ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)
তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/835
ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1379
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
ঘুমের মধ্যে এগুলো দেখার দ্বারা তালাক হবে না।
(২) এভাবে ঠোট নড়াচড়ার দ্বারা তালাক হবে না।
(৩)
তালাক বলে চিল্লানি দিয়ে ঘুম উঠে যাওয়ার দরুণ তালাক হবে না।
(৪)
তালাক কথাটা যদি উচ্চারণ না করে বা শব্দ না করে খালি ঠোঁট নড়াচড়া করে তালাক ভাবা হয়, তাহলে তালাক হবে না।
(৫)
ঘুমের মধ্যে প্রশ্নে বর্ণিত এইসব দ্বারা তালাক হবে না।
(৬)
প্রশ্নের বিবরণমতে তালাক হবে না।
(৭)
স্ত্রীকে তুমি আমার মায়ের মতো ,তুমি আমার বোনের মতো বললে, এদ্বারা জিহার হবে না।জিহার হওয়ার জন্য মাহরাম কোনো মহিলার অঙ্গের সাথে তুলনা করতে হবে।
(৮)
প্রশ্ন করার জন্য,তালাক দিলে বা তালাক এইসব কথা উচ্চারণ করা বা টাইপ করে লিখার কারণে তালাক পতিত হবে না।