ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
প্রানীর এমন ছবি যেখানে মাথা,চেহারা থাকে,সেটি নিষেধ।
প্রানীর ছবিতে যদি এমন কাজ করা হয়,যাতে সেটি প্রান বিশিষ্ট প্রানীর ছবি মতো মনে না হয়,তাহলে সেটির উপর ছবির বিধান আরোপ হবেনা।
কিন্তু যদি জান বিশিষ্ট প্রানীর বর্ণনা বুঝা যায়,তাহলে তাহলে সেটি হারাম ছবির অন্তর্ভুক্ত হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَقُولُ : " كُلُّ مُصَوِّرٍ فِي النَّارِ ، يُجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسًا ، فَيُعَذِّبُهُ فِي جَهَنَّمَ " . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : فَإِنْ كُنْتَ لَا بُدَّ فَاعِلًا فَاصْنَعِ الشَّجَرَ وَمَا لَا رُوحَ فِيهِ . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, প্রত্যেক ছবি প্রস্তুতকারী জাহান্নামী। সে যতগুলো ছবি তৈরি করেছে (কিয়ামতের দিন) সেগুলোর মধ্যে প্রাণ দান করা হবে এবং জাহান্নামের শাস্তি দেয়া হবে। ইবনু ‘আব্বাস বলেন, যদি তোমাকে একান্তই ছবি তৈরি করতে হয়, তাহলে গাছ-গাছড়া এবং এমন জিনিসের ছবি তৈরি কর যার মধ্যে প্রাণ নেই।
সহীহ : বুখারী ২২২৫, মুসলিম ৫৬৬২, আহমাদ ২৮১০, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ৩০৫৪।
মাথা কর্তিত থাকলে সেই ছবি হারামের হুকুম থেকে বাহির হয়ে যাবে।
যেমনঃ হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ : " ﺍﻟﺼُّﻮﺭَﺓُ ﺍﻟﺮَّﺃْﺱُ، ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻗُﻄِﻊَ ﺍﻟﺮَّﺃْﺱُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﺑِﺼُﻮﺭَﺓٍ ."
প্রাণীর মাথা-ই হল মূলত ছবি তথা প্রাণীর মাথাটাই ছবির উল্লেখযোগ্য অংশ।যখন কোনো ছবির অাকৃতি থেকে মাথাকে কেটে ফেলা হবে,তখন সেটা যেন কোনো ছবিই না।(সুনানে বায়হাক্বী-১৪৫৮০)
خلاصۃ الفتاوی :
"وإن کانت مقطوع الرأس لا بأس به، وکذا لو محی وجه الصورة فهو کقطع الرأس". (1/58، کتاب الصلوٰۃ، ط: رشیدیہ)
সারমর্মঃ
যদি ছবি থেকে মাথা কেটে ফেলা হয়,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
একই ভাবে যদি চেহারা মুছে ফেলা হয়,তাহলেও কোনো সমস্যা নেই। এটিও মাথা কেটে দেয়ার মতোই।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে এই ছবি তোলা ও প্রচারনা জায়েজ হবে।
তবে ছবিটিতে কোনো মহিলার চেহারার ছবি যেনো না আসে,সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
শুধু মুখের ভিতরের অংশ যেনো আসে।
(০২)
এক্ষেত্রে আপনার যে একটু দেড়ি হবে,বিষয়টি আগেই বন্ধুকে জানিয়ে রাখবেন।
,
তাতে আপনার বন্ধু সম্মত হলে আপনি মসজিদেই আমল করবেন।
আর আপনার বন্ধু তাতে সম্মত না হলে অপেক্ষা না করে তাকে চলে যেতে বলতে পারেন,অথবা পরবর্তীতে আমল করবেন,এমনটি নিয়ত রেখে আপনি নিজেই মসজিদ হতে চলে আসতে পারেন।
বাহির সে চলাচল অবস্থাতেই যবানে যিকির চালু রাখতে পারেন, এটি আপনার ইচ্ছা।