আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
213 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্,

১. ডেন্টিস্ট্রিতে রোগীকে তার ট্রিটমেন্ট প্লান এবং অগ্রগতি বুঝানোর জন্যে শুধুমাত্র মুখের ভিতরের আক্রন্ত স্থানের ছবি তোলা হয়। যা দিয়ে ডাক্তার তার কাজের প্রসিডিউর ও রোগের কারন ব্যাখ্যা করে থাকেন। পরবর্তীতে রোগীর অনুমতিক্রমে এই ছবি ব্যবহার করে ডাক্তার তার চেম্বারের প্রচারনাও চালায়।

এই ছবি তোলা ও প্রচারনা জায়েজ হবে কি না?

২. ধরেন, আমি আর আমার বন্ধু কোথাও ঘুরতে গেছি। মাগরিবের নামাযের সময় হলো। আমরা এক সাথে কোন একটা মাসজিদে নামাজ আদায় করলাম। আমি মাগরিবের নামাজের পর রেগুলার কিছু আমল করি আলহামদুলিল্লাহ। এখন আমি যদি নামাজের পর আমার আমলগুলো করতে চাই তাহলে আমার বন্ধু মাসজিদের বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকবে। তখন আমার মনে শুধু এই কথা আসে যে, আমার আমলগুলো নফল, কিন্তু অন্যকে কষ্টদেয়া হারাম। আবার আমল কন্টিনিউও করতে মনে চায়।

 আমার মাঝে এইনিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ কাজ করে। এই মুহূর্তে আমার কি করা উচিত হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
https://www.ifatwa.info/30362/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
প্রানীর এমন ছবি যেখানে মাথা,চেহারা থাকে,সেটি নিষেধ।
প্রানীর ছবিতে যদি এমন কাজ করা হয়,যাতে সেটি প্রান বিশিষ্ট প্রানীর ছবি মতো মনে না হয়,তাহলে সেটির উপর ছবির বিধান আরোপ হবেনা।
কিন্তু যদি জান বিশিষ্ট প্রানীর বর্ণনা বুঝা যায়,তাহলে তাহলে সেটি হারাম ছবির অন্তর্ভুক্ত হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَقُولُ : " كُلُّ مُصَوِّرٍ فِي النَّارِ ، يُجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسًا ، فَيُعَذِّبُهُ فِي جَهَنَّمَ " . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : فَإِنْ كُنْتَ لَا بُدَّ فَاعِلًا فَاصْنَعِ الشَّجَرَ وَمَا لَا رُوحَ فِيهِ . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, প্রত্যেক ছবি প্রস্তুতকারী জাহান্নামী। সে যতগুলো ছবি তৈরি করেছে (কিয়ামতের দিন) সেগুলোর মধ্যে প্রাণ দান করা হবে এবং জাহান্নামের শাস্তি দেয়া হবে। ইবনু ‘আব্বাস  বলেন, যদি তোমাকে একান্তই ছবি তৈরি করতে হয়, তাহলে গাছ-গাছড়া এবং এমন জিনিসের ছবি তৈরি কর যার মধ্যে প্রাণ নেই।
সহীহ : বুখারী ২২২৫, মুসলিম ৫৬৬২, আহমাদ ২৮১০, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ৩০৫৪।

মাথা কর্তিত থাকলে সেই ছবি হারামের হুকুম থেকে বাহির হয়ে যাবে।

যেমনঃ হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ : " ﺍﻟﺼُّﻮﺭَﺓُ ﺍﻟﺮَّﺃْﺱُ، ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻗُﻄِﻊَ ﺍﻟﺮَّﺃْﺱُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﺑِﺼُﻮﺭَﺓٍ ."
প্রাণীর মাথা-ই হল মূলত ছবি তথা প্রাণীর মাথাটাই ছবির উল্লেখযোগ্য অংশ।যখন কোনো ছবির অাকৃতি থেকে মাথাকে কেটে ফেলা হবে,তখন সেটা যেন কোনো ছবিই না।(সুনানে বায়হাক্বী-১৪৫৮০)

خلاصۃ الفتاوی  :
"وإن کانت مقطوع الرأس لا بأس به، وکذا لو محی وجه الصورة فهو کقطع الرأس".  (1/58، کتاب الصلوٰۃ، ط: رشیدیہ)
সারমর্মঃ 
যদি ছবি থেকে মাথা কেটে ফেলা হয়,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
একই ভাবে যদি চেহারা মুছে ফেলা হয়,তাহলেও কোনো সমস্যা নেই। এটিও মাথা কেটে দেয়ার মতোই।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে এই ছবি তোলা ও প্রচারনা জায়েজ হবে।

তবে ছবিটিতে কোনো মহিলার চেহারার ছবি যেনো না আসে,সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
শুধু মুখের ভিতরের অংশ যেনো আসে।

(০২)
এক্ষেত্রে আপনার যে একটু দেড়ি হবে,বিষয়টি আগেই বন্ধুকে জানিয়ে রাখবেন।
,
তাতে আপনার বন্ধু সম্মত হলে আপনি মসজিদেই আমল করবেন।

আর আপনার বন্ধু তাতে সম্মত না হলে অপেক্ষা না করে তাকে চলে যেতে বলতে পারেন,অথবা পরবর্তীতে আমল করবেন,এমনটি নিয়ত রেখে আপনি নিজেই মসজিদ হতে চলে আসতে পারেন।
বাহির সে চলাচল অবস্থাতেই যবানে যিকির চালু রাখতে পারেন, এটি আপনার ইচ্ছা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্,

১নং প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে "যদি জান বিশিষ্ট প্রানীর বর্ণনা বুঝা যায়,তাহলে তাহলে সেটি হারাম ছবির অন্তর্ভুক্ত হবে"। এখানে "জান বিশিষ্ট প্রানীর বর্ণনা" বলতে কি বিঝানো হয়েছে? 

জানালে কৃতজ্ঞ থাকব ইন শা আল্লাহ। 

by (574,050 points)
মানে কোনো প্রানীর যদি চেহারা প্রস্ফুটিত হয়,স্পষ্ট বুঝা যায়।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...