আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালু আলাইকুম। আমার এক বোনের হয়ে লিখছি..
যখন আমার বয়স 14/15  তখন আমার ইসলামের বিষয়ে কোন ধারনা ছিল না।
একদিন আমরা ফ্রেন্ডরা দুষ্টামীর ছলে অভিনয় এর মত করে বিয়ে পড়ায় আমার আর একটি ছেলের । সেখানে হুজুর বা কেউ ছিলেন না। আমারা নিজেরা ই কবুল বলি।

তখন আমি হাদীস কুরআন সম্পর্কে কিছুই জানতাম না ।এর পর 6 বছর পর আমার বিয়ে হয় ।আমার একটা বাচ্চা ও আছে । আমি এখন জানতে পড়ি হাদীস সম্পর্কে ।জানার পর থেকেই আমি ইস্তেগফার করি । ওই ছেলে নিজেও এই সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই বা আমর কাছে কখনো অধিকার নিয়ে আসে নাই। তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না কারণ সে না না ধরনের খারাপ কাজের সাথে জড়িত।
আমি এই বিষয় টা নিয়ে কথা বলতে গেলে হয়তো সমস্যায় পরতে পারি.. এখন আমার করনীয় কি? বিয়েটা কি বৈধ ছিল? আামাকে কি তালাক নিতে হবে?
by (1 point)
সেখানে মোট কয়জন মেয়ে এবং কয়জন ছেলে ছিল আর কিভাবে বিয়ে পড়ানো হয়েছিল তার পদ্ধতিটা উল্লেখ করে দিবেন, উত্তরদাতার প্রয়োজন হবে বিষয়গুলো।
by
সেখানে একজন মেয়ে ৩/৪ জন ছেলে ছিল। 
বিয়ে পড়ানো হয়েছিল এমন যে বন্ধু রা বললো তুমি কি ওকে স্ত্রী /স্বামী হিসাবে কবুল করলা তখন তারা হ্যা বলেছিল

1 Answer

0 votes
by (685,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


অভিভাবক ছাড়া বিবাহের ক্ষেত্রে পাত্র পাত্রী উভয়েই যদি বালেগ বালেগাহ হয়,
তাহলে সেক্ষেত্রে তারা উভয়ে দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সাক্ষ্যির উপস্থিতিতে বিয়ের প্রস্তাব ও প্রস্তাব গ্রহণ সম্পন্ন করেন, তাহলে তাদের বিয়ে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক শুদ্ধ হয়ে যাবে।

যদিও তাদের অভিভাবক  কিছুই না জানে বা রাজি না থাকে। কিংবা তিনি অনুমতি নাও দিয়ে থাকে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ؛ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মেয়ে তার ব্যক্তিগত বিষয়ে অভিভাবকের চেয়ে অধিক হকদার। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৮৮৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৪২১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৮৮৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২০৯৮, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৩৪, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১০৮, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৩২৬০, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪০৮৪, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৩৫৭৬}

আরো জানুনঃ-

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বোনকে তার ফ্রেন্ডরা দুষ্টামীর ছলে যখন অভিনয় এর মত করে বিয়ে পড়ায়, সেই সময়ে কি উক্ত বোন বালেগাহ হয়েছিলো?
যদি সেই সময়ে নাবালেগাহ হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে  উক্ত বিবাহ সহীহ হয়নি।

আর যদি সেই বোন ঐ সময়ে বালেগাহ হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে সেই অভিনয়ের বিবাহের সময় সেখানে তারা দুইজন (পাত্র পাত্রী) ব্যাতিত দুই জন প্রাপ্ত বয়স্ক বা একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ও দুই জন প্রাপ্ত বয়স্কা নারী সেখানে সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলো?
যদি সাক্ষী উপস্থিত না থাকে,সেক্ষেত্রে বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।

আর যদি সেই সময়ে উক্ত বোন বালেগাহ হয়ে থাকে,আর সাক্ষীও উপস্থিতও থাকে,সেক্ষেত্রে উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। 

এক্ষেত্রে তার বর্তমান সংসার হারাম।
এখন কাহারো মাধ্যমে বা নিজে তার কাছে গিয়ে বুঝিয়ে আগের সেই স্বামীর কাছ হতে তালাক নিয়ে ইদ্দত পালন শেষে বর্তমান স্বামীর সাথে নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...