আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
359 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। শায়েখ আমার সব গুলো পয়েন্ট একটু কষ্ট করে পরার অনুরোধ রইলো
১.আমি আজকে একজন লোকের সাথে টাকার বেপার নিয়ে কথা বলি যে,আমি ও চাই না এই বেঝাল রাখতে আপনাদের টাকাদিয়ে আমি অ বেঝাল মুক্ত হতে চাই ,ঝামেলা শেষ করতে চাই,ঝামেলা মুক্ত হতে চাই। ঠিক তখনই আমার বিতরে খেয়াল আসেযে আমি বেঝাল মুক্ত হতে চাই ,ঝামেলা শেষ করতে চাই,ঝামেলা মুক্ত হতে চাই এইসব দিয়ে কি বুঝিয়েছি। আমার মনে হইতেছেআমি এইসব কথা দিয়ে তালাক বুঝিয়েছি। আমার মনে হইতেছে তালাক হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় কি তালাক হবে?


২.আমার ভিতরে খালি তালাক এর চিন্তা আসে। এইটা দিয়ে কি বুঝাইলাম ওইটা দিয়ে কি বুঝাইলাম তালাক মনে হই হয়ে গেছে।ওযু করতে গেলে তালাক এর চিন্তা আসে খাবার খাইতে গেলে তালাকের চিন্তা আসে। পানি খাইতে গেলে তালাকের চিন্তা আসে।এমন কেনো হইতেছে আমি বুঝতেছি না। এইটা কি ওয়াসোওয়াসা রোগ বলে কিনা যানি না। এখন আমার করোণীয় কি?


৩.কোনো ওয়াসোওয়াসা রোগি স্পষ্ট করে যদি তালাক এর কথা মুখে উচ্চারণ করে বলে ফেলে তাহলে কি তালাক পতিত হবে?
৪.ঠোঁট নড়াচড়া করে বা জিব্বা নড়াচড়া করে যদি তালাক বলে তাহলে কি তালাক পতিত হবে?
শায়েখ আমার সব গুলো পয়েন্ট আলাদা ভাবে উত্তর দেওয়ার অণুরোধ রইলো।
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

1 Answer

0 votes
by (559,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে এমন অবস্থায় তালাক হবেনা।

(০২)
এটি ওয়াসওয়াসার রুগী হওয়ার আলামত।

আপনি এসব বিষয়কে পাত্তা দিবেননা।
যখনই এসব বিষয় মাথায় আসবে,তখনই অন্য কাজে মনোযোগ দিবেন,বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন।

পরামর্শ থাকবে, এ সংক্রান্ত কোনো মাসয়ালা পড়বেননা,এ সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন করবেননা। 

(০৩)
কোনো ওয়াসওয়াসা রুগি স্পষ্ট করে যদি তালাক এর কথা মুখে উচ্চারণ করে বলে ফেলে, তাহলে তালাক পতিত হবেনা।

উকবাহ ইবনু আ’মির রাযি. বলেন,

لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ الْمُوَسْوِسِ

‘ওয়াসওয়াসা সম্পন্ন (সন্দেহের বাতিকগ্রস্ত) ব্যক্তির তালাক কার্যকর হয় না।’ 
(সহিহ বুখারী, অধ্যায় ৬৮)

চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ  أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ  الْمُوَسْوَسِ  ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ،  قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ

- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ: 
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ  بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তি ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলাটের দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাক গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।
(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬)


এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

(০৪)
এক্ষেত্রে নিজ কানে স্পষ্ট আওয়াজে তালাক প্রদান মূলক বাক্যের আওয়াজ আসতে হবে,তাহলে তালাক হবে,নতুবা নয়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...