বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সুন্নতের ক্ষেত্রে প্রত্যেক দুই রাকাত স্বতন্ত্র নামায। সুতরাং প্রথম দুই রাকাতের মত শেষের দুই রাকাতেও সূরা ফাতিহার সাথে অন্য যেকোনো সূরা মিলানো ওয়াজিব। এই ওয়াজিব তরক করলে রুকুতে সাহু সিজদা দিতে হবে।নতুবা নামাযই হবে না (ফাতাওয়া কাসিমিয়া ৭/১৯৪)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে এসেছেঃ
وإن تركها في الأخريين لايجب إن كان في الفرض وإن كان في النفل أو الوتر وجب عليه."
যদি নফল বা বিতর নামাজে সুরা না মিলানো হয়,তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২৬)
ضم سورة إلی الفاتحة في جمیع رکعات النفل والوتر والأولیین من الفرض ویکفي في أداء الواجب أقصر سورة أو ما یماثلها کثلاث آیات قصار أو آیة طویلة والآیات القصار الثلاث.
নফল,বিতরের সমস্ত রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে ছোট সুরা বা ছোট তিন আয়াত মিলানো ওয়াজিব। বড় একটি আয়াত বা ছোট তিনটি আয়াত দ্বারাই এ ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।(আল ফিকহু আলাল মাযাহিবিল আরবা-১/২৫৯)
ইমাম।আবু হানিফা রাহ এর মতে দিনে রাতে সর্বদাই চার রাকাত করে করে নফল পড়াই উত্তম।ইমাম আবু ইউসুফ এবং ইমাম মুহাম্মদ রাহ এর মতে দিনে চার রাকাত এবং রাতে দুই রাকাত করে করে নফল নামায পড়াই উত্তম।ইমাম শাফেয়ী রাহ এর মতে দিনে রাতে দুই রাকাত করে করে নফল পড়াই উত্তম।
- (وَالْأَفْضَلُ فِيهِمَا رُبَاعُ) أَيْ الْأَفْضَلُ فِي اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ أَرْبَعٌ أَرْبَعٌ وَهَذَا عِنْدَ أَبِي حَنِيفَةَ وَعِنْدَهُمَا الْأَفْضَلُ فِي اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى وَفِي النَّهَارِ أَرْبَعٌ أَرْبَعٌ وَعِنْدَ الشَّافِعِيِّ فِيهِمَا مَثْنَى مَثْنَى لِحَدِيثِ الْبَارِقِيِّ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ - عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ - قَالَ «صَلَاةُ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ مَثْنَى مَثْنَى» وَلَهُمَا مَا رُوِيَ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ - عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ - قَالَ صَلَاةُ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى وَلِأَبِي حَنِيفَةَ مَا رَوَتْ عَائِشَةُ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا - أَنَّهُ - عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ - «كَانَ يُصَلِّي بِاللَّيْلِ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ لَا تَسْأَلُ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ، ثُمَّ يُصَلِّي أَرْبَعًا لَا تَسْأَلُ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ» رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَالْبُخَارِيُّ. ('تبيين الحقائق:ج١:ص:١٧٢)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নফল নামাযের প্রত্যেক রাকাতে সূরায়ে ফাতেহার সাথে অন্য সূরা মিলানো ওয়াজিব। দিনের বেলায় নফল নিম্নস্বরে পড়া উচিৎ।এবং রাতের বেলায় উচ্ছস্বরে ও নিম্নস্বরে পড়ার মধ্যে মুসল্লির এখতিয়ার থাকবে। সুতরাং রাতের বেলায় যদি কোনো মুসল্লি চার রাকাত নফল পড়ে নেয়, তাহলে সে চাইলে উচ্ছস্বরেও পড়তে পারবে, এবং চাইলে নিম্নস্বরেও পড়তে পারবে।
فتح القدير للكمال ابن الهمام (1/ 327):
"وفي التطوع بالنهار يخافت، وفي الليل يتخير اعتباراً بالفرض في حق المنفرد، وهذا لأنه مكمل له فيكون تبعاً".