আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
168 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম  আমার একবার এক সমস্যা হয়, এইটা ওয়াসওয়াসা কিনা বুজিনা,,  আমার একবার এক জিনিস মাথায় আসে যা মুখে বলার মতন না, আমার বর্তমান ওয়াসওয়াসা আসে যে, আল্লাহ কি আমাকে দেখতেছে, যদি উনি সব দেখেই তাহলে আমি কিভাবে বুজবো উনি আমাকে দেখতেছে,  আর এতকিছু বুজিনা, উনি যে আছে তার ছোট একটা কিছু কি আমার সাথে ঘটতে পারেনা,?  হাল্কা ক্ষুদ্র কোনো নিদর্শন দেখতে চাই,  এই যেমন আমরা যে আল্লাহকে ডাকি আর আল্লাহ যে আমাদের ডাক শুনে এমন একটা প্রুফ নিদর্শন চাই, কিভাবে কি আমল করলে আমরা বুজবো আল্লাহ আমাদের পাশে আছেন অনুভব করবো কিভাবে,?  আল্লাহ তাদের সাহায্য করে যারা একনিষ্ঠ ভাবে উনাকে ডাকে, আমার তো একনিষ্ঠ তা আসেনা তাহলে উনি আমার সাথে নেই, আমার নামাজ পড়তে ইচ্ছা হয়না, তাও জোর করে পড়ি, মনেহয় যে আল্লাহ কি আছে? নাউজুবিল্লাহ  থাকলে আমার সাথে কোনো একটা অলৌকিক বা আধ্যাত্মিকতা কিছু ঘটুক, আমরা আমল করলে দোয়া পড়লে যে উনি সাহায্য করে এইটা অলৌকিক ভাবে হাল্কা একটু দেখতে চাই,  একদিন এক জায়গায় দেখলাম, সুফিবাদ ও আধ্যাত্মিকতা,  ওইখানের এক মুফতী বললো মনে মনে চোখ বন্ধ করে জিহ্বা না নাড়িয়ে জিকর করতে, দোয়া ইউনুস পড়তে সারাক্ষন আল্লাহকে মনে মনে ডাকতে, জিহবা না নাড়িয়ে, এবং মোনাজাতএ বলতে যে আল্লাহ আব্দুল কাদের জিলানী এর উচিলায় তুমি তোমার শাফায়াত দাও আমারে,  এমনে করলে নাকি আল্লাহ চাইলে আমি আল্লাহর সাফায়েত পাবো, আল্লাহ যে আছে তা দেখতে পাবো, বাট এই ক্ষেত্রেও অনেক আলেম বলে এইটা শির্ক তাই এইটাও হচ্ছেনা,  এটলিস্ট কি যে হচ্ছে,  কিভাবে যে আমি হিদায়েত পাবো বুজতেছিনা, আচ্ছা ঠোঁট, মুখ না নাড়িয়ে জিকর করা কি জায়েজ?,

আমি তাক্বী উসমানী এর বই পড়ছি তিনি বলছেন যে মোরাকাবা কোনো বড় আলেম এর সাথে পরামর্শ করে করা যাবে,
এবং তাসাউফ এ জিকর করা যাবে, কোনো একজন শায়েখের নির্দেদেসনায় হতে হবে,

আচ্ছা আমি তো প্রবাশ থাকি শায়েখ পাবো কই,

আমাকে কি আপনাদের মধ্যে কেউ একটু বলে দিবেন আমি কি কি করবো,

অথবা কিভাবে তাসাউফ এ জিকর করবো, কিভাবে কি করিলে হিদায়েত পাবো,?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

قوله تعالى {وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ}

আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে বস্তুতঃ আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই, যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে। {সূরা বাকারা-১৮৬}

قوله تعالى {وَنَحنُ أَقرَبُ إِلَيهِ مِن حَبلِ الوَرِيدِ} [ق 16]

আর আমি বান্দার গলদেশের শিরার চেয়েও বেশি নিকটবর্তী। {সূরা কাফ-১৬}

فَلَوْلا إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ (83) وَأَنْتُمْ حِينَئِذٍ تَنْظُرُونَ (84) وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْكُمْ وَلَكِنْ لا تُبْصِرُونَ (85)

