আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
98 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (22 points)
আমার একটি রোগের কারণে রুকাইয়া করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। তবে যার কাছে আমরা গিয়েছিলাম,তিনি বলেছেন ৩/৬ মাসের জন্য ওষুধ হিসাবে তাবিজ গলায় ও হাতে বাধতে। এতে কুরআন এর আয়াত লেখা থাকবে। এবং ঘরের মধ্যে ২ টি নকশা লাগাতে হবে,ঘর বন্ধ রাখার জন্য৷
আমার প্রশ্ন, এভাবে কি তাবিজ ব্যবহার জায়েজ হবে? আর ঘর বন্ধ করা কি জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


তাবিজে কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম, দুআয়ে মাসুরা থাকলে এবং শিরকমুক্ত অর্থবোধক শব্দ থাকলে তা জায়িজ।  কেননা এসব তাবিজের ক্ষেত্রে মুয়াসসার বিজজাত তথা আরোগ্যের ক্ষমতা আল্লাহ তাআলাকেই মনে করা হয়। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُعَلِّمُهُمْ مِنَ الْفَزَعِ كَلِمَاتٍ: «أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ» وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يُعَلِّمُهُنَّ مَنْ عَقَلَ مِنْ بَنِيهِ، وَمَنْ لَمْ يَعْقِلْ كَتَبَهُ فَأَعْلَقَهُ عَلَيْهِ

আমর ইবনে শুআইব তাঁর পিতা ও তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে,রাসূল (সঃ) ইরশাদ করেন,তোমাদের কেউ যখন ঘুম অবস্থায় ঘাবড়িয়ে উঠে,সে যেন  أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ দো’আটি পাঠ করে। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর তাঁর উপযুক্ত সন্তানদের তা শিক্ষা দিতেন এবং ছোটদের গলায় তা লিখে লটকিয়ে দিতেন।{সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৮৯৫}

বিস্তারিত জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত তাবিজে কুরআনের আয়াত,বা হাদীস,বা শিরকমুক্ত অর্থবোধক কিছু থাকলে আকীদা বিশুদ্ধ রেখে সেই তাবিজ গলায় ও হাতে বাধতে পারবেন।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঘর বন্ধ রাখার জন্য ঘরের মধ্যে ২ টি নকশা লাগানোর কথা উল্লেখ রয়েছে, উক্ত নকশাতে কুরআনের আয়াত,বা হাদীস,বা শিরকমুক্ত অর্থবোধক কিছু থাকলে নকশা লাগানো যাবে,নতুবা নয়।

(তবে এক্ষেত্রে যেহেতু কিছু ইসলামী স্কলারগন কোনো ছুরতেই তাবিজের অনুমতি দেননা,তাই তাদের মতানুসারীগন সেই মত অনুযায়ী আমল করবেন।)    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...