এটি শুধুমাত্র জুম'আর নামাজের সাথেই নির্দিষ্ট,অন্য নামাজের ক্ষেত্রে এমন কোনো ফজিলতের কথা হাদীসে পাইনি।
(উল্লেখ্য ইমামের নিকটতম বলতে সামনের কাতারের ইমামের সামনের স্থান,পর্যায়ক্রমে ২য়/৩য় কাতারের ইমামের সামনের স্থানও উদ্দেশ্য হবে।)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ أَوْسِ بْنِ أَوْسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ غَسَّلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَاغْتَسَلَ وَبَكَّرَ وَابْتَكَرَ وَمَشَى وَلَمْ يَرْكَبْ وَدَنَا مِنَ الْإِمَامِ وَاسْتَمَعَ وَلَمْ يَلْغُ كَانَ لَهُ بِكُلِّ خُطْوَةٍ عَمَلُ سَنَةٍ: أَجْرُ صِيَامِهَا وَقِيَامِهَا . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ
আওস ইবনু আওস (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমু’আর দিনে পোশাক-পরিচ্ছদ ধুইবে ও নিজে গোসল করবে। এরপর সকাল সকাল প্রস্তুত হবে। সওয়ার না হয়ে পায়ে হেঁটে আগে মসজিদে যাবে। ইমামের নিকট গিয়ে বসবে। চুপচাপ ইমামের খুতবাহ্ শুনবে। বেহুদা কাজ করবে না। তার প্রতি কদমে এক বছরের ’আমলের সাওয়াব হবে। অর্থাৎ এক বছরের দিনের সিয়াম ও রাতের সালাতের ’আমলের পরিমাণ সাওয়াব হবে।
(আবূ দাঊদ ৩৪৫, ইবনু মাজাহ্ ১০৮৭, ইবনু আবী শায়বাহ্ ৪৯৯০, ইবনুর হিব্বান ২৭৮১, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫৮৭৮, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১০৬৫, সহীহ আত্ তারগীব ৬৯০, সহীহ আল জামি‘ ৬৪০৫, নাসায়ী ১৩৮১, ১৩৮৪, আহমাদ ১৬১৭৩, আত্ তিরমিযী ৪৯৬।)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ طَلْحَةَ بْنَ مُصَرِّفٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْسَجَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " إِنَّ اللَّهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الصُّفُوفِ الأُوَلِ " .
বারাআ ইবনু আযেব (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ নিশ্চয় আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ প্রথম কাতারের লোকের উপর রহমত বর্ষণ করেন।
(ইবনে মাজাহ ৯৯৭. নাসায়ী ৮১১, আবূ দাঊদ ৬৬৪, আহমাদ ১৮০৪৫, ১৮১৪২, ১৮১৪৭, ১৮১৬৬, ১৮১৭২; দারিমী ১২৬৪।)
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ عِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَسْتَغْفِرُ لِلصَّفِّ الْمُقَدَّمِ ثَلاَثًا وَلِلثَّانِي مَرَّةً .
ইরবাদ ইবনু সারিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথম কাতারের লোকের জন্য তিনবার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন এবং দ্বিতীয় কাতারের লোকের জন্য একবার।
(ইবনে মাজাহ ৯৯৬. নাসায়ী ৮১৭, আহমাদ ১৬৬৯১, ১৬৬৯৮, ১৬৭০৬; দারিমী ১২৬৫।)
حَدَّثَنَا أَبُو ثَوْرٍ، إِبْرَاهِيمُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا أَبُو قَطَنٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ خِلاَسٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " لَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي الصَّفِّ الأَوَّلِ لَكَانَتْ قُرْعَةٌ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লোকেরা যদি জানতো যে, প্রথম কাতারে কী (মর্যাদা) আছে, তাহলে (প্রথম কাতারে দাঁড়াতে) লটারীর ব্যবস্থা করতে হতো।
(বুখারী ৬১৫, ৬৫৪, ৭২১, ২৬৮৯; মুসলিম ৪৩৭, ৪৩৯; তিরমিযী ২২৫, নাসায়ী ৪৫০, ৬৭১; আহমাদ ৭১৮৫, ৭৬৮০, ৭৯৬২, ৮৬৫৫, ২৭৩৩০; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১৫১, ২৯৫,ইবনে মাজাহ ৯৯৮।)