আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
230 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (27 points)
১..এখন একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য,  আল্লাহর ভয়ে দ্বীন মানার চেষ্টা করা হয়।   কিন্তু স্বামীর দ্বীনের বুঝ নাই কোনো।
এই মেয়েটা বিরক্ত হয়ে রাগ করে মাঝে মাঝে তার হেদায়েতের জন্য দুআ করতে, কোনো দাওয়াত দিতে ভালো লাগে না।

 জানতে চাই মেয়েটা  ধৈর্য্যধারণ করে দিনের পর দিন স্বামীকে ইসলামের দাওয়াত দিতে থাকলে,তার   দ্বীনের পথে ফেরার জন্য জান প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করতে থাকলে এই মেয়ে এতো কষ্টের,  এতো কষ্ট করে স্বামী কে দাওয়াত দেওয়ার কি কি প্রতিদান পাবে আল্লাহর কাছে???
২. এক মেয়ের বিয়ের আগে দ্বীনের বুঝ  না থাকার জন্য অনেক অপরাধ ই করেছে।

কিন্ত বিয়ের পর সে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য খুব চেষ্টা করে ইসলামের বিধি বিধান মানার জন্য।
কিন্ত তার স্বামীর দ্বীনের বুঝ না থাকার কারণে ঝগড়া হইলেই এই লোক তার বউকে ভন্ড বলে, খুব বাজে কথা বলে সে হুজুর বলে,  আগে কি কি অপরাধ করছে সেইগুলো নিয়ে খোটা  দেয়,
মেয়েটা তওবা করেছে, আগের কোনো অপরাধ ও করে না, পর্দা করে তারপরেও স্বামী নিয়মিত ভন্ড বলে ছোটো করেই যায়,  কি করা যায়, এই থেকে  মুক্তি পাওয়া যাবে কিভাবে, হাজবেন্ড কি করলে দ্বীন পালন নিয়ে এতো বেশি কষ্ট দিবে না?

৩. ওয়াইফের কি অধিকার নাই সে স্বামীর সাথে থাকবে? স্বামী ওয়াইফকে তার বাবার বাসায় বা বাসায় একা রেখে ঘুরতে যায়, নিজের কর্মস্হলে একা থাকতে চায়, নিজের বাড়িতে একা থাকতে চায়।

ওয়াইফ যেখানে স্বামীর সাথে থাকতে চায়, আর স্বামীর খুব ভালোমতোন সামর্থ্য থাকা সত্বেও স্বামী অকারণে খেয়াল খুশি মতোন মেয়েটাকে বাবার বাড়ি ফেলে রাখে,  এইটা কি ঠিক??  ইসলামে কি মেয়েটার  এই অধিকার নাই যে সে হাজবেন্ডের সাথে থাকবে??

৪. ওয়াইফের খুব ইনসিকিউরড লাগা সত্বেও হাজবেন্ড ওয়াইফকে ৪-৫ দিনের জন্য বা ২-১ দিনের জন্য  পুরো বাসায় একা রেখে নিজের বাড়িতে যায় বা আর কোথাও যায়,  যেখানে তার ওয়াইফের  আশেপাশে পরিচিত কেউ নাই।
স্বামীর কি আসলেই উচিত বা তার কি গুনাহ হবে না এইভাবে ওয়াইফের দায়িত্ব না নিয়ে তাকে একা সবসময় ফেলে গেলে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
لَأَنْ يَهْدِيَ اللَّهُ بِكَ رَجُلًا وَاحِدًا خَيْرٌ لَكَ مِنْ أَنْ يَكُونَ لَكَ حُمْرُ النَّعَمِ
“তোমার মাধ্যমে যদি আল্লাহ একজন লোককেও হেদায়েত দেন তবে তা তোমার জন্য একটি লাল উট পাওয়া থেকেও উত্তম।” (বুখারী ১২/৩৭)
তিনি আরো বলেন:
مَنْ دَعَا إِلَى هُدًى كَانَ لَهُ مِنْ الْأَجْرِ مِثْلُ أُجُورِ مَنْ تَبِعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا
“যে ব্যক্তি হেদায়েতের পথে আহবান করে সে ঐ পরিমাণ সওয়াবের অধিকারী হয় যে ব্যক্তি তদনুযায়ী আমল করে। কিন্তু এতে আহ্বানকারীর সওয়াব কমানো হয় না।”(সুনানু আবি দাউদ-৪৬০৯)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/31389


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঐ বোন, স্বামীকে হেদায়তে নিয়ে আসার চেষ্টার জন্য অবশ্যই আল্লাহর কাছে প্রতিদান পাবে।

(২)
হাজবেন্ডের হেদায়তের জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ  করতে হবে। নফল ইবাদত করে করে তার হেদায়তের জন্য কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে চাইতে হবে। 

(৩)
স্ত্রীর খোরপোষ এবং বাসস্থানের ব্যবস্থা করা স্বামীর উপর ওয়াজিব।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/430

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/3712

তাছাড়া স্ত্রীকে সঙ্গ দেয়া ও শারিরিক চাহিদার প্রতি গভীরভাবে খেয়াল রাখাও স্বামীর উপর ওয়াজিব।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/990

(৪)
এভাবে একা একা অনিরাপদ অবস্থায় স্ত্রীকে রেখে যাওয়া স্বামীর জন্য জায়েয হবে না।বরং স্ত্রীকে সাথে নিয়ে যাওয়া বা নিরাপদ কোনো স্থানে রেখে যাওয়া স্বামীর উপর ওয়াজিব।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...