وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো যদি হাতের ভিতর কোনো এমন জিনিস লেগে যায়,যেটা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,তার কারনে যদি আসলেই শরীরে পানি না পৌছে,এমনটি হয়ে থাকলে অযু, গোসল হবেনা, সেই অযু বা গোসল দিয়ে নামাজ আদায় করে থাকলে ঐ নামায গুলো আবার পড়ে নিতে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ تَخَلَّفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنَّا فِي سَفْرَةٍ سَافَرْنَاهَا، فَأَدْرَكَنَا وَقَدْ أَرْهَقْنَا الْعَصْرَ، فَجَعَلْنَا نَتَوَضَّأُ وَنَمْسَحُ عَلَى أَرْجُلِنَا، فَنَادَى بِأَعْلَى صَوْتِهِ " وَيْلٌ لِلأَعْقَابِ مِنَ النَّارِ ". مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا.
মূসা (রহঃ)...... ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এক সফরে আমাদের পিছনে রয়ে গিয়েছিলেন, এরপর তিনি আমাদের কাছে পৌঁছে গেলেন। তখন আমরা আসরের সালাত (নামায/নামাজ) শুরু করতে দেরী করে ফেলেছিলাম। তাই আমরা উযূ (ওজু/অজু/অযু) করছিলাম এবং (তাড়াতাড়ির কারনে) আমাদের পা মাসেহ করার মত হালকা ভাবে ধুয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চস্বরে বললেনঃ 'পায়ের গোড়ালির জন্য জাহান্নামের আযাব রয়েছে'। দুবার অথবা তিনবার তিনি একথা বললেন।
(বুখারী শরীফ ১৬৪)
হযরত আবু তামীম জায়শানী রাহ. থেকে বর্ণিত আছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. যখন অযু করতেন আংটি নাড়াচাড়া করতেন। আবু তামীমও তা করতেন। ইবনে হুবায়রাও তা করতেন।
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ১/৩৭১ (৪৫৬); মাবসূত, সারাখসী ১/১০; আদ্দুররুল মুখতার ১/১২৬
বিস্তারিত জানুনঃ
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ-
বার্নিশের মালামাল ( গালা+ স্পিরিট) নখের চিপাতে লেগে যায় তা তোলার পরও একটু একটু থেকে যায়।
এক্ষেত্রে এটি কি পানি পৌছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে?
যদি পানি পৌছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,তাহলে অযু হবেনা।
আর যদি পানি পৌছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে,তাহলে অযু হবে।