বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জবাবঃ-
সাবালক হওয়ার পর থেকে সকল কা'যা নামাযকে আদায় করতে হবে।এক্ষেত্রে কা'যা নামাযকে আদায় না করে শুধুমাত্র তাওবাহ ইস্তেগফার যথেষ্ট হবে না।বরং অবশ্যই আদায় করতে হবে।এবং সাথে সাথে তাওবাহ ইস্তেগফার জারী রাখতে হবে।
কখন থেকে এবং কোন পদ্ধতিতে কা'যা নামায-কে আদায় করতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-১৬০৯।
জীবনে কতটি দিন বা মাস কিংবা বৎসরের নামায কা'যা হয়েছে,সে বিষয়ে অধিকাংশ ধারণার উপর ভিত্তি করেই মূলত নামায-কে কা'যা করতে হবে।যখন মনের মধ্যে পূর্ণ ঈয়াক্বিন চলে আসবে যে,এখন থেকে আরো কোনো নামায কা'যা নেই।তখন থেকেই কা'যা নামায কে সমাপ্ত করা হবে।
তিনটি হারাম সময় ব্যতীত যেকোনো সময় কা'যা নামায পড়া যাবে।১৬০৪,
(২)
ذهب الحنفية إلى أن من طلع عليه الفجر ولم يصل الوتر يجب عليه قضاؤه، سواء أتركه عمدا أم نسيانا وإن طالت المدة، ومتى قضاه يقضيه بالقنوت. فلو صلى الصبح وهو ذاكر أنه لم يصل الوتر فصلاة الصبح فاسدة عند أبي حنيفة لوجوب الترتيب بين الوتر والفريضة
হানাফি মাযহাব মতে যদি কারো সামনে ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায,এবং সে বিতির পড়তে না পারে,তাহলে তার উপর বিতিরের কা'যা ওয়াজিব।চায় সে ইচ্ছাকরে বিতিরকে কা'যা করুক বা অনিচ্ছায় কা'যা হোক।চায় কা'যা হওয়ার পর অনেক লম্বা সময় অতিবাহিত হয়ে যাক।যখনই কা'যা করা হবে, তখন কুনুত সহ কা'যা করা হবে।যদি বিতির কা'যা হয়েছে,সেটা স্বরণে থাকা সত্তেও কেউ ফজরের নামায পড়ে নেয়,তাহলে ইমাম আবু-হানিফার মাযহাবমতে তার ফজর ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা বিতির এবং ফরয নামাযের মধ্যে তারতিব ওয়াজিব(তবে যদি সে সাহেবে তারতিব না হয়,তাহলে তার নামায ফাসিদ হবে না)
(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২৭/৩০১)
আরো বর্ণিত রয়েছে-
আহসানুল ফাতাওয়া-৪/১৮
ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/৩৬৬
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিতিরের কা'যা নিয়ে মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে।হানাফি মাযহাব অনুযায়ী বিতিরের কা'যা তিন রাকাতই আদায়ের মত করতে হবে।আল্লাহ-ই ভালে জানেন।
(৩)
জুম্মার কা'যা নাই।বরং জুম্মার পরিবর্তে জোহরের নামায পড়তে হবে।