আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
আচ্ছালামু আ'লাইকুম হুজুর, বাসে চলাচল কালে ছাত্ররা হাফ ভাড়ার সুবিধা ভোগ করে আসতো। মাঝে হাফ পাশ উঠিয়ে দেয়। আবার বেশ কিছু ছাত্ররা আন্দোলন করে হাফ পাশ ব্যবস্থা চালু করে। তো এই হাফ ভাড়া সংক্রান্ত শরীয়ত কি বলে জানতে চাচ্ছিলাম। একজন ছাত্র কি হাফ ভাড়া দিবে নাকি কিলো হিসেবে ভাড়া দিবে? নাকি যেই ভাড়া চায় সেই ভাড়াই দিবে? আর ভাড়া অতিরিক্ত চাইলে তখন করণীয় কি

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/310/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,  বৈধ বিষয়ে সরকারি বিধিনিষেধ মানা সকলের জন্য অত্যাবশ্যকীয়।

চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ
'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,

" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ

যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।
কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।
(২৮/৩২৭)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
হাফ ভাড়া সরকার কর্তৃক নির্ধারিত।তাই ছাত্ররা হাফ ভাড়া দিবে।হ্যা কোনো ছাত্র সেচ্ছায় ফুল ভাড়া দিতে চাইলে,তা দিতেও পারবে।

তবে ছাত্রদের হাফ ভাড়ার ক্ষেত্রে কিছু ইসলামী স্কলারগন বলেছেন,
যে পরিবহনে উঠা হয়, যদি সেই পরিবহনের মালিক স্বেচ্ছায় শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া গ্রহণ করে থাকে, তাহলে হাফ ভাড়া দিয়ে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত জায়েজ আছে।
নতুবা চাপ সৃষ্টি করে সেই পরিবহন মালিকের সন্তুষ্টির খেলাফ হাফ ভাড়া দেওয়া ঠিক হবেনা।
,  
এক্ষেত্রে কেহ যদি ছাত্র না হয়ে ছাত্র পরিচয় দিয়ে ভাড়া কম দেয়,তাহলে তার জন্য এটি কোনোভাবেই জায়েজ হবে না। এখনো ছাত্র পরিচয় দিয়ে ভাড়া কম দিলে সেটি ধোঁকাবাজীর অন্তর্ভূক্ত হবে। যা ইসলামে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
,
হাদীসে ইরশাদ হচ্ছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ فَلَيْسَ مِنَّا، وَمَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের উপর তরবারী উত্তলোন করে, সে আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয়, এবং যে আমাদের ধোঁকা দেয়, সে আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয়। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২২২৪}

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি ছাত্র/ছাত্রী হয়ে থাকলে হাফ ভাড়া সংক্রান্ত সরকারের আইনের আওতায় থেকে হাফ ভাড়া দিতে পারবেন।
এক্ষেত্রে তারা যদি হাফ ভাড়া গ্রহনে অস্বীকৃতি জানায়,তাহলে ফুল ভাড়া দিবেন।
,
তবে ফুল ভাড়া থেকেও অতিরিক্ত ভাড়া চাইলে তাহা দিবেননা।
এই অতিরিক্ত ভাড়া গ্রহন তাদের জন্য জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
وَلَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ [٢:١٨٨

তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। [সূরা বাকারা-১৮৮]

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ , أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسِهِ»

হযরত আনাস বিন মালেক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কোন মুসলমানের সম্পদকে তার সন্তুষ্টি ছাড়া গ্রহণ করা হালাল নয়। [সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৮৫]


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...