আসসালমুআলাইকুম হুজুর, আমি promise করছি এই টাই আমার শেষ প্রশ্ন , আমি আর প্রশ্ন করবো না promise। Plz আমাকে এই উত্তর গুলো দিবেন।
১. হুজুর কোনো ছেলে বললো সে যদি অমুক কাজ করে তাহলে তালাক। দিয়ে তার আর মনে নেই সে কি বলেছে না বলেছে, দিয়ে সে সেই কাজ করেছে। কিন্তু তার এখন কিছুতেই মনে পড়ছে না সে কি বলেছে না বলেছে। তার কিছু মনে নেই। এক্ষেত্রে কি তালাক হবে হুজুর?
২. অনেক মনে করার চেষ্টা করছে কিন্তু মনে পড়ছে না সন্দেহ সৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে একবার বলেনি একবার মনে হচ্ছে বলেছে। আসলে বললে তো মনে থাকতই কিন্তু আসলে বলেছে না বলেনি তার মনেই পড়ছে না । সন্দেহ হচ্চে এক্ষেত্রে কি তালাক হবে?
৩. হুজুর মনে মনে শুধু শর্ত তালাক এর কথা হয়ে যাচ্ছে মুখে উচ্চরণ করছিনা। হুজুর একটা বিষয়।
আমি আমার একটা বন্ধু কে ম্যাসেজ করেছি সে যেনো আমাকে ফোন করে। দিয়ে আমি যখন হোয়াটস অ্যাপ টা খুলেছি তখন মনে মনে এমন হচ্ছে আমি যদি এমন ম্যাসেজ লিখে থাকি তাহলে তালাক এমন মনে মনে হলো। দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে মনে হলো ম্যাসেজ এ যদি ভাই লিখা থাকে তাহলে তালাক , (আমি মুখে কিছু উচ্চরণ করিনি শুধু ভাই কথা টা হয় তো উচ্চরণ করেছি , হয়ত তাও করিনি সন্দেহ আছে। )দিয়ে ভয় পেয়ে ম্যাসেজ খুলে দেখি ভাই লিখা আছে তাহলে কি তালাক হবে?
আমি মুখে কোনো কিছু উচ্চরণ করিনি যা ভাবনা হয়েছে মনে মনে।।
৩. আমার এই বিষয় নিয়ে একটা মুফতি কে ফোন এ সমস্ত ঘটনা বলেছি দিয়ে সে বলেছে কোনো সমস্যা নেই , হুজুর মুফতি কে বলার জন্য কি কোনো সমস্যা হবে?
৪. মনে মনে এমন হচ্ছে হুজুর , যদি আমি ifatwa তে প্রশ্ন করি তাহলে তালাক। এই রকম মনে মনে হচ্ছে হুজুর । প্রয়োজন হলো দিয়ে প্রশ্ন করছি , প্রশ্ন করার জন্য কি তালাক হবে? মনে মনে হয়েছে মুখে উচ্চরণ করিনি।
৫. মনে মনে এমন হচ্ছে স্ত্রী কে প্রয়োজন এ কিছু বলতে গেলে মনে হচ্ছে , এ কথা বলা যাবে না বললে তালাক। এমন মনে মনে হচ্ছে। দিয়ে হুজুর স্ত্রী কে যদি প্রয়োজন এ সেই কথা বলি তাহলে কি তালাক হবে?
৬. মনে মনে এমন হচ্ছে স্ত্রী ম্যাসেজ করলে তালাক , দিয়ে যদি দরকারে স্ত্রী কে ম্যাসেজ করি তাহলে কি তালাক হবে? মুখে উচ্চরণ করিনি। মনে মনে হয়েছে।
৭. মনে হচ্ছে ভাত খেতে গেলে তালাক, মনে মনে হচ্ছে, হুজুর আমি যদি ভাত খাই তাহলে তালাক হবে না তো?
৮. হুজুর মনে মনে জাই হউক , এটা ওটা জাই করি মনে মনে জাই শর্ত তালাক এর প্রশ্ন আসুক না কেন , আমি যদি সেই কাজ করি, বা বলি তাহলে তালাক হবে না তো?
৮.১ মনে মনে এমন হচ্ছে যেমন , কোনো কাজ হচ্ছে বা টিভি চলছে তো তখন মনে হচ্ছে এটা হলে তালাক বা ওটা হলে তালাক , হুজুর দিয়ে যদি সেই জিনিস হয় তাহলে কি তালাক হবে?
৮.২.আমি মনে মনে বলেছি মুখে উচ্চরণ করিনি। আর এই প্রশ্ন লিখতে লিখতে হালকা মুখে বলা হয়েছে । ইচ্ছা করে বলিনি এমনি প্রশ্ন টা লিখতে গিয়ে দু একটা শব্দ হালকা করে বলা হয়েছে এর জন্য কি তালাক হবে? এমনি প্রশ্ন টা লিখতে গিয়ে মুখে হালক্কা দুটো শব্দ বলা হয়েছে, মন থেকে ওই ভাবে বলিনি । বাকি সব মনে মনে হয়েছে। এমনি লিখতে গিয়ে দুটো শব্দ এমনি হয়েছে এর জন্য কি তালাক হবে?
