হাফ ভাড়া সরকার কর্তৃক নির্ধারিত।তাই ছাত্ররা হাফ ভাড়া দিবে।হ্যা কোনো ছাত্র সেচ্ছায় ফুল ভাড়া দিতে চাইলে,তা দিতেও পারবে।
তবে ছাত্রদের হাফ ভাড়ার ক্ষেত্রে কিছু ইসলামী স্কলারগন বলেছেন,
যে পরিবহনে উঠা হয়, যদি সেই পরিবহনের মালিক স্বেচ্ছায় শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া গ্রহণ করে থাকে, তাহলে হাফ ভাড়া দিয়ে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত জায়েজ আছে।
নতুবা চাপ সৃষ্টি করে সেই পরিবহন মালিকের সন্তুষ্টির খেলাফ হাফ ভাড়া দেওয়া ঠিক হবেনা।
,
এক্ষেত্রে কেহ যদি ছাত্র না হয়ে ছাত্র পরিচয় দিয়ে ভাড়া কম দেয়,তাহলে তার জন্য এটি কোনোভাবেই জায়েজ হবে না। এখনো ছাত্র পরিচয় দিয়ে ভাড়া কম দিলে সেটি ধোঁকাবাজীর অন্তর্ভূক্ত হবে। যা ইসলামে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
,
হাদীসে ইরশাদ হচ্ছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ فَلَيْسَ مِنَّا، وَمَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের উপর তরবারী উত্তলোন করে, সে আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয়, এবং যে আমাদের ধোঁকা দেয়, সে আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয়। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২২২৪}
তবে এক্ষেত্রে কোনো পরিবহন মালিক বা হেলপার আপনার থেকে হাফ ভাড়া নিতে অস্বীকৃতি জানায় সেক্ষেত্রে ফুল ভাড়া-ই দিতে হবে।