ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে এমন অবস্থায় তালাক হবেনা।
(০২)
এটি ওয়াসওয়াসার রুগী হওয়ার আলামত।
আপনি এসব বিষয়কে পাত্তা দিবেননা।
যখনই এসব বিষয় মাথায় আসবে,তখনই অন্য কাজে মনোযোগ দিবেন,বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন।
পরামর্শ থাকবে, এ সংক্রান্ত কোনো মাসয়ালা পড়বেননা,এ সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন করবেননা।
(০৩)
কোনো ওয়াসওয়াসা রুগি স্পষ্ট করে যদি তালাক এর কথা মুখে উচ্চারণ করে বলে ফেলে, তাহলে তালাক পতিত হবেনা।
উকবাহ ইবনু আ’মির রাযি. বলেন,
لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ الْمُوَسْوِسِ
‘ওয়াসওয়াসা সম্পন্ন (সন্দেহের বাতিকগ্রস্ত) ব্যক্তির তালাক কার্যকর হয় না।’
(সহিহ বুখারী, অধ্যায় ৬৮)
চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ الْمُوَسْوَسِ ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ، قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ
- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ:
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তি ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলাটের দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাক গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।
(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835
(০৪)
এক্ষেত্রে নিজ কানে স্পষ্ট আওয়াজে তালাক প্রদান মূলক বাক্যের আওয়াজ আসতে হবে,তাহলে তালাক হবে,নতুবা নয়।