৯. হুজুর মনে মনে সর্ত তালাকের ভাবনা হচ্ছে , মুখে উচ্চরণ করছিনা, এমনি জিহ্ববা টা নাড়ছি, মুখ বন্ধ আছে , দাতে দাঁত ঠেকে ছিল না তাই দাতে দাত ঠেকিয়ে শক্ত করে কামড়ে বসে আছি , কিন্তু মুখে উচ্চরণ করিনি । কিন্তু মনে মনেই ভাবছি, জিহ্ববা নেড়ে উচ্চরণ করছিনা । জিহ্ববা টা এমনি নাড়ছি। মুখে কোনো উচ্চরণ করছিনা, আর দাতে দাঁত ঠেকানোর জন্য একটু মুখ টা নড়েছে , কিন্তু আমি মুখে কিছুই উচ্চরণ করিনি। সত্যিই উচ্চরণ করিনি। এই ভাবে কি সর্ত তালাক হবে? আমি মুখে উচ্চরণ করিনি। যা হয়েছে সব মনে মনে।
১০. একটা জায়গাতে তালাক বিষয় এ লেখা আছে। আমি সেই তালাক লেখা টা মনে মনে পরলাম আর জিহ্ববা দিয়ে ঠোঁট টা তে জিহ্ববা দিয়ে স্পর্শ করলাম । আমি কিন্তু মুখে উচ্চরণ করিনি। যা হয়েছে মনে মনে এর জন্য কি তালাক হবে?
১১. হুজুর আমার ঘুম পাচ্ছে দিয়ে হাই উটছে , যখনই হাই উটছে তখন তালাক শব্দ টা মনে পড়ছে । উচ্চরণ হয়ে যাবে ভয় এ হাই ওঠার সময় আমি বিসমিল্লাহ আল্লাহ বলছি । আর মনে মনে তালাক কথা টা হচ্ছে । উচ্চরণ করিনি এর জন্য কি কোনো তালাক হবে?
১১.১ হুজুর মনে মনে তালাক কথা টা হচ্ছে তখন আমি মুখে আল্লাহ বা বিসমিল্লাহ বা অন্য কিছু উচ্চরণ করছি । আর মনে মনে ওই টা হচ্ছে । এর জন্য কি কোনো তালাক হবে,?
১২. হুজুর আমার হাজারো প্রশ্ন মনে মনে শর্ত তালাক এর কথা আসুক না কেনো , মুখে উচ্চরণ করছিনা । দিয়ে যদি সেই কাজ করি না বলি তাহলে তালাক হবে না তো?
১৩. হুজুর একটা সিনেমা র ডায়লগ , " কিসমত বহত কুত্তী চিজ হে , কাভি ভি পালাট যাতে।
মানে হলো ভাগ্য খুব কুত্তি জিনিস যখন তখন বদলে জাই।
না জেনে বুঝে এই ডায়লগ টা বলতাম , হুজুর এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে? না ভেবে ভুল করে বলেছি ।ঈমান চলে যাবে না তো হুজুর?
১৪. স্ত্রীর সঙ্গে একবার ঝগড়া হয়েছিল ফোন এ , দিয়ে ১ তালাক কথা টা বলেছিলাম হুজুর। আর আমার মা কে বলেছিলাম রেগে নিয়ত ছিল তালাকের হয়ত দিয়ে বলেছিলাম যা হবে হবে ছেড়েই দিবো। এই দুটো কথা বলেছি। দিয়ে কিছু ক্ষন পর ঝামেলা মিটিয়ে সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রী কে ফিরিয়ে নিয়েছি । বিষয় হলো আমি তখন রেগে হয়ত নিয়ত ছিল দিয়ে বলেছিলাম যা হবে হবে, ছেড়েই দিবো এই কথা টা মা কে তখন বলেছিলাম । এর জন্য কি কোনো তালাক হবে?
১৪.১ আমি আমার স্ত্রী কে ফিরিয়ে নিয়েছি। হুজুর এই সমস্ত ঘটনা অনুযায়ী কটা তালাক হয়েছে? আর আমার স্ত্রী কে ফিরিয়ে নিয়েছি , এখন আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো? আপনি এর আগে বলেছিলেন ১ টা হয়েছে আর সম্পর্ক ঠিক আছে তাই বলেছিলেন।
১৫. আপনাদের কে সমস্ত ঘটনা বললাম এতে তো কোনো সমস্যা হবে না তাই না? আর আমার এই সব বিষয় নিয়ে ভাবার কোনো দরকার নেই তাই তো হুজুর,?
১৬. আমার স্ত্রী আমাকে একটা কথা বলেছিল । আমাকে কথা টা আমার আব্বা মা কে বলতে নিষেধ করেছিল। কিন্তু আমি কথাই কথাই কথা টা বলে ফেলেছি, দিয়ে আমাকে স্ত্রী বলছে আমি যদি তোমাকে আর কোনো কথা বলি তো কান ধরেছি। তাই বললো, দিয়ে আমি বললাম এই সব বলো না, ভয় হয়, দিয়ে স্ত্রী বললো আমি কি আল্লাহ কসম করে বলেছি নাকি এমনি বলেছি তাই বললো হুজুর এ সমস্ত কথার দ্বারা কি কোনো সমস্যা হবে?
১৬.২ যদি স্ত্রী আল্লাহ কসম করে ফেলত , তার পর যদি আমাকে কোনো কথা বলত তাহলে কসম ভেঙে যেতো , তাহলে কি আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক এ কোনো সমস্যা হতো? নাকি কসমের কাফারা দিলেই হতো?
১৬.৩ কসমের কাফফারা পড়ে দিলে ও তো হবে, কসমের কাফফারা দেওয়ার আগে কি সহবাস করা যাবে না? বলবেন plz