অতঃপর এমন কেন হয়না যে, যখন প্রাণ উষ্ঠাগত হয়। এবং তোমরা তাকিয়ে থাক। এবং তোমাদের চেয়ে আমিই তার বেশি কাছে থাকি। কিন্তু তোমরা দেখতে পাওনা {সূরা ওয়াকিয়া-৮৩,৮৪,৮৫}

{ وَللَّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ فَأَيْنَمَا تُوَلُّواْ فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ وَاسِعٌ عَلِيمٌ } [البقرة-115]

পূর্ব এবং পশ্চিম আল্লাহ তায়ালারই। সুতরাং যেদিকেই মুখ ফিরাও,সেদিকেই রয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সর্বব্যাপী সর্বজ্ঞাত {সূরা বাকারা-১১৫}

قوله تعالى { وَهُوَ مَعَكُمْ أَيْنَمَا كُنتُمْ } [ الحديد – 4 ] 

তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সাথে আছেন {সূরা হাদীদ-৪}

وقال تعالى عن نبيه : ( إِذْ يَقُولُ لِصَاحِبِهِ لا تَحْزَنْ إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا (التوبة من الآية40

যখন তিনি তার সাথীকে বললেন-ভয় পেয়োনা, নিশ্চয় আমাদের সাথে আল্লাহ আছেন {সূরা হাদীদ-৪০}

قوله تعالى مَا يَكُونُ مِن نَّجْوَى ثَلاثَةٍ إِلاَّ هُوَ رَابِعُهُمْ وَلا خَمْسَةٍ إِلاَّ هُوَ سَادِسُهُمْ وَلا أَدْنَى مِن ذَلِكَ وَلا أَكْثَرَ إِلاَّ هُوَ مَعَهُمْ أَيْنَ مَا كَانُوا ثُمَّ يُنَبِّئُهُم بِمَا عَمِلُوا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّ اللَّهَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ ( المجادلة – 7

কখনো তিন জনের মাঝে এমন কোন কথা হয়না যাতে চতুর্থ জন হিসেবে তিনি উপস্থিত না থাকেন, এবং কখনও পাঁচ জনের মধ্যে এমন কোনও গোপন কথা হয় না, যাতে ষষ্ঠজন হিসেবে তিনি উপস্থিত না থাকেন। এমনিভাবে তারা এর চেয়ে কম হোক বা বেশি, তারা যেখানেই থাকুক, আল্লাহ তাদের সঙ্গে থাকেন। অতঃপর কিয়ামতের দিন তিনি তাদেরকে অবহিত করবেন তারা যা কিছু করত। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছু জানেন {সূরা মুজাদালা-৭}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীন ভাই/বোন,
অত্র আয়াতগুলির ব্যখ্যা হল; নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা আমাদের সাথে আছেন দেখার দ্বারা, শ্রবনের দ্বারা।

এ সমস্ত আয়াতের শাব্দিক অর্থ হিসেবে বলতে হবে যে, আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। যেদিকে তাকাই আমাদের রব আছেন। 

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীন ভাই/বোন,
আমরা মুসলিম হিসেবে যেহেতু কুরআন বিশ্বাস করি,সুতরাং উপরোক্ত আয়াত গুলি দ্বারা প্রমাণিত হয় যে আল্লাহ তায়ালা সব সময় আমাদের দেখেন।
এটাই দলিল,এটিই প্রুফ।

আপনি যেভাবে প্রুফ চাচ্ছনে,বিষয়টি দুনিয়াতে দেখানো আল্লাহর চিরাচরিত নিয়মের বাইরে।
কেননা এক্ষেত্রে দুনিয়া আর পরীক্ষা ক্ষেত্র হিসেবে থাকবেনা।

আর এভাবে অদৃশ্যভাবেই আল্লাহকে বিশ্বাস করার নামই ঈমান।

আপনি দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজের পর ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পাঠ করবেন।
সকাল সন্ধ্যা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ১০০ বার,ইস্তেগফার ১০০ বার দরুদ শরীফ ১০০ বার পড়বেন।

হক্কানী শায়েখদের জান্নাত,জাহান্নামের তাসাউফ,জান্নাত,জাহান্নাম সংক্রান্ত বয়ান শুনবেন।

ইউটিউব থেকে বিজ্ঞ শায়েখদের বয়ান শুনতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম, 
উত্তর কি তৈরি হয়েছে?
by (565,890 points)
https://ahlehaqmedia.com/7976-2/

এখান হতে শায়েখদের বলে দেয়া হাদীসের আলোকে আরো কিছু জিকির ও তার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...