আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
237 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
হুজুর,
সলাত কায়েম কর এবং যাকাত দাও।  এর আরবি টা জানালে ভাল হয়।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ
সলাত কায়েম কর এবং যাকাত দাও এর আরবী হল
أَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
“নামায কায়েম কর” হুবহু শব্দে নির্দেশনাটি পবিত্র কুরআনে বারটি স্থানে এসেছে।
আমরা উক্ত আয়াতগুলোর অনুবাদের দিকে খেয়াল করলেই নামায কায়েমের দ্বারা রব্বে কারীম কী উদ্দেশ্য নিয়েছেন তা পরিস্কার হয়ে যাবে।

১ জামাতের সাথে নামায কায়েমের নির্দেশঃ
وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَارْكَعُوا مَعَ الرَّاكِعِينَ [٢:٤٣]
আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে রুকুকারীদের সাথে রুকু কর।  [সূরা বাকারা-৪৩]

২ আল্লাহর ভয় নিয়ে নামায কায়েমের আদেশঃ
وَأَنْ أَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَاتَّقُوهُ ۚ وَهُوَ الَّذِي إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ [٦:٧٢]
এবং তা এই যে, নামায কায়েম কর এবং তাঁকে ভয় কর। তাঁর সামনেই তোমরা একত্রিত হবে। [সূরা আনআম-৭২]

৩ সময়মত নামায কায়েমের আদেশঃ
فَإِذَا اطْمَأْنَنتُمْ فَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ ۚ إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا [٤:١٠٣]
অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন নামায ঠিক করে পড়। নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। [সূরা নিসা-১০৩]

৪ নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত অনুসরণ করে নামায কায়েম করার আদেশঃ
وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ [٢٤:٥٦]
নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রসূলের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও। [সূরা নূর-৫৬]

বাকি আয়াতগুলোতেও কাছাকাছি শব্দে উপরোক্ত বিষয়গুলোর দিকেই জোর দেয়া হয়েছে।

তাহলে নামায কায়েম করা বলতে কী বুঝনো হয়েছে তা আয়াতে কারীমা দ্বারাই বুঝা যায়।
তাহল,
(১)ওয়াক্তমত নামায পড়া।
(২)জামাতের সাথে নামায পড়া।
(৩)আল্লাহর ভয় আখেরাতের ভয় নিয়ে নামায পড়া।
(৪)নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের প্রতি খেয়াল করে নামায পড়া।

উপরোক্ত বিষয়গুলো নামায কায়েমের আয়াত সম্বলিত নির্দেশ থেকে প্রতিভাত হয়।
সুতরাং বুঝা গেল, কুরআনে কারীমে নামায কায়েম করার অর্থ হল, উপরোক্ত বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রেখে নামায আদায় করা।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 6168


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংশোধন ও সংযোজন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...