আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
240 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।
আমি একজন মেয়ে।  আমার ইসলামের প্রতি ভালো জ্ঞান বা ব পালন করার মতো সচেতনতা বোধ খুব কম ছিল। এখোনো অনেক ত্রুটি আছে। আমি অতীতে একজনকে খুব ভালবাসতম,  সম্পর্কে ছিলাম তার সাথে তার প্রতি দুর্বলতা আর তাকে বিয়ে করার চিন্তা আমাকে অনেক বেশি অস্থির করে ফেলতো। এদিকে আমার বয়স তখন ২৮ ছিলো। আমার বড় বোনের ই বিয়ে হয়নি,  বাবা মা আমার বিয়ে তো আরোই দিতোনা তখন। আর ওই ছেলে আমার পরিবারের সাথে বিয়ের কথা বলতে চাইলেও পরবর্তী তে আমি সাহস করে উঠতে পারিনি।  তাই অনেক চাপের মধ্যে একরকম বাধ্য হয়ে আমি বাবা মা কে না জানিয়ে বিয়ে করে ফেলি। ছেলেটা কুফু'র দিক থেকে বিবেচনা করলে সবদিক দিয়েই আমার যোগ্যতার নিচে। তবুও তাকে অনেক বেশি ভালবাসতাম তাকে হারাতে চাইনি, তাকে ছাড়া  অন্য কারো সাথে বিয়ের চিন্তাও করতে পারতামনা তাই বিয়ে করে ফেলেছি বুঝে না বুঝে।  বিয়ের ৬ মাস পর আমার পরিবার জেনে ফেলে তারা মানতে চায়না কোনোভাবেই। ডিভোর্স করে দিতে চায়। কিন্তু আমার বাবা ৩ বছর পর মেনে নিবে বলেছে,  ৩ বছর এর আগে তার সাথে আমার সংসার করতে দিবেনা বলেছে।  বাবা এতোটা সময় দিয়েছে কারণ বাবা দেখতে চাইছে যে এই ৩ বছরে তার সাথে সংসার না করলে সে যদি চলে যায় বা ছেড়ে দিয়ে অন্য কোথাও বিয়ে করে তাহলে তার আসল চেহারা বোঝা যাবে তাই বাবা ৩ বছর সময় চেয়েছে আমার কাছে।  কিন্তু হুজুর।।  আমি বুজতে পারছি আমার পরিবার আমার এই কাজে খুব কষ্ট পেয়েছে, যদিও আমি মাফ চেয়েছি একাধিকবার। তবে এখন আমার অনুতপ্ত বোধ টা আরো বেশি গাড়ো হয়ে গেছে।  আমার স্বামী তো দ্বীনদার না। পাশাপাশি তার আখলাক৷ আদব এর ও অনেক ঘাটতি আছে। সে একদিক দিয়ে আমার কেয়ার করলেও একদিক দিয়ে আমাকে কষ্টও দেয়।  সিগারেট খায়৷ আমার অনেক কথা শুনেনা বোঝার চেষ্টা করেনা। যদিও অন্যান্য কিছু ভালো দিক আছে। কিন্তু তার ভালো দিক এর চেয়ে খারাপ গুনগুলোই বেশি।  আমি বুজতে পারি যে তার সাথে আমার সম্পর্কে জড়ানো বা এভাবে বিয়ে করা টা কোনোটাই ঠিক হয়নি।  আজকেও মাওলানা তারিক জামিল এর এক লেকচার এ শুনলাম বাবা মা কে না জানায় পালিয়ে বিয়ে করলে সেটা তে ধংস হয়ে যায়।  এটাতে বাবা মায়ের মন থেকে দোয়া আসেনা। অনেকে বলে কোনো রহমত বরকত সেখানে থাকেনা।  হুজুর আমি তো মাফ চেয়েছি বাবা মায়ের কাছে।  জানি যে  তারা খুশি না অনেক আঘাত পেয়েছে। কিন্তু আমার উদ্দেশ্য ছিলো তাদের কে জানাবোনা। পরবর্তী তে স্বামীর যোগ্যতা ভালো হলে  পরিবার কে জানিয়ে আবারো তাকেই বিয়ে করবো। এখন যেনা থেকে বাঁচতে বা চরিত্র রক্ষার জন্য বাধ্য হয়ে বিয়ে করেছি। কিন্তু বড় বড় শায়েখদের কথাগুলো আর আমার অনুতপ্ত বোধ থেকে মনে হচ্ছে আমি এই সংসারে কখনও কি তাহলে রহমত পাবোনা।  আল্লাহ কি কখনও এই বিয়ে তে বরকত দিবেননা.? বা কি করলে বরকত পেতে পারি..? আমি যে তাকে অনেক ভালোবাসি, তাকে ছেড়ে দিতেও পারছিনা। শুধু মনে হচ্ছে আমার বিয়ে টা অনুত্তম উপায়ে হয়েছে৷ আমি কখনও সুখে থকবোনা, আল্লাহ নারাজ,  আমার পরিবার ও অসন্তুষ্ট।  মেনে নিলেও মন থেকে মেনে নিবেনা। ক্ষোভ থেকে যাবে। তাহলে কি বাবা মায়ের ও দোয়া পবোনা..? হুজুর আমি প্রচন্ড অনুতপ্ত বোধ করছি। আমার এখন কি করনীয়.??  অপরাধ করে ফেলেছি৷ আমি কি তাহলে কোনোভাবেই এই দাম্পত্য জীবনে আল্লাহর থেকে রহমত বরকত পাবোনা.?

