্যেক চোখে তিনবার লাগানো সুন্নত।অথবা ডান চেখে তিনবার এবং বাম চোখে দুইবার সুরমা লাগানোই সুন্নত, এভাবে যে,প্রথমে ডান চোখে দুইবার তারপর বাম চোখে দুইবার এবং শেষে শুধুমাত্র ডান চোখে একবার।
(ابن عباس) أنّ النبي صلی اللہ علیہ وسلم کانت لہ مکحلة یکتحل بہا کل لیلة، ثلاثة في ہذہ وثلاثة فی ہذہ․ رواہ الترمذی، وعنہ قال: کان النبی صلی اللہ علیہ وسلم یکتحل قبل أن ینام بالإثمد ثلاثًا في کل عین․ مرقاة المفاتیح، کتاب اللباس، باب الترجل ۸/۳۰۹، ط: فیصل/ دیوبند