আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
204 views
in সালাত(Prayer) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম।
1. ইশার নামাজ যদি ইচ্ছা করে দেরি করি।মানে রাতে খাওয়ার পর 10টা / সাড়ে 10 টার দিকে ঘুমিয়ে 2টার দিকে উঠে ইশার সালাত,তাহাজ্জুদ সব একেবারে পরে ফজর পরলে কোনো গুনাহ আছে কি?

2. নামাজে সূরাহ ফাতিহা হঠাৎ অন্য অমনস্ক হয়ে পরে ফেললে,অর্থাৎ কি পড়লাম না বুঝেই পড়া শেষ করার পর অনেকসময় দেখা যায় ট্যার পাই সূরা ফাতিহা শেষ করলাম, তখন বুঝে বুঝে সুন্দর করে মনোযোগ দিয়ে আরেকবার পড়া যাবে কি?

3. আর নামাজে সূরাহের যে ধারাবাহিকতা আছে, অর্থাৎ প্রথম রাকাতে কোরআনের প্রথম দিকের সূরা এবং দ্বিতীয় রাকাতে তার থেকে ছোট ও কিছুটা পরের দিকে সূরাহ পড়া।।এটা ব্রেক করা যায় কি? হঠাৎ সূরাহ ইখলাস আগে বলে ফেললে পরের রাকাতে সূরাহ ফ্বালাক্ব বা নাস পড়া যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
https://www.ifatwa.info/8435/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী ইশার নামাযের সময় পশ্চিমাকাশের লালিমা দূরিভূত হয়ে যে সাদা আভা দেখা দেয় তা দূরিভূত হবার পর থেকে নিয়ে রাতের তিন ভাগের এক ভাগের মাঝে পড়া মুস্তাহাব।

তিনভাগ অতিক্রান্ত হবার পর থেকে নিয়ে অর্ধেক রাত পর্যন্ত পড়া জায়েজ। এতে মাকরুহ হবেনা।

আর অর্ধেক রাত থেকে নিয়ে সুবহে সাদিক পর্যন্ত পড়া মাকরূহের সাথে জায়েজ। অর্থাৎ নামায আদায় হয়ে যাবে। বাকি বিলম্ব করার কারণে মাকরূহ হবে। {হেদায়া-১/৫০-৫১, শরহে নুকায়া-১/৫৩-৫৫, কাবীরী-২২৯-২৩৫. তামহীদ-৮/৯২}

★সুবহে সাদিক তথা তাহাজ্জুদ,সাহরীর শেষ সময় পর্যন্ত দেড়ি করে ইশার নামাজ পড়া জায়েয আছে।  
 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
عَنْ عُبَيْدِ بْنِ جُرَيْجٍ , أَنَّهُ قَالَ لِأَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: مَا إِفْرَاطُ صَلَاةِ الْعِشَاءِ؟ قَالَ: «طُلُوعُ الْفَجْرِ»

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হল, ইশার নামাযের সময় কখন শেষ হয়? তখন তিনি বলেন, ফজরের সময় হলে। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৯৫৯, সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৭৬২}
,
★তবে অর্ধেক রাত অতিবাহিত হওয়ার পর ইশার  নামাজ পড়া মাকরুহ।
অর্থাৎ এক্ষেত্রে যদিও ইশার নামাজ আদায় হয়ে যাবে,তবে মাকরুহ হবে।

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-

وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ حِينَ يَغِيبُ الْأُفُقُ، وَإِنَّ آخِرَ وَقْتِهَا حِينَ يَنْتَصِفُ اللَّيْلُ،

নিশ্চয় ইশার নামাযের সময় শুরু হয় পশ্চিমাকাশের শাদা আভা দূরিভূত হওয়া থেকে। আর শেষ সময় হল অর্ধেক রাত অতিক্রান্ত হলে। [মানে এটি মাকরূহ ছাড়া মুবাহ সময়, এরপরও সময় থাকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত, কিন্তু সেটি মাকরূহ ওয়াক্ত, তাই সময় শুধু অর্ধেক রাত পর্যন্ত বলা হয়েছে] 

{মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৭১৭২, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৫১, তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৯৪১}

আরো জানুনঃ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি আপনি তাহাজ্জুদ নামাজের জন্যই হোক,বা অন্য যেকোনো কারনেই হোক, যদি অর্ধেক রাত অতিবাহিত হওয়ার পর (যেমনটি প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে রাত ২-০০ টার সময়) ইশার  নামাজ পড়েন,তাহলে যদিও সেই নামাজ আদায় হয়ে যাবে,তবে মাকরুহ হবে।
,
সুতরাং আপনি মুস্তাহাব ওয়াক্ত (রাতের তিন ভাগের এক ভাগের মাঝে) এর ভিতরেই ইশার নামাজ আদায় করবেন।   
যদি শেষ রাতে আর না উঠতে পারেন,তাহলে আগের রাত্রী বিতিরের আগেই তাহাজ্জুদ পড়ে নিবেন।
  
(০২)
এক্ষেত্রে আরেকবার পড়লে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে। 

(০৩)
সুরার একটি কমবেশি হলে সমস্যা নেই।
সূরাহ ইখলাস আগে বলে ফেললে পরের রাকাতে সূরাহ ফ্বালাক্ব পড়তে পারবেন।
সুরা নাস নয়।

কেননা কুরআনের শেষ দিকের ছোট সুরা গুলোর ক্ষেত্রে (সুরা যিলযাল থেকে) দুই রাকাতে তিলাওয়াতের সুরার মাঝে নুন্যতম ২ সুরার দূরত্ব রাখতে হবে।
অথবা টানা সুরা পড়তে হবে,মাঝে এক সুরা বাদ দেয়া যাবেনা।

★উল্লেখ্য, নিয়মটি শুধুমাত্র ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে, নফলের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জাযাকাল্লাহু খইরন শাইখ।
2 নাম্বার প্রশ্নের আরেকটি জিনিস জানার ছিল। অর্থাৎ অনেক সময় তো দেখা যায়, শয়তানের ওয়াসওয়াসায় শুধু সূরাহ না,পুরা এক রাকাত নামাজই অন্য মনস্ক হয়ে পরে ফেলেছি। তখন কি নামাজ বাদ দিবো? নাকি সেই নামাজই পূর্ণ করে সিজদাহে সাহু আদায় করে নিবো?
by (565,890 points)
সেই নামাজই পূর্ণ করবেন।
এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু আদায় করতে হবেনা 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 187 views
...