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে আছে,

إذا دعا الرجل زوجته لحاجته فالتأته، وإن  كانت على التنور

স্বামী যখন নিজ প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডাকবে তখন সে যেন তাতে সাড়া দেয়, যদিও সে চুলায় (রান্নার কাজে) থাকে (জামে তিরমিযী, হাদীস : ১১৬০; সুনানে নাসাঈ, হাদীস : ৮৯৭১)।

عَنْ مُعَاذٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِأَحَدٍ لَأَمَرْتُ النِّسَاءَ أَنْ يَسْجُدْنَ لِأَزْوَاجِهِنَّ»

হযরত মুয়াজ রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যদি আমি যদি কোন ব্যক্তিকে অন্য কাউকে সেজদা করার আদেশ দিতাম, তাহলে আমি স্ত্রীদের আদেশ দিতাম তাদের স্বামীকে সেজদা দিতে। [কিন্তু সেজদা আল্লাহ ছাড়া কাউকে দেয়া জায়েজ নয়, তাই এ আদেশ দেয়া হয়নি’।
হাদীসটি যেসব কিতাবে বর্ণিত
মুসন্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৮৭৮৫,
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৫০৪,
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৪০,
মুসনাদুল হারেস, হাদীস নং-৪৯৮,
মাশকিলুল্ আসার, হাদীস নং-১৪৮৭,
মুজামে কাবীর, হাদীস নং-৪৮৬,
মুসতাদরাক আলাস সাহিহাইন, হাদীস নং-২৭৬৩,
সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৪৭০৫।

আরো জানুনঃ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,  
বিবাহিতা মহিলার জন্য স্বামীর হকই বেশি।
তবে কোনো শরীয়ত বহির্ভূত কাজের আদেশ মানা যাবেনা।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,  
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেহেতু বিবাহ করেই ফেলেছেন,এক্ষেত্রে আপনার স্বামীর সাথে ঘর সংসার করতে হবে।
যেকোনো বৈধ কাজে তার আদেশকে প্রাধান্য দিতে হবে।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি স্বামীর সাথে ঘর সংসার চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাবা মার কাছে মাফ চাওয়া,তাদের সাথে উত্তম করা অব্যাহত রাখবেন।

পূর্ণ শরীয়তের উপর চলার চেষ্টা আপনিও করবেন,আপনার স্বামীও যেনো করে 
তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনাদের সংসারে বরকত আসবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...