আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
286 views
in ওয়াসওয়াসা by (3 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
আমি একজন ওয়াসওয়াসা রুগী।ইমদাদুল হুজুরের নিকট প্রশ্ন আছে।তিনি উত্তর দিবেন।
আমার আগের প্রশ্নগুলো হলোঃ

https://ifatwa.info/72458/

https://ifatwa.info/71735/

Note ( আমার স্বামীকে পান খেতে ফোনে   নিষেধ
 করছি তখন সে বলছে ,

"  আমি পান খাবোই এবং যে থাকতে চায় সে থাকবে, আর যে থাকতে না চায় সে যেন চলে যায়।"

একদিন  তালাক গ্রহনের অধিকার নিয়ে আলোচনা চলছিল তখন বলছে অধিকার দিলাম। (তার অধিকার
 দেওয়ার নিয়ত ছিল না)
অন্যএকদিন  তালাক গ্রহনের অধিকার পাওয়া নিয়ে  আলোচনা চলছিল তখন রাগ করে  বলছে, তোমার  যা ইচ্ছে করো।
অন্য একদিন বলছে  তুমি যখন ইচ্ছে তখন তালাক
 গ্রহন করতে পারবে। আর কাবিননামায়ও তালাক গ্রহনের  অধিকার দিছে)

প্রশ্ন ১) আমি বলছি " শয়তান আমাকে বুঝাইতেছে তুই যে বলছো সেদিন তোমারে বলছিলাম তাইলে  নিজ
 নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি৷
এখন  প্রশ্ন  উপরের কথাগুলো মুখে বলায় এবং  লেখায় আমার স্বামী কি তালাক হবে?

১.১) সেদিন যখন বলছি তখন তাইলে বলি নায়। কিন্ত পরে যখন বলছি ওই একই কথা তার আগে তাইলে যুক্ত করে বলছি এরকম (*তাইলে  নিজ নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি)
এতে কি তালাকহবে?
২)যদি আমি  নিচের লেখাটা শব্দ করে পড়ি  ("আমি
আমার নিজেকে তালাক প্রদান করিলাম")

তাহলে উপরের কথাগুলো মুখে  বলায় এবং লেখায়
আমার স্বামী তালাক হয়ে যাবে কি?
৩) যদি  আমি   কোনো  এক মুফতিকে বলি  আমি আমার হাসবেন্ডকে নফসের উপর তালাক দিছি।( আসলে  তালাক দেই নি।) তাহলে অই কথা মুখে  বলায় এবং লেখায় আমার স্বামী কি তালাক হবে?

প্রশ্ন৪) জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার এক
 মুফতিকে জিজ্ঞেস করছি-
" আমিঃ- মুফতি সাহেব  আমি  কাবিননামায়  অধিকার পাইছি এখন  বনিবনা না হওয়ার কারনে   যদি নিজ
 নফসের উপর তালাক দেই   তাহলে তালাক হবে?
মুফতিঃ কি বলছেন?
আমিঃ নিজ নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি।( মুফতির কাছে মিথ্যে বলছি।এই কথাগুলো   এর আগে এভাবে স্পষ্টভাবে   কখনো বলি নায়।মুফতি জিজ্ঞেস  করার পর  কথাগুলো  প্রথমবারের মতো   ওইভাবে
 বলছি)
এখন প্রশ্ন মুফতির জিজ্ঞেস করায় উপরে যে আমি লিখেছি  ----
"আমিঃ নিজ নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি।"
এই কথা  মুখে বলার  কারনে এবং লেখার কারনে
  আমার স্বামী কি তালাক হবে?

প্রশ্ন ৫)একদিন আমি এক  মুফতিকে ফোনে  বলছিলাম,  অন্য এক মেয়ে বলছে  নিজ নফসের উপর তালাক দিলাম বা দিছি।
( আসলে অন্যকোন মেয়ে ওই কথাগুলো  বলে নায় কখনো।  আমি নিজেই বলছি  উপরের কথাগুলো।নিজেকে অন্য মেয়ে হিসেবে উপস্থাপন করে কথাগুলো
  মুফতিকে  বলছি৷)
তাহলে প্রশ্ন মুফতির কাছে অন্য মেয়ে  সেজে কথাগুলো  মুখে বলায় এবং লেখায় আমার স্বামী  তালাক  হবে  কি?
প্রশ্ন ৬) একদিন স্বামীকে  বলছি আমার মেয়েকে বড়
 হলে অরে কোলে নিলে তালাক হয়ে যাবে।(বলার নিয়ত ছিল না  মুখ থেকে বের হয়ে গেছিলো). ভবিষ্যতে মেয়েকে কোলে নিলে স্বামী কি তালাক হবে?

