আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
238 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by

আসসালমুআলাইকুম হুজুর,
১.হুজুর কদিন থেকে আমি তালাক বা শর্ত তালাক নিয়ে অটোমেটিক ভাবনা চলে আসছে, আমি সব সময় মুখ বন্দ করে রাখছি, ভয় এ ,কিছু উচ্চরণ হয়ে যাবে বলে,
হুজুর বিষয় হলো আমি ঘুমিয়ে ছিলাম , হটাৎ আমার মনে হলো আমি কিছু বললাম , দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুম ভেঙে গেলো দিয়ে ভাবলাম আমি কি বললাম , তখন একটু একটু মনে ছিল আমি কিছু বলেছি হালকা জিহ্ববা নড়েছে  ,  মনে হলো তালাক বলেছি বা শর্ত তালাক বিষয় এ , বলেছি , কিন্তু সঠিক মনে ছিল না দিয়ে আবার ঘুমিয়ে জাই,  দিয়ে যখন ঘুম ভাঙলো তখন তখন আর কিছু মনে পড়ছে না , শুধু মনে হচ্ছে তালাক বা শর্ত তালাক বিষয় এ হয়ত কিছু বলেছি, কিন্তু আমার  স্পষ্ট  কিছু ই মনে পড়ছে না। কিচ্ছু মনে পড়ছে না অনেক চেষ্টা করলাম তাও মনে পড়ছে না।  আর হুজুর আমি ইচ্ছা কৃত কিছু বলিনি অটোমেটিক ঘুমের মধ্যে বা হালকা ঘুম ভেঙেছে সেই মুর্হুতে বলে ফেলেছি,  হুজুর কোনো কিছুই মনে পড়ছে না স্পষ্ট ভাবে হুজুর এক্ষেত্রে কি কোনো তালাক বা শর্ত তালাক হবে?
২. হুজুর আমি এই বিষয় এ অনেক ভাবলাম দিয়ে মনে হচ্ছে, অনেক ভাবার পর এটাই মনে হলো  আমার হয়ত হাই উটেছিল , দিয়ে অটোমেটিক তালাক কথা টা হালকা জিব নড়িয়ে বলা হয়েছে। এতে আমার কোনো ইচ্ছা ছিল না , সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্য হীন ভাবে বলা হয়েছে , কোনো উদ্দেশ্য ছিল না এমনি বিনা কারণে বিনা উদ্দেশ্যে কথা টা হয়েছে এর জন্য কি তালাক হবে?  ( Plz হুজুর এইটার উত্তর দিবেন এইটা মনে হচ্ছে এখন)

দিয়ে শয়তানের ওয়াসওয়াসা তে মনে হচ্ছে যা বলেছি ঠিক বলেছি এমন মনে হচ্ছে কিন্তু মুখে উচ্চরণ করিনি। হুজুর আমার কোনো উদ্দেশ্য ই ছিল না এমনি কথা টা বেরিয়ে গিয়েছে।  হুজুর এক্ষেত্রে তালাক হবে?


৩। আর হুজুর যদি সর্ত তালাক এর কথা হয়ে থাকে, কদিন থেকে একটা জায়গাতে বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল।  তখন মনে মনে বলছিলাম ওই খানে বেড়াতে গেলে তালাক। এটা তো মনে মনে হয়েছে তাতে তো সমস্যা নেই। সেই খানে বেড়াতে গেলে কি তালাক হবে? যেহেতু মনে মনে হয়েছে
৪.এখন যদি  হালকা ঘুম ভেঙেছে তখন যদি বলা হয়ে থাকে  অমুক জায়গাতে বেড়াতে গেলে তালাক। সেটা স্পষ্ট ভাবে কিছুই মনে পড়ছে না কি বলেছি না বলেছি , তাহলে সেই জায়গাতে বেড়াতে গেলে কি তালাক হয়ে যাবে?
হুজুর আমি আর পারছিনা এই সব যন্ত্রণা সহ্য করতে , আমাকে সাহায্য করুন plz।  আমার কি কোনো তালাক হবে?

৫. হুজুর শর্ত তালাক দিয়ে আমি যদি সেই কথা ফিরিয়ে নি তাহলে তো আর সর্ত তালাক থাকবে না তাই না ? শর্ত তালাক দিয়ে ফিরিয়ে নেওয়া হয়?

৬.হুজুর আবার ঘুমিয়েছিলাম দিয়ে দেখছিলাম কি বলেছি না বলেছি মনে করার চেষ্টা করছিলাম , ঘুম থেকে উঠে মনে মনে তালাক কথা টা হলো, উচ্চরণ করিনি। জিহ্ববা টা এমনি হালকা নড়েছে , কিন্তু জিহ্ববা নড়িয়ে উচ্চরণ করিনি , যা হয়েছে সব মনে মনে  এক্ষেত্রে তো তালাক হবে না। হুজুর আমার সমস্ত ঘটনা অনুযায়ী কি আমার তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো, মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে বা মনে মনে শর্ত যুক্ত তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

আরো জানুনঃ- 

(০১)
এক্ষেত্রে কোনো তালাক বা শর্তযুক্ত তালাক হবেনা।

(০২)
তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সারমর্মঃ  
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে তালাক হবেনা।

(০৩)
সেইখানে বেড়াতে গেলে তালাক হবেনা।

(০৪)
সেই জায়গাতে বেড়াতে গেলে তালাক হয়ে যাবেনা।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি ওয়াসওয়াসার রুগী, আপনি স্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলেও তালাক হবেনা। তাই এ নিয়ে অহেতুক টেনশন না করার পরামর্শ থাকবে। 

আরো জানুনঃ- 

(০৫)
শর্তযুক্ত তালাক দিয়ে ফিরিয়ে নেওয়া যায়না।
তবে আপনার প্রদত্ত কোনো তালাক পতিত হবেনা।
কোনো শর্তযুক্ত তালাক প্রযোজ্য হবেনা। 

(০৬)
আপনার সমস্ত ঘটনা অনুযায়ী আপনার তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...