১..এখন একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, আল্লাহর ভয়ে দ্বীন মানার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু স্বামীর দ্বীনের বুঝ নাই কোনো।
এই মেয়েটা বিরক্ত হয়ে রাগ করে মাঝে মাঝে তার হেদায়েতের জন্য দুআ করতে, কোনো দাওয়াত দিতে ভালো লাগে না।
জানতে চাই মেয়েটা ধৈর্য্যধারণ করে দিনের পর দিন স্বামীকে ইসলামের দাওয়াত দিতে থাকলে,তার দ্বীনের পথে ফেরার জন্য জান প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করতে থাকলে এই মেয়ে এতো কষ্টের, এতো কষ্ট করে স্বামী কে দাওয়াত দেওয়ার কি কি প্রতিদান পাবে আল্লাহর কাছে???
২. এক মেয়ের বিয়ের আগে দ্বীনের বুঝ না থাকার জন্য অনেক অপরাধ ই করেছে।
কিন্ত বিয়ের পর সে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য খুব চেষ্টা করে ইসলামের বিধি বিধান মানার জন্য।
কিন্ত তার স্বামীর দ্বীনের বুঝ না থাকার কারণে ঝগড়া হইলেই এই লোক তার বউকে ভন্ড বলে, খুব বাজে কথা বলে সে হুজুর বলে, আগে কি কি অপরাধ করছে সেইগুলো নিয়ে খোটা দেয়,
মেয়েটা তওবা করেছে, আগের কোনো অপরাধ ও করে না, পর্দা করে তারপরেও স্বামী নিয়মিত ভন্ড বলে ছোটো করেই যায়, কি করা যায়, এই থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে কিভাবে, হাজবেন্ড কি করলে দ্বীন পালন নিয়ে এতো বেশি কষ্ট দিবে না?
৩. ওয়াইফের কি অধিকার নাই সে স্বামীর সাথে থাকবে? স্বামী ওয়াইফকে তার বাবার বাসায় বা বাসায় একা রেখে ঘুরতে যায়, নিজের কর্মস্হলে একা থাকতে চায়, নিজের বাড়িতে একা থাকতে চায়।
ওয়াইফ যেখানে স্বামীর সাথে থাকতে চায়, আর স্বামীর খুব ভালোমতোন সামর্থ্য থাকা সত্বেও স্বামী অকারণে খেয়াল খুশি মতোন মেয়েটাকে বাবার বাড়ি ফেলে রাখে, এইটা কি ঠিক?? ইসলামে কি মেয়েটার এই অধিকার নাই যে সে হাজবেন্ডের সাথে থাকবে??
৪. ওয়াইফের খুব ইনসিকিউরড লাগা সত্বেও হাজবেন্ড ওয়াইফকে ৪-৫ দিনের জন্য বা ২-১ দিনের জন্য পুরো বাসায় একা রেখে নিজের বাড়িতে যায় বা আর কোথাও যায়, যেখানে তার ওয়াইফের আশেপাশে পরিচিত কেউ নাই।
স্বামীর কি আসলেই উচিত বা তার কি গুনাহ হবে না এইভাবে ওয়াইফের দায়িত্ব না নিয়ে তাকে একা সবসময় ফেলে গেলে?