৭) একদিন বলছি যদি অই কাজ করি তাহলে স্বামীর সাথে সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে। এর এক সপ্তাহ পর  সেই কাজ করেছি। এতে কি আমার স্বামী তালাক হবে?
৮) আমার স্বামীকে বলছি বাড়ি যাও। তালাকের নিয়ত ছাড়া যতটুকু মনে পড়ে।  এতে কি সে তালাক হবে?
৯) যদি কোনো মুফতির কাছে উত্তর জানার জন্য এমন কথা লেখা হয় যাতে স্বামী তালাক হয়ে যায়। কিন্ত স্বামীকে তালাক দেওয়ার নিয়ত ছিল না।
তাহলে প্রশ্ন স্বামী কি তালাক হবে?
প্রশ্ন১০) আমার স্বামীকে পান খেতে ফোনে   নিষেধ
করছি তখন সে বলছে ,
"  আমি পান খাবোই এবং যে থাকতে চায় সে থাকবে, আর যে থাকতে না চায় সে যেন চলে যায়।"
তার এই কথায় কি তালাক গ্রহনের অধিকার পাওয়া হইছে?  সারাজীবন এর জন্য নাকি অই মজলিস এর
জন্য?
প্রশ্ন ১১) ওয়াসওয়াসা রুগী তালাক দিলে তালাক হয় না। কিন্ত সে যদি  এমন কথা লিখে রাখে যা উচ্চারণ
 করে বললে তালাক  হয়। (কিন্ত তার তালাক দেওয়ার
নিয়ত ছিল না।)
 এতে কি তালাক হবে?

প্রশ্ন ১২) স্বামী  যদি  এমন কথা বলে  যাতে স্ত্রীর তালাক গ্রহনের  অধিকার  পাওয়া  হয়।  কিন্ত তার তালাকের   গ্রহণের  অধিকার  দেওয়ার নিয়ত ছিল না। তাহলে কি স্ত্রী  তালাক গ্রহনের অধিকার পাবে?যেমনঃ ( তোমার  যা ইচ্ছে  করো।
যে থাকতে  চায়  থাকবে  আর  যে  থাকতে  চায়  না  সে যেন চলে যায়।
ভালো  লাগলে  থাকো  না থাকলে  যাও।
যার ইচ্ছে  থাকবে  যার  ইচ্ছে  চলে যাইবে।)

প্রশ্ন ১৩.) একদিন তালাক গ্রহনের অধিকার নিয়ে আলোচনা চলছিল। তখন স্বামী বলেছে, তোমার যা  ইচ্ছা   করো।( তার তালাকের অধিকার দেওয়ার নিয়ত ছিল না। )  
এই  কথায় কি তালাক গ্রহনের অধিকার পাওয়া হইছে ?  সারাজীবন এর  জন্য নাকি অই মজলিস পর্যন্ত?

১৪)একদিন সম্ভবত তালাক গ্রহনের অধিকার পাওয়া নিয়ে স্বামীর সাথে আলোচনা চলছিল। আমার সঠিক মনে নেই কি নিয়ে কথা হচ্ছিল। তবে স্বামী বলছে অধিকার দিলাম।  এটা স্পষ্ট মনে আছে। ( স্বামী বলছে তার অধিকার দেওয়ার নিয়ত ছিল না।)   
এতে কি আমি তালাকের অধিকার পাবো?   কয় তালাকের অধিকার পাবো? সারাজীবন এর জন্য নাকি অই মজলিস পর্যন্ত?
১৪.১) স্বামী যে বলছে অধিকার দিলাম। এই কথায় স্ত্রী যদি তালাক নেয় তাহলে তা রজয়ী তালাক হবে নাকি বায়েন?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ  أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ  الْمُوَسْوَسِ  ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ،  قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ

- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ:  
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ  بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলামির দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাকও গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।

বিবেক বুদ্ধি লোপ পেতে বসা ওয়াসওয়াসা রোগীর এমন কোনো কথা বার্তা যা মুরতাদ হওয়াকে লাযিম করে দেয়, সেই কথাবার্তার দরুণ উক্ত ওয়াসওয়াসার রোগী মুরতাদ হবে না।(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬) 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/835


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যেহেতু ওয়াসওয়াসা রোগী, তাই আপনারা বর্তমান ও অতীত বিষয়ে কোনো তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
বর্তমান এবং অতীত বিষয় বলতে কি বুঝিয়েছেন?       

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...