আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
206 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (14 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম হুজুর,
আমি আপনার কাছে গুরত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে জানতে চাই, একটু কষ্ট করে পড়ে উত্তর দিয়েন হুজুর।

১.আমার বিয়ের ইজাব কবুল হওয়ার আগেই কাজি সাইন করিয়ে নিয়েছিলো। ভিডিওতে এর প্রমান আছে এবং সবাই বলছে বিয়ে ইজাব কবুল হওয়ার পাচ মিনিট আগে কাজি কাবিন নামা পুরন করে সাইন এবং টিপসই নিয়ে নিছে আমার। তারপর কাজি বিয়া পড়িয়েছে। কাবিন নামার ১৮ নং কলামে কি লেখা থাকে তা আমি কখোনোই জানতাম না।


আমার বিয়ের আগেই কাজি কাবিন নামা সাইন করিয়ে নিয়েছে তাহলে কি আমার স্ত্রী ডিভোর্সের ক্ষমতা বা অধিকার পেয়েছে???

 



2.কাবিন নামার ১৮ নং কলামে কি লেখা থাকে তা আমি কখোনোই জানতাম না। আমাকে জানানো ও হয়নি। কাজি শুধু পেপারে সাইন করতে বলছিলো আমি করছি এ ছাড়া কিছুই জানতাম না। এমনকি কাজি কাবিন নামায় ১৮ নং কলামে কি লিখছে তা এখন পর্যন্ত আমি জানিনা...!!!
আমাকে না জানিয়ে কাজি কি লিখছে এর জন্য সে কি অধিকার পাবে???
বা এখন পর্যন্ত আমি না জানার জন্য স্ত্রী কি ডিভোর্স দেওয়ার ক্ষমতা বা অধিকার পাইছে???

 



৩.আমি YouTube এ দেখেছি শাইখ আহমাদুল্লাহ হুজুর আর  শাইখ আবু বকর মোহাম্মদ জাকারিয়া হুজুর বলেছে যে, স্বামিকে না জানিয়ে কাজি যা খুশি লিখলে সেটা হবে না। তারপর পরবর্তীতে
স্বামি যদি এভাবে বলে যে,,,আমি তোমাকে যে অধিকার দিয়েছি তা ফিরিয়ে নিলাম বা অধিকার দেই নি,তাহলে সে আর ডিভোর্স দেওয়ার অধিকার পাবে না।

দুইজন হুজুরের কথা শুনে,,,,আমি একবার whatspp এ লিখে এং আরেকবার আমি আমার স্ত্রীকে সরাসরি এভাবে বলেছি,,,দেখো আমাদের কাজি কাবিন নামায় ১৮ নং কলামে আমার অজান্তে কি লেখছে আমি তা জানিনা এবং এখন পর্যন্ত জানিনা,,,আমি ডিভোর্স দেওয়ার ক্ষমতা তোমাকে কখোনোই দেই নি...!!!! আমি যদি বিয়ের পর নিয়ত ছাড়া আমার নিজের অজান্তে বা মনের অগোচরে  মুখে বা messenger বা whatsapp এ অধিকার দেওয়ার মতো যদি কিছু লিখে থাকি,  তাহলে শুনে রাখো আমি কখোনো সেই ডিভোর্স দেওয়ার ক্ষমতা বা অধিকার তোমাকে দেই নি......আমার মনের প্রবল ধারনা যে আমি দেই নি, আমি দেইনি.!!!!!!

এভাবে বলার পর কি আমার স্ত্রীর সেই অধিকার থাকবে??? না তার আর কোন ডিভোর্সের অধিকার থাকবে না???

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
শুধুমাত্র জানার জন্য প্রশ্ন করলে হবে না, বরং জানার পর মানতে হবে।
(আপনার প্রশ্নের উত্তর,মনযোগ সহকারে পড়বেন)
যেহেতু স্বামী তালাকের অধিকার দেয়নি, শুধুমাত্র স্বাক্ষরের কারণে স্ত্রী দিয়ানাতান তথা আল্লাহর আদালতে স্ত্রী তালাকের কোনো অধিকার পাবে না। তবে কাযাআতান তথা দুনিয়ার সাধারণ নিয়ম হিসেবে তথা স্ত্রী যদি কখনো কোর্টে তালাকের অধিকার নিয়ে মামলা দায়ের করে, তাহলে কাযী বা বিচারক স্ত্রীকে তালাকের অধিকারীনী বলে সিদ্ধান্ত দিবেন।কেননা যেভাবেই হোক কাবিনননামায় তো তালাকের অধিকার দেয়া হয়েছে,এবং স্বামীর স্বাক্ষরও তাতে রয়েছে।

كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية،1/379, المحيط البرهانى،-4/486، تاتارخانية، -3/380)
ভাবার্থ- প্রত্যেক ঐ তালাকনামা যা স্বামী লিখেনি,স্বামী অস্বীকার করলে কোনো তালাকই পতিত হবে না।

সারমর্মঃ-
স্বামীর স্বতঃস্ফূর্ত অনুমোদন ব্যতিত স্ত্রী কখনো তালাকের অধিকার পাবে না। স্বামীকে সরাসরি জিজ্ঞাসা না করে কাজী নিজ পক্ষ্য থেকে যদি ১৮ নং কলামে স্ত্রীকে অধিকার দিয়ে দেয়, তাহলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার তালাকের অধিকার ফিরিয়ে নেয়ার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। কেননা আপনার স্ত্রী তো তালাকের অধিকার-ই পায়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...