আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
188 views
in সালাত(Prayer) by (27 points)
reshown by
আমি শুনেছি জুম্মার নামাজের দিন ইমামের কাছাকাছি বসলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। প্রথম কাতারের শেষের থেকে দ্বিতীয় কাতারের ইমামের পেছনে বেশি কাছাকাছি। এক্ষেত্রে সেখানে বসলে কি সওয়াব বেশি হবে? এটা কি শুধু জুম্মার দিনের জন্য প্রযোজ্য? মসজিদের কোথায় নামাজ আদায় করলে সওয়াব বেশি হবে তার মূলনীতি কী?
মসজিদ একেকদিন একেক যায়গায় সালাত আদায় করলে কি সেই জায়গাগুলো কিয়ামতের দিন সুপারিশ করে? প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় বসার কি আলাদা ফজিলত আছে না কি ১ম প্রশ্নের উত্তর অনুযায়ী যেখানে সওয়াব সবথেকে বেশি সেখানেই বসার চেষ্টা করা উচিৎ?

1 Answer

+1 vote
by (565,890 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


জুম'আর নামাজে ইমামের নিকটতম বসলে ফজিলত রয়েছে।
এটি শুধুমাত্র জুম'আর নামাজের সাথেই নির্দিষ্ট,অন্য নামাজের ক্ষেত্রে এমন কোনো ফজিলতের কথা হাদীসে পাইনি।

(উল্লেখ্য ইমামের নিকটতম বলতে সামনের কাতারের ইমামের সামনের স্থান,পর্যায়ক্রমে ২য়/৩য় কাতারের ইমামের সামনের স্থানও উদ্দেশ্য হবে।)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ أَوْسِ بْنِ أَوْسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ غَسَّلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَاغْتَسَلَ وَبَكَّرَ وَابْتَكَرَ وَمَشَى وَلَمْ يَرْكَبْ وَدَنَا مِنَ الْإِمَامِ وَاسْتَمَعَ وَلَمْ يَلْغُ كَانَ لَهُ بِكُلِّ خُطْوَةٍ عَمَلُ سَنَةٍ: أَجْرُ صِيَامِهَا وَقِيَامِهَا . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ

আওস ইবনু আওস (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমু’আর দিনে পোশাক-পরিচ্ছদ ধুইবে ও নিজে গোসল করবে। এরপর সকাল সকাল প্রস্তুত হবে। সওয়ার না হয়ে পায়ে হেঁটে আগে মসজিদে যাবে। ইমামের নিকট গিয়ে বসবে। চুপচাপ ইমামের খুতবাহ্ শুনবে। বেহুদা কাজ করবে না। তার প্রতি কদমে এক বছরের ’আমলের সাওয়াব হবে। অর্থাৎ এক বছরের দিনের সিয়াম ও রাতের সালাতের ’আমলের পরিমাণ সাওয়াব হবে।
(আবূ দাঊদ ৩৪৫, ইবনু মাজাহ্ ১০৮৭, ইবনু আবী শায়বাহ্ ৪৯৯০, ইবনুর হিব্বান ২৭৮১, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫৮৭৮, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১০৬৫, সহীহ আত্ তারগীব ৬৯০, সহীহ আল জামি‘ ৬৪০৫, নাসায়ী ১৩৮১, ১৩৮৪, আহমাদ ১৬১৭৩, আত্ তিরমিযী ৪৯৬।)

https://ifatwa.info/45961/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ طَلْحَةَ بْنَ مُصَرِّفٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْسَجَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " إِنَّ اللَّهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الصُّفُوفِ الأُوَلِ " .

বারাআ ইবনু আযেব (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ নিশ্চয় আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ প্রথম কাতারের লোকের উপর রহমত বর্ষণ করেন।
(ইবনে মাজাহ ৯৯৭. নাসায়ী ৮১১, আবূ দাঊদ ৬৬৪, আহমাদ ১৮০৪৫, ১৮১৪২, ১৮১৪৭, ১৮১৬৬, ১৮১৭২; দারিমী ১২৬৪।)

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ عِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَسْتَغْفِرُ لِلصَّفِّ الْمُقَدَّمِ ثَلاَثًا وَلِلثَّانِي مَرَّةً .

ইরবাদ ইবনু সারিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথম কাতারের লোকের জন্য তিনবার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন এবং দ্বিতীয় কাতারের লোকের জন্য একবার।
(ইবনে মাজাহ ৯৯৬. নাসায়ী ৮১৭, আহমাদ ১৬৬৯১, ১৬৬৯৮, ১৬৭০৬; দারিমী ১২৬৫।)

حَدَّثَنَا أَبُو ثَوْرٍ، إِبْرَاهِيمُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا أَبُو قَطَنٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ خِلاَسٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " لَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي الصَّفِّ الأَوَّلِ لَكَانَتْ قُرْعَةٌ " .

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লোকেরা যদি জানতো যে, প্রথম কাতারে কী (মর্যাদা) আছে, তাহলে (প্রথম কাতারে দাঁড়াতে) লটারীর ব্যবস্থা করতে হতো।
(বুখারী ৬১৫, ৬৫৪, ৭২১, ২৬৮৯; মুসলিম ৪৩৭, ৪৩৯; তিরমিযী ২২৫, নাসায়ী ৪৫০, ৬৭১; আহমাদ ৭১৮৫, ৭৬৮০, ৭৯৬২, ৮৬৫৫, ২৭৩৩০; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১৫১, ২৯৫,ইবনে মাজাহ ৯৯৮।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
মসজিদের সামনের কাতারে দাঁড়ালে বেশি ছওয়াব হবে।
এক্ষেত্রে সামনের কাতারের ডান দিকে দাঁড়ালে আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ রহমত বর্ষণ করেন।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنَّ اللَّهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى مَيَامِنِ الصُّفُوفِ " .

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ কাতারসমূহের ডান দিকের (মুসল্লিদের) উপর রহমত বর্ষণ করেন।
(আবূ দাঊদ ৬৭৬, ইবনে মাজাহ ১০০৫.জামি সগীর ১৬৬৮, মিশকাত ১০৯৬)

★যখন ইমামের পিছনে দু’পার্শ্ব সমান হবে, তখন কাতারের ডানে দাঁড়ানো মুস্তাহাব। কিন্তু ডান পাশ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে বামে দাঁড়ানো উত্তম হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জুমুয়ার দিন এ যদি প্রথম কাতারের ডান এ একদম শেষ প্রান্ত হয় আর তৃতীয় কাতার এ গেলে ইমাম বরাবর বা কিছুটা তুলনামূলক কাছে হয় তবে কোনটি উত্তম?? 

by (565,890 points)
এক্ষেত্রে ইমামের খুতবা চলাকালীন সময় তৃতীয় কাতার এ  ইমাম বরাবর উত্তম হবে।

আর জুম'আর ফরজ নামাজের সময় প্রথম কাতারের ডান এ একদম শেষ প্রান্ত উত্তম হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...