মহান আল্লাহ মানুষকে সম্মানিত করে সৃষ্টি করেছেন, তাদের অঙ্গগুলোও সম্মানিত। তাই তাদের অঙ্গের সঙ্গেও এমন ব্যবহার করা যাবে না, যা তাদের সম্মান হানি করে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘আর আমি মানব সন্তানকে সম্মানিত করেছি...।’ (সুরা ইসরা, আয়াত : ৭০)
হজরত মিল বিনতে মিশরাহ আল আশআরি থেকে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা মিশরাহ [যিনি রাসুল (সা.)-এর সাহাবি ছিলেন]-কে দেখেছেন যে তিনি নখ কাটার পর তা দাফন করে ফেলতেন। তিনি বলতেন, তিনি রাসুল (সা.)-কে এমন করতে দেখেছেন। [আত তারিখুল কুবরা (ইমাম বুখারি) : ৮/৪৫]
ইমাম আহমদ (রহ.)-কে এক ব্যক্তি কর্তিত চুল ও নখের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘এগুলো কি দাফন করব নাকি ফেলে দেব?’ তিনি বলেন, ‘দাফন করে ফেলো।’ লোকটি বলল, ‘আপনি এ ব্যাপারে কিছু পেয়েছেন?’ তিনি বলেন, ‘ইবনে ওমর (রা.) এগুলো দাফন করে ফেলতেন।’ (আল মুগনি, ইবনে কুদামা : ১/১১০)
ফাতাওয়ায়ে শামিতে এসেছেঃ
قال العلامة الحصکفي رحمه الله تعالی: "و کل عضو لا یجوز النظر إلیه قبل الانفصال، لا یجوز بعده و لا بعد الموت، کشعر عانة و شعر رأسها". ( الشامیة ٦ / ٣٧١ )
সারমর্মঃ
শরীর থেকে পৃথক হওয়ার পূর্বে যে সমস্ত অঙ্গের দিকে নজর দেওয়া জায়েজ নেই, সে সমস্ত অঙ্গ শরীর থেকে পৃথক হওয়ার পর,মারা যাওয়ার পরেও তার দিকে নজর দেওয়া জায়েজ নেই।
যেমন মাথার চুল,নাভির তলদেশের চুল।
★মহিলাদের চুল এর ক্ষেত্রে এভাবে রাখা হলে যেহেতু গায়রে মাহরামের দেখার আশংকা আছে,এবং এতে যেহেতু কোনো এক সময় সেই মানুষের অঙ্গের অসম্মানীরও সম্ভাবনা রয়েছে, তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতটি জায়েজ নেই।
মাথা আঁচড়ানোর পর যে চুল পাওয়া যায় সেটা পর্দার বিধানের অন্তর্ভুক্ত নয়।
মাথা আঁচড়ানোর পর যে চুল পাওয়া যায় সেটা মাটিতে পুঁতে ফেলা ওয়াজিব। কেননা এটা একজন মানুষের অংশ যা সম্মানি। সুতরাং সেটাকে দাফন করতে হবেই।
তবে অনেক ইসলামী স্কলারগন এই চুলকেও পর্দার বিধানের অন্তর্ভুক্ত মনে করেন,তাই সতর্কতামূলক পর্দার বিধানের অন্তর্ভুক্ত ধরে নিয়ে তাহা দাফন করা উচিত।
আরো জানুনঃ
কোনো একসময় মানবের শরীরের উক্ত অংশের অসম্মানিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় এর বৈধতা